ভারত
ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন? নজর শিয়ালদহ কোর্টে
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(৩ সপ্তাহ আগে) ২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার, ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৮ অপরাহ্ন

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আজ সাজা ঘোষণা। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শনিবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। সোমবার তার বক্তব্য শুনে শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস শাস্তি ঘোষণা করবেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণ জনিত আঘাতের কারণে মৃত্যু), ১০৩(১)(খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয়। আইনজীবী মহলের একাংশের কথায়, সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এই ঘটনা বিরলতম। ফলে কী শাস্তি সঞ্জয়কে দেওয়া হবে তার আগাম অনুমান সম্ভব নয়।
তবে খুন ও ধর্ষণের মামলায় দোষীর সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তা আগেই সঞ্জয়কে জানিয়েছেন বিচারক। কিন্তু বিচারকের সাজা ঘোষণার আগে রবিবার সংশ্লিষ্ট সব মহলই একসুর, পৈশাচিকতা ও চরম অমানবিকতায় সঞ্জয় রায় যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে প্রমাণিত, সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি ছাড়া আর কোনও শাস্তিই তার যথোপযুক্ত নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই থেকে শুরু করে নির্যাতিতার বাবা-মা ইতিমধ্যেই সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ সাজা দিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।
সোমবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তা শিয়ালদহ আদালত চত্বরে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় বিচার চলাকালীন খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সমস্ত বায়োলজিক্যাল রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করেছিলেন বিচারক। সঞ্জয়-সহ ৫১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিল। সমস্ত তথ্য-প্রমাণ খুঁটিয়ে দেখেছেন বিচারক।
গত বছর ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল মেডিসিন বিভাগের সেমিনার রুম থেকে। তাকে ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের মধ্যে কর্তব্যরত অবস্থায় কে এই নৃশংস কাজ করেছিল তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে।