শেষের পাতা
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ফেব্রুয়ারিতেই রাজনৈতিক কর্মসূচি, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা
স্টাফ রিপোর্টার
২৯ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবারআসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। প্রথম ধাপে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং দ্বিতীয় ধাপে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবিতে কর্মসূচি দেবে দলটি। পাশাপাশি ছাত্রদের জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়েও আলোচনা করেছেন স্থায়ী কমিটির নেতারা। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন নিয়ে বিএনপি’র প্রশ্ন থাকলেও ছাত্রদের এই উদ্যোগকে সম্পূর্ণরূপে তারা বাদ দিতে চায় না। সেজন্য দলটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই ঘোষণাপত্রের কোথায় কোথায় পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া যায়, সেটা তারা করবে। গত সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। সে লক্ষ্যে সরকারকে চাপে রাখতে দ্বিতীয় কর্মসূচি দেয়া হবে। জুলাই-আগস্টে নির্বাচনের দাবিটা মূলত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য। দলটি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আশা করছে। এজন্য এই দুই ইস্যুতেই রমজানের আগেই ঢাকাসহ দেশব্যাপী সমাবেশ করবে দলটি। খুব শিগগিরই বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে কর্মসূচির সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির নেতারা ছাত্রদের জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়েও আলোচনা করেছেন। সূত্র জানায়, ছাত্ররা বিএনপি’র কাছে ওই ঘোষণাপত্রের যে খসড়া পাঠিয়েছে, সেটা নিয়ে বিএনপি নেতারা আলোচনা করেছেন। সেখানে কী কী ধরনের পরিমার্জন, পরিবর্ধন আনা যায়- সেগুলো নিয়ে দলের ভেতরে কাজ চলছে।
জানা গেছে, আজ বুধবার জরুরিভিত্তিতে আবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে এগুলো চূড়ান্ত হবে। এরপর সংশোধনকৃত খসড়া নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গেও আলোচনা করবে বিএনপি। পরবর্তীতে এ ইস্যু নিয়ে সরকার আলোচনায় ডাকলে ‘শরিকদের সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরিকৃত খসড়া’ সেখানে তুলে ধরবে দলটি।
বিএনপির উচিত দ্রুত জনগরণর আস্থা পুনরুদ্ধার করা। ৭০% মানুষ এখন নতুন দল চায়।
ঘোষণা পত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে কাজ করবে তাতে আওয়ামী লীগ খুন গুম হত্যা অর্থ পাচার নির্বাচন বিচারসহ সকল রাস্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ৪ বাহিনী ধংস করার কথাও ১৭৫৭ সালে বাংলার স্বাধীনতা হারানো হতে সকল কাহিনী ধরে ৫ আগস্ট ২০২৪ইং তারিখ পর্যন্ত উল্লেখ করতে হবে।