অনলাইন
দিল্লি ফ্যাসিবাদের ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়’: রিজভী
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ৫:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
দিল্লি ফ্যাসিবাদের একটি ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে’ পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্ত্বরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে’ নিম গাছের চারা রোপণ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, পাশের একটি দেশ ফ্যাসিবাদের সেইফ হোমে পরিণত হয়েছে। দিল্লি যেন ফ্যাসিবাদের একটি ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে’ পরিণত হয়েছে। সুতরাং তারা (ফ্যাসিবাদীরা) বসে নেই। তারা নানাভাবে এবং নানা কায়দায় তাদের চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা দেশের টাকা পাচার করেছে, অর্থনীতিকে একটি হুন্ডির চক্রের মধ্যে আবদ্ধ করে রেখেছিল তাদের যেনো ফের উত্থান না ঘটে। গণতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে একে অপরের প্রতি আলোচনা-সমালোচনার বিষয়টি থাকলেও আমাদের মধ্যে একটা ন্যুনতম ঐক্য থাকতে হবে। এই ঐক্য যদি না থাকে তাহলে সেই ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটা অস্বাভাবিক হবে না।
রিজভী বলেন, আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে এই যে কথা বলছি, সেটা কত আনন্দ-উচ্ছ্বাস বা উল্লাসের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যখন আমি ছাত্র রাজনীতির কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি তখন অপরাজেয় বাংলা, মধুর ক্যান্টিনে এবং সারা ক্যাম্পাসে কত রাজনৈতিক বক্তৃতা, বিতর্ক আমরা করেছি। সেই আনন্দের দিন যেন স্বৈরাচারের সময়ে হারিয়ে গিয়েছিল। এই অবস্থায় আমরা কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে যেতে সাহস করতাম না। যখন যেতাম তখন আমরা গাড়ির জানালাটা তুলে দিতাম, কেউ যেন না দেখে। শেখ হাসিনার আমলে ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। পরিবেশকে বিপন্ন করে ফেলেছিলেন শেখ হাসিনা।
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে ঢাবি সাদা দলের আহ্বায়ক ড. মোর্শেদ হাসান খান, শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. সোহাগ আওয়াল, সদস্য প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক ড. লুৎফর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
লাখ টাকার কথা !! বাংলাদেশে ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে স্যুট কোট পড়ে ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কারা কারা যেন গিয়েছিল ?
আপনারা নতুন করে দিল্লির দাসত্ব শুরু করেছেন, এটা জনগন বুঝে ফেলেছে.... আপনাদের কি বিবেক নাই, দেখতে পাচ্ছেন না???? বাংলাদেশের মানুষ কারও কর্তৃত্ব চায় না.... এমনভাবে চলতে থাকলে জামাতকে ভোট দিবে জনগন....
আর আপনারা তাদের বাংলাদেশের দোসর। নতুনদের ভয়ে আমি দের সাথে পুতুল খেলা করতে যেয়েন না তাহলে দেশত্যাগের প্রস্তুতি নিতে হবে।