ঢাকা, ২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

ভারত

ব্রহ্মপুত্রে চীনের বাঁধ নির্মাণ ইস্যুতে লোকসভায় ভারত সরকারের মনোভাব জানতে চাওয়া হল

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা

(১ মাস আগে) ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ৭:০১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০২ অপরাহ্ন

mzamin

প্রতীকী ছবি

তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উচ্চ অববাহিকায় (ইয়ারলুং সাংপো) বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণ করতে চলেছে চীন। কিন্তু এ ব্যাপারে ভারত সরকারের মনোভাব জানতে চেয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলা হযেছে। এর উত্তরে শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর এই ইস্যুতে চীনের কাছে ভারত নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সাম্প্রতিক চীন সফরের সময় বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছিল। এই বাঁধ নিয়ে চীন যাতে আরও স্বচ্ছতা বজায় রাখে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আবহে খুব দ্রুত এক্সপার্ট লেভেল মেকানিজমের একটি বৈঠক করে ব্রহ্মপুত্রের জল নিয়ে তথ্য আদানপ্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, চীনের ঘোষিত বাধ প্রকল্পের উপর ভারত নজর রেখে চলেছে। তবে তিনি বলেন, সাধারণভাবে ২০০৬ সালে স্থিরিকৃত 'ইনস্টিটিউশনালাইজড এক্সপার্ট লেভেল মেকানিজমে'র মাধ্যমেই সীমান্ত পার নদী নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারত আলোচনা করে থাকে। 

উল্লেখ্য, তিব্বতের যে অংশে বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন, তা হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত যেখানকার ভৌগোলিক, প্রাকৃতিক এবং বাস্তুতন্ত্রগত অবস্থান অত্যন্ত সংবেদনশীল। এই প্রকল্প খাতে ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে চলেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং এর আগে বলেছিলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হলে সংশ্লিষ্ট নদীর গতিপথের নিম্ন অববাহিকায় অবস্থিত অঞ্চলগুলির কোনও ক্ষতি হবে না। কয়েক দশকের সমীক্ষার পরই তাঁরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। 

এদিকে সংবাদ সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, চীনের সীমান্তের খুব কাছে অরুণাচল প্রদেশের দিবাং নদীতে  'দিবাং মাল্টিপার্পাস প্রোজেক্ট' নামে ভারত একটি বাধ নির্মাণ করতে চলেছে। অরুণাচল প্রদেশের লোয়ার দিবাং উপত্যকায় দিবাং নদীর ওপর তৈরি হবে এই বাঁধ বা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। এর থেকে ২৮৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে বছরে। এই প্রকল্পটি তৈরি করতে প্রায় ৩২ হাজার কোটি রুপি খরচ হবে। অনুমান করা হচ্ছে, মোট নয় বছর লাগতে পারে এই বাঁধটি নির্মাণ করতে।

ভূগর্ভস্থ ভিতের ওপর ২৭৮ মিটার লম্বা বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাঁধটি কংক্রিটের হবে। এই বাঁধটি ঘোড়ার খুরের আকারে তৈরি করা হবে। ৩০০ থেকে ৬০০ মিটার দীর্ঘ এবং ৯ মিটার ব্যাসের টানেল থাকবে এই বাঁধের নিচে। এই বাঁধের নিচে ভূগর্ভস্থ একটি পাওয়ার হাউজ থাকবে। জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে সেখান থেকেই বিদ্যুৎ তৈরি হবে।

ভারত থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

ভারত সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status