খেলা
১১ খেলোয়াড় নয়, সাফ জয়ী নারী দলই পাবে একুশে পদক
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবারদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি একুশে পদক। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো কোনো দলকে এই পুরস্কারে ভূষিত করেছে। সাফজয়ী নারী ফুটবল দল এই পুরস্কার গ্রহণ করবে ২০শে ফেব্রুয়ারি। প্রথমে পুরস্কার নিতে ১১ জনের নাম চেয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)- এর কাছে চিঠি দেয় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এতে বিপাকে পড়ে যায় বাফুফে। সাফ জয়ী দলের ২৩ ফুটবলারসহ কোচ কর্মকর্তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় বাফুফে। এনিয়ে অনেক চিঠি চালাচালির পর অবশেষে সুরাহা হয়েছে। ২০২৪ সালের সাফ জয়ী নারী দলকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক একুশে পদক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবদুল মালেক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপণে ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল’কে পদক গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দলের পক্ষে একজন মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টার নিকট হতে পদক গ্রহণের জন্য সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ২০২৪ এর দলনেতার নাম ও একজন বিকল্প খেলোয়াড়ের নাম’ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়টিও। মঞ্চে উঠতে না পারলেও বাকিরাও আমন্ত্রিত ওই অনুষ্ঠানে। নেপালকে হারিয়ে ২০২২ সালে প্রথম নারী সাফ জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে একই দলের বিপক্ষে জিতে মুকুট ধরে রাখে মেয়েরা। দুই আসরেই বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন সাবিনা খাতুন। মঞ্চে সাবিনার সঙ্গে বিকল্প একজন কে হবেন, সে ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, অধিনায়ক সাবিনার সঙ্গে নারী সাফ জয়ী দলের সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দার নাম পাঠিয়েছেন তারা। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় চিঠিতে পুরস্কারগ্রহণকারীর নামের পাশাপাশি পুরো দলকে কোন স্থান থেকে রিসিভ করবে সেটাও জানতে চেয়েছে বাফুফের কাছে। এতে স্পষ্ট সাফের পুরো দলই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত। তবে ৩২ জনই পৃথকভাবে সনদ পাবেন নাকি পুরো দল একটিই সনদ পাবেন এটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কিংবা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি।