অনলাইন
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ১:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। আজ দুপুর ১টার দিকে এ দুই সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন কী রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে শতাধিক সুপারিশ থাকতে পারে বলে আগে জানা গিয়েছিল।
গত ৮ই আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে। এখন এর বাইরে আমি কিছু জানাতে পারব না।
গত ৩রা অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়।
অন্যদিকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩রা অক্টোবর।
পাঠকের মতামত
এদের নেতৃত্বে কোন সংস্কার সম্ভব নয়। এদের নিজেদের সংস্কার সবার আগে প্রয়োজন - কারণ তাঁদের বিভিন্ন অপতৎপরতায় একটা বিষয় দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার - এরা বিদায়ী ফ্যাসিস্টদের চেয়েও ভয়ঙ্কর এক ফ্যাসিস্ট শক্তি। ইতিহাসের বাতিঘর ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ি পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশবাসীর মাঝে এ ধারণা পাকাপোক্ত করতে সফল হয়েছেন। তাছাড়া ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোন নিরপেক্ষ নির্বাচনও সম্ভব নয়। কারন তিনি নিজেই ছাত্র সমন্বয়কদের উৎসাহ দিয়ে দল গঠন করাচ্ছেন। এদের- কে বিজয়ী করানোর লক্ষ্যেই তিনি সাধ্যমত সব চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যাতে পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে থেকে যেতে পারেন।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক বাস্তবায়নের দাবী জানাই। শিক্ষা ও স্বাস্থ ক্যাডারের সংস্কারটা যুক্তিযুক্ত। কারন আমার দেখা শিক্ষা ক্যাডারের বর্তমান শিক্ষকরা না শিক্ষক না কর্মকর্তা। আবার স্বাস্থ ক্যাডারের ডাক্তাররাও কেউ স্বাস্থ প্রশাসন বা কেউ শিক্ষার সাথে জড়িত। একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা। তবে সংস্কার যেন বাস্তব সম্মত হয়। দেশের মঙ্গল হয়। আবার কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠি এটার বাধা হয়ে দ্বাড়ায় তা কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রন করতে হবে। বাংলাদেশ যেন প্রশামনিক সংস্কারে বিশ্বের রোল মডেল হয় এই আমাদের চাওয়া।