অনলাইন
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ
‘শেখ হাসিনা দেশকে এক ব্যক্তির তালুকে পরিণত করেছিল’
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার, ৫:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:৩১ অপরাহ্ন

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এক ব্যক্তির তালুকে পরিণত করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ। শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে আওয়ামী শাসনামলে ব্যাপক অর্থপাচার নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে একটি চৌর্যবৃত্তির অর্থনীতি দাঁড় করানো হয়েছিল। রাষ্ট্রের এমন কোনো অঙ্গ ছিলনা যা শেখ হাসিনা এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেননি। আর্থিকখাত থেকে শুরু করে বিচারালয় পর্যন্ত তিনি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাষ্ট্রকে একব্যক্তির তালুকে পরিণত করেছিল। শেখ হাসিনা সব সময় মনে করতেন ‘আমিই রাষ্ট্র’। ‘প্রাইভেটাইজেশন অব স্টেট’ এই ধারণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
যুবলীগ—ছাত্রলীগকে বিচারক নিয়োগ দিয়ে পুরো বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করা হয়েছিল উল্লেখ করে ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি এনায়েতুর রহিম এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারকে অনৈতিকভাবে বিচারিক সুরক্ষা দিয়েছিল। শেখ রেহানার মেয়ে বৃটিশ সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থপাচারের যে অভিযোগ এসেছে তা বাংলাদেশ ও বৃটিশ সরকারকে যথাযথ গুরুত্বসহকারে তদন্ত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত দেড় দশকে পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে টাকা পাচারের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীসহ সরকারের সুবিধাভোগীরা নেক্সাসের মাধ্যমে এ অর্থপাচার করেছে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি অর্থপাচারের সঙ্গে মুজিব পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখন সবার মুখে মুখে।
অর্থপাচারের সহযোগী হিসেবে কিছু বিচারপতি আজ্ঞাবহ হয়ে বিচার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘রাজনীতিবিদদের জন্যই আওয়ামী শাসন আমলে ব্যাপক অর্থপাচার সম্ভব হয়েছে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্ট আব্দুস সাত্তার সরকার, ড. এস. এম. মোর্শেদ, সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম ও সাংবাদিক মাঈনুল আলম।