ভারত
নয়াদিল্লির পদপিষ্টের ঘটনা আদতে ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা' , বিরোধী নিশানায় কেন্দ্র
মানবজমিন ডিজিটাল
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ১:১৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

শনিবার রাত ৯টা নাগাদ নয়া দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এই ঘটনায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। রেল বলছে, প্রত্যশার তুলনায় বেশি ভিড় এবং গুজবের জেরে দুর্ঘটনা। কিন্তু সে যুক্তি মানতে নারাজ বিরোধী শিবির। কংগ্রেসের দাবি, রেলের সার্বিক ব্যর্থতার জেরেই এই দুর্ঘটনা। গোটা ঘটনায় রেলের ব্যর্থতাকেই দুষেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে তোপ দাগেন তিনি। রাহুল এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট শেয়ার করে লেখেন,‘বর্তমানে প্রয়াগরাজে বহু পুণ্যার্থী যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে স্টেশনে আরও ভালো ব্যবস্থাপনা করা উচিত ছিল। অব্যবস্থাপনার কারণে যাতে কারও মৃত্যু না হয় তা প্রশাসনের নিশ্চিত করা উচিত।’
কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালও একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তোপ দাগেন কেন্দ্র সরকারকে। তিনি বলেন, ‘দেশের রাজধানীতে এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে যে কেন্দ্র সরকার অত্যন্ত অযোগ্য এবং শুধুমাত্র পিআর (প্রচার) করতে পারে। আসলে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না।'
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলছেন, ‘মোদি সরকার তথ্য চাপার চেষ্টা করছে। দিল্লির ঘটনায় সব মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা প্রকাশ্যে আনা হোক।’
এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘বিজেপি সরকার গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত এবং রেলের পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিষয়ে তদন্তের জন্য স্বতন্ত্রভাবে তদন্ত করা উচিত।’
বহুজন সমাজ পার্টির তরফেও সোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার জন্য রেল ও কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে এই পরিস্থিতি হল কেন? রেল কি দায় এড়াতে পারে?শনিবার রাত ৯টা নাগাদ মহাকুম্ভের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার জন্য নয়া দিল্লি স্টেশনে বহু পুণ্যার্থী জমা হন। এ দিন রাতে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে তিনটি ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে দু’টি ট্রেন লেট থাকায় ভিড়ের চাপ বাড়ে। ট্রেন ধরার জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় নারী , শিশু-সহ মোট ১৮ জনের। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।
সূত্র : দ্য ইকোনোমিক টাইমস