বরগুনায় স্ত্রীকে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

বরগুনায় আসমা আক্তার পুতুল (৩০) নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী মো. আবুল কালাম (৩৫)। রোববার রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি নামক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আসমা আক্তার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী এলাকার বকুলতলী এলাকার মো. ইউনুসের মেয়ে। তিনি পূবালী ব্যাংকের বরগুনা শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান।

পুলিশ জানায়, বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়ক বরিয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল করিম আকনের ছেলে আবুল কালাম স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বাগানবাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কালাম পেশায় একজন চা দোকানি। স্ত্রী আসমা আক্তারকে ব্যাংকের চাকরি পাইয়ে দিতে তিনি টাকা পয়সা খরচ করেন। পরে তার চাকরি হলে বেতনের টাকা স্বামীকে দিতে রাজি হয়নি আসমা। বিষয়টি নিয়ে প্রায় সময়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হতো। পরে রোববার রাত ৮টার দিকে নিজ বাসায় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে আহত করে ঘর থেকে বের হয়ে চলে যায় কালাম। স্থানীয় ও প্রতিবেশীদের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসমা আক্তারকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই বরগুনা সদর থানায় আত্মসমর্পণ করেন আবুল কালাম।

নিহতের মেয়ে রাকা মনি (১৩) জানান, আসমার এক জোড়া হাতের বালা অনেকদিন আগে বিক্রি করে কালাম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল। তাছাড়া আসমার আয় করা টাকা জোর করে নিয়ে যেতেন কালাম। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রোববার সন্ধ্যার পর নিজ বাসায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় আসমাকে। বরগুনা সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আবুল কালাম নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। কালামকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত চলমান রয়েছে।