শেষের পাতা
আগে গণহত্যার বিচার, পরে অন্য কাজ- জামায়াত আমীর
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রবিবার
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ২৪-এর গণহত্যার বিচার অবশ্যই আগে করতে হবে, পরে অন্য কাজ। তা না হলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে। গতকাল কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন। শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর আমরা আমাদের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছি। কিন্তু স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে পারিনি। এটাই সত্য কথা। কিন্তু সাড়ে ১৫ বছরের ধারাবাহিকতায় তোমাদের নেতৃত্বে জাতি শেষ আঘাতটা ফ্যাসিজমের ওপর দিয়েছিল এবং জাতি সফল হয়েছিল। অনেকে আবার নিজেরা কৃতিত্ব দাবি করে। আমি মাস্টারমাইন্ড, অমুক ভাই মাস্টারমাইন্ড, তমুক নেতা মাস্টারমাইন্ড। মহাপরিকল্পনাকারী মহান রব্বুল আল আমিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। এখানে কোনো মাস্টারমাইন্ড আমরা বিশ্বাস করি না। জামায়াতের আমীর বলেন, আগে যেমন চাঁদাবাজি ছিল, এখনো আছে। এ চাঁদাবাজি কারা করছে, তা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখনো নিবন্ধন ফিরে পাইনি। জামায়াত একমাত্র দল যার নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছে। দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ এই দল আল্লাহর আইন চায়। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোনো অপকর্ম জামায়াতে ইসলামীকে স্পর্শ করেনি। কিন্তু যে দলই অতীতে ক্ষমতায় এসেছে তারা দুর্নীতি, লুটপাট করেছে। জামায়াতের কারও বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ নেই। আইনের অঙ্গনে এসে যারা বেআইনি কর্মকাণ্ড করেছেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় এসে লাথি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগ তাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বানিয়েছিলেন। তাদের কাছ থেকে বিচার পাওয়া যাবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই অবিচারের শিকার হয়ে আমাদের ১১ জন কলিজার টুকরা শীর্ষ নেতা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাদের ঠাণ্ডা মাথায় বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না, তবে আমরা অবশ্যই অপকর্মের বিচার চাই। আমাদের কথা স্পষ্ট। সব খুনের বিচার হতে হবে। এ বিচার না হলে শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে।
জামায়াতের আমীর বলেন, এ দেশে মেজরিটি মাইনরিটি একেবারেই মানি না। বাংলাদেশে যারাই জন্মগ্রহণ করেছে তারা এদেশের মর্যাদাবান গর্বিত নাগরিক। ইসলাম কারও ওপর জোর খাটানোর কোনো অধিকার রাখে না। অন্য ধর্মও কোনো ধর্মের ওপর জোর খাটাতে পারবে না যদি সেটি ধর্ম হয়ে থাকে। তিনি বলেন, সমাজের মধ্যে সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘুর বলে যুদ্ধ লাগিয়ে রাখা হয়েছিল। এখানে মেজরিটি মাইনরিটি বলে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরমের ভাইবোনদের নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের সম্পদ গ্রাস করা হয়েছে, জায়গা জমি দখল করা হয়েছে, ইজ্জতের ওপর হাত দেয়া হয়েছিল, ক্ষেত্র বিশেষে তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আর দোষ দেয়া হয়েছে জামায়াতের ওপর।
পাঠকের মতামত
এই কথা দেশের ও জনগণের মনের কথা, সবাই এক হওয়া উচিৎ এই কথার উপর।
১৯৭১ সালের পর থেকে শুরু করে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পন্ন করে নির্বাচন চাই!!!!!!!!!!!!
আমীরে জামায়াত যথার্থই বলেছেন।
খুব ভালো কথা তো ৭১ থেকেই শুরু হোক
100% right
তাই নাকি।