অনলাইন
৩ শিক্ষার্থী আটকের জেরে উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা, আহত ৫
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
তিন শিক্ষার্থী আটকের প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব ও পশ্চিম থানায় হামলা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তরার শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তরা পশ্চিম থানার এএসআই মহাদেব সহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল হাসান বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করে আমাদের থানা পুলিশ। এরই জেরে শতাধিক শিক্ষার্থী প্রথমে উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাও করে। এরপর সন্ধ্যায় তারা এসে আমাদের উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া ইট পাটকেলের আঘাতে আমাদের অন্তত পাঁচ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে রাতে সেনাবাহিনীর দুটি টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সোমবার বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের জন্য একটি মিটিংয়ের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। মিটিং থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পূর্ব থানায় গিয়ে তারা জানতে পারে তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ আটক করে পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।
আটক হওয়ার পর পুলিশের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ওই তিন শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকা আসিফুল হক রবিন বলেন, আমরা ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগ ধরাই, ছিনতাকারী ধরিয়ে দেই। অথচ ক্রেডিট নেয় উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান। আবার সেই ওসিই আমাদের নামে অভিযোগ নিয়ে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা উত্তরার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালিকা করছিলাম। ওই সময় উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আবু সাঈদ আমাদেরকে থানায় নিয়ে আসে। তখন তাদের কাছে আটক করার কারণ জানতে চাইলে বলেছিলেন— আমাদের নামের উত্তরা পূর্ব থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওসি বলেছে, ডিসি স্যার নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর আমাদেরকে উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে আসে। তখন উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ বলছে, ওদের নামে তো কোনো মামলাই নেই। ওদের কেন গ্রেপ্তার করব?
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান বলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আহম্মেদ আলী, উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উত্তরা বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তারা ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আলোচনা করে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
GOOD
গ্রেফতারের নেপথ্যে রয়েছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। প্রিন্ট মিডিয়া কার ভয়ে ছাপতে পারলো না। ভয়ে যখন প্রকৃত খবর প্রকাশ করা যায় না - বুঝতে হবে ফ্যাসিস্ট কারা?
থানার পুলিশদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ।এগুলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার পোষ্য ছাড়া আর কেউ নয়।
সুষ্ঠ তদন্ত চাই......
শিরোনাম হওয়া উচিৎ ছিল " পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা"। কিন্তু তা হইনি। বিএনপি হলে শিরোনাম তাই হতো।
আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।এটা শুধু মুখের বুলি নয়।বাস্তবেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধা ভোগিদেরকে চিন্তিত করে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করা দরকার। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর নয় তাদেরকে সতর্ক করে বলে দিতে হবে ভবিষ্যত কর্ম পন্থাই তোমার ভাগ্য নির্ধারিত হবে।আর আমরা যারা আবু সাঈদ মুগ্ধের সৈনিক তাদেরকে সর্বদা চোখকান খোলা রাখতে হবে। নতুবা কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না।কথা আছে সাবধানের মার নেই।
এখনই নিষিদ্ধ করা হউক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নামের কুলাঙ্গারদেরকে।।।।।। দেশে যে ভাবে চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, তাতে করে নিষিদ্ধ করা উচিত।।।।।
Very good bosssssss
এই পুলিশ এখনও মানুষ হয় নাই। আওয়ামী আমলের সব রিক্রুট দের অনতিবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে!
গ্ৰেফতারের বিষয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে এখনই সতর্ক হতে হবে। কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।