ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ রমজান ১৪৪৬ হিঃ

বাংলারজমিন

ময়মনসিংহে ট্রেন রেখে পালিয়েছেন চালক, অবরুদ্ধ স্টেশন মাস্টার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

(১ মাস আগে) ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩:৩০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৫ পূর্বাহ্ন

mzamin

ময়মনসিংহে স্টেশনে ট্রেন রেখে পালিয়েছেন চালক। এসময় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খানকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। 

এর আগে সোমবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহ অঞ্চলেও ২৮ জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন কয়েক হাজার যাত্রী। টিকিট করেও গন্তব্যে যেতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। টিকিটের টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। 

সূত্র জানায়, মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল না করায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই)।

সরজমিন দেখা যায়, ক্ষুব্ধ ট্রেন যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে ট্রেন চালককে খুঁজতে থাকেন। ট্রেন চালককে খুঁজে না পেয়ে স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যাত্রী হোসেন আলী বলেন, ৯ দিন আগে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি টিকিট অনলাইনে করেছি, স্টেশনে এসে শুনি ট্রেন চলবে না। এখন টিকিটের টাকাও ফেরত পাচ্ছি না। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তিনদিনের মধ্যে টাকা পাব। এর কোনো মানে হয় না। তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে আমরা কেন ভুগছি।

সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তিতে দুঃখ প্রকাশ করে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান বলেন, এই অঞ্চলে ২৮ জোড়া ট্রেনে প্রায় ৬ হাজার যাত্রী চলাচল করে। ট্রেন বন্ধ থাকায় সকলেই ভোগান্তিতে পড়েছে। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাও বলতে পারছি না।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার ওসি আকতার হোসেন বলেন, সকাল সোয়া ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ হাওর এক্সপ্রেস স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেন স্টেশনে পৌঁছানোর সাথে সাথে চালক পালিয়ে যায়। পরে যাত্রীরা ট্রেন চালককে খুঁজতে থাকেন। তবে, যাত্রীরা চালককে খুঁজে না পেয়ে স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্টেশনে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 

পাঠকের মতামত

ট্রেন চালক, স্টেশন মাস্টার, রানিং স্টাফ সবাই দুর্নীতি পরায়ণ। দশ দিন আগে অনলাইনে টিকিট বিক্রি চালু হলেও তা শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০ মিনিটের ভিতরেই। এরাই এগুলো কিনে রেখে পরবর্তীতে চড়া দামে বিক্রি করে। ট্রেন ছাড়ার পূর্বে এই টিকিট বিক্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা ট্রেন ইচ্ছে করে ছাড়ে না। তাতে তিন ঘন্টাই দেরি হোক আর পাঁচ ঘন্টাই দেরি হোক। প্রতিদিন ঘটছে রেল সেক্টরে এইরূপ অরাজকতা। এই চরম দুর্নীতি পরায়ণ সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া এখনই জরুরী। সবগুলোকে বরখাস্ত করে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কর্মকর্তা কর্মচারী দিয়ে ট্রেনের স্টাফ সাজানো হোক। নতুন বাংলাদেশে আবার নতুন করে পথ চলা শুরু করা হোক।

আল ফারুক
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:২২ অপরাহ্ন

আজ যাঁরা কর্মবিরতি পালন করেছে তাদের সবাই কে বরখাস্ত করা হোক, ট্রেন চালানো জটিল কিছু নয়,দুই সপ্তাহের ট্রেনিংএ যে কেউ তা করতে পারবো।

ইতরস্য ইতর
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৫ অপরাহ্ন

বাংলারজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বাংলারজমিন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status