বাংলারজমিন
সান্তাহারে সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
২১ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাস্তা নির্মাণের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ এসেছে ঠিকাদার জাহিরুল ইসলাম নিম্নমানের ইট, খোয়া ও মাটিযুক্ত বালু কার্পেটিং কাজে ব্যবহার করছেন তিনি। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রথবাড়ী এলাকায়।
জানা যায়, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি পান ঠিকাদার জাহিরুল ইসলাম। টেন্ডারে অনেক ঠিকাদার অংশগ্রহণ করেও পরিশেষে ২০ পার্সেন্ট ছাড় দেয়ায় কাজটি পেয়েছেন তিনি। নিম্ন্নমানের ইট, খোয়া ও মাটিযুক্ত বালু নির্মাণ কাজে ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে কাজ করছেন। এ বিষয়ে পথচারী শেফালী বেগম জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত ব্যস্ততম। এ কারণে উন্নতভাবে রাস্তাটির কাজ করতে হবে। কিন্তু দেখলাম নিম্ন্নমানের বিভিন্ন সামগ্রী ব্যবহার করছেন ঠিকাদার। রথবাড়ী মহল্লার আমজাদ হোসেন ও মুক্তা খন্দকার জানান, নম্বরবিহীন ইট, ময়লাযুক্ত খোয়া, বালির মধ্যে মাটি এসব ব্যবহার করে রাস্তাটি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার লোকজনরা গুরুত্ব দেয় না। শ্রমিকরা বলছে, এভাবে কাজটি করতে তাদের নির্দেশনা দিয়েছে ঠিকাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, জাহিরুল ২০-২৫ পার্সেন্ট লেসে প্রত্যেকটি কাজ নেয়। এরপর সংশ্লিষ্ট অফিসে প্রচুর কমিশন দিয়ে তাদের হাত করে রাখেন। এজন্য দায়িত্বরত কর্তৃকর্তা তার কোনো কাজ নামমাত্র দেখভাল করেন। বিল নিয়েও তেমন জটিলতা পোহাতে হয় না। এজন্য তার প্রত্যেকটি কাজের মান গুণগত হয় না। অভিযুক্ত ঠিকাদার জাহিরুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। কাজের মান সঠিক রয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হবে না। সান্তাহার পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রায়হান আলী মণ্ডল জানান, খবর পেয়ে কাজের সাইটে যাই। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। নিম্নমানের খোয়া, ইট ও মাটি সরিয়ে ফেলতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
বাকিটা পৌরসভার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়টি জানার পর কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। কাজে অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। সরজমিন পরিদর্শন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।