শেষের পাতা
পুলিশ, র্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চূড়ান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবারসংস্কারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নতুন পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে নতুন রঙের পোশাক নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, তিনটি সংস্থার-পুলিশ, র্যাব ও আনসারের জন্য পোশাক সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করা হবে। একসঙ্গে সব করা সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের পোশাক হবে লোহার (আয়রন) রঙের। র্যাব’র পোশাক হবে জলপাই (অলিভ) রঙের। আর আনসারের পোশাক হবে সোনালী গমের (গোল্ডেন হুইট) রঙের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পুলিশ বাহিনী সংস্কারের দাবি ওঠে। একই সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরিবর্তন দাবি ওঠে। সংস্কারের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা বলেন, ?পোশাকের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আমরা র্যাব’র জন্য একটি, পুলিশের জন্য একটি এবং আনসারের জন্য একটি পোশাক নির্ধারণ করেছি। পর্যায়ক্রমে বাহিনীগুলোর সদস্যদের নতুন পোশাক দেয়া হবে। কেন পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলো- এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে সবারই মন-মানসিকতা সবকিছু পরিবর্তন হতে হবে। সাংবাদিকরা একটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জোর দেবেন- সেটা হলো দুর্নীতি। দেশ থেকে যদি দুর্নীতি দূর করতে পারেন, তবে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।
পোশাক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অর্থের প্রয়োজন হবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পোশাক যখন দেয়া হচ্ছে এভাবে আস্তে আস্তে আমরা দিয়ে দেবো। যেন বড় ধরনের সমস্যা না হয়। বৈঠকে ১৮ ধরনের পোশাকের ট্রায়াল দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে পাঁচ রঙের পাঁচটি পোশাক নির্ধারণ করা হয়। পরে সেই পাঁচজনের মধ্য থেকে তিনটি পোশাক নির্বাচন করে কমিটি। পুলিশের পোশাকের রঙ আয়রন, র্যাব’র পোশাকের রঙ গ্রিন অলিভ, আনসারের পোশাকের রঙ গোল্ডেন হোয়াইট বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জন্য সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল (কাঁদানে গ্যাস) কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, সীমান্তে সবসময় লেথাল (প্রাণঘাতী অস্ত্র) দেয়া ছিল। অনেকে প্রশ্ন করেছেন, বিজিবি কেন সাউন্ড গ্রেনেড মারেনি, কেন কাঁদানে গ্যাস মারেনি? কিন্তু এগুলো তো বিজিবি’র কাছে নেই। তাদের কাছে লেথাল, যেটা তারা ব্যবহার করতে পারেনি। গত ১৮ই জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বিজিবি এমন কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিজিবি’র কাছে এগুলো নেই। তাহলে তারা কীভাবে এগুলো ব্যবহার করবে? এখন আমরা তাদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছি। তাদের জন্য এসব জিনিস ক্রয় করা হবে। সীমান্তে এখন পরিস্থিতি কেমন- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। সেখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই।
না হয়নি.... এই পোশাকে তাদের হারানো মনোবল তো আসবেই না, যতটা আছে সেটাও থাকবেনা
মোটেও পছন্দ হয়নি। র্যাব এর ইউনিফর্ম তো পুলিশ আগেই ব্যবহার করেছে।
পোশাক পছন্দ হলো না. এর চেয়ে ভালো পোশাকের মডেল পুলিশ সেখানে ছিলো. একদল পন্ডিত রাস্টার এত অর্থ খরচ করে এমন পোশাক কেন সংগ্রহ করল কেন ? অনলাইন ভোট এ পাব্লিকের পরামর্শ নিতে পারতো.