অনলাইন
সহযোগীদের খবর
দেশে চারটি প্রদেশের কথা ভাবছে কমিশন
অনলাইন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার, ৯:৩০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ ‘জনপ্রশাসন সংস্কার: দেশে চারটি প্রদেশের কথা ভাবছে কমিশন’। খবরে বলা হয়, দেশের পুরোনো চারটি বিভাগকে চারটি প্রদেশ করার সুপারিশের কথা ভাবছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের ব্যবস্থাপনা প্রদেশের হাতে দেওয়ার পক্ষে এ কমিশন।
গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনসংক্রান্ত সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা না দিলেও ওই অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা তাঁদের সম্ভাব্য কিছু সুপারিশের কথা তুলে ধরেন। এর মধ্যে চারটি প্রদেশ করার বিষয়টিও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সম্ভাব্য সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে চারটি প্রদেশ করা। এই চার প্রদেশ হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা। তবে এসব প্রদেশের পরিচালনা কাঠামো কেমন হবে, কাজ কী কী হবে, সেই ভাবনা এখনো জানা যায়নি।
কমিশনের একটি সূত্র বলেছে, বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে আছে। এখনো কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত হয়নি।বিষয়টি মূলত সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়। তাই কাঠামোর বিষয়ে তাদের পক্ষে এখনই বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে একাধিক প্রদেশ করার আলোচনা নতুন নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন ‘রাষ্ট্র মেরামতের এখনই সময়’ শীর্ষক লেখায় পাঁচটি প্রদেশ করার প্রস্তাব করেন। প্রথম আলোতে প্রকাশিত এ লেখায় পাঁচ প্রদেশের কাজ কী হবে, সেই ধারণাও দেন তিনি। বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি। ছোট দেশ হলেও এত বিরাট জনগোষ্ঠীর কাছে সরকারকে নিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশকে ন্যূনতম পাঁচটি প্রদেশে ভাগ করে একটি ফেডারেল কাঠামোর রাষ্ট্র করা যেতে পারে। পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে দুটি করে চারটি প্রদেশ ও বৃহত্তর ঢাকা নিয়ে আরেকটি প্রদেশ। মেট্রোপলিটন ঢাকা কেন্দ্রশাসিত থাকবে। কেন্দ্রের হাতে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, সীমান্ত ও সমুদ্রনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো থাকবে। বাকি বিষয়গুলোতে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধান থাকলেও প্রদেশগুলো ব্যবস্থাপনায় থাকবে।
তবে প্রদেশ গঠনের চিন্তাকে নানা কারণে বাংলাদেশের জন্য সঠিক মনে করেন না স্থানীয় শাসনবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। এম সাখাওয়াত হোসেনের লেখার প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোতে তিনি একটি কলাম লিখেছিলেন।
তোফায়েল আহমেদ এখন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান। গতকাল এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি সাধারণভাবে আমার লেখায় যেটা বলার চেষ্টা করেছি এবং এখনো মনে করি, সেটা হচ্ছে ভৌগোলিকভাবে এই দেশটা একটা ছোট দেশ। মানুষ হয়তো বেশি। তবে ভাষাগত, ভৌগোলিক অবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো বিভাজন নেই। আমি করে করি, বর্তমানে যেসব বিভাগ আছে এবং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করলে এবং এখানে ভালো কাজ করার ক্ষমতা দিলে প্রদেশের ঝামেলা না গেলেও চলে। প্রদেশ সমস্যা সমাধানের চেয়ে নতুন করে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করবে।’
বর্তমানে সারা দেশে আটটি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। এর বাইরে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার আলোচনা আছে। এর আগে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও তাদের সম্ভাব্য সুপারিশে কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার কথা বলেছে।
১৫ জানুয়ারি সংবিধান সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ এসেছে, তার মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনের ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া সংবিধান সংস্কার কমিশন উচ্চ আদালতের বিকেন্দ্রীকরণ করে দেশের সব বিভাগে হাইকোর্ট বিভাগের সমান এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্টের স্থায়ী আসন চালুর সুপারিশ করেছে।
যুগান্তর
‘ঢাকার যানজট আরও বাড়বে’-এটি দৈনিক যুগান্তারের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে অতিরিক্ত র্যাম্প (ওঠানামার রাস্তা) রাখার কারণে এর মূল উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে পারে-এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, প্রায় নয় হাজার (৮ হাজার ৯৪০) কোটি টাকার এই প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে বাস্তবায়নের পর রাজধানীর ঢাকার যানজট আরও বেড়ে যাবে। নিশ্চিতভাবে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে নগরবাসীর দুর্ভোগ।
বিশেষজ্ঞদের আরও অভিমত-ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের (কাওলা-কুতুবখালী) বিমানবন্দর থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত অংশে অতিরিক্ত র্যাম্পের কারণে বিমানবন্দর সড়ক, বনানী, মহাখালী ও ফার্মগেট এলাকায় যানজট বেড়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে ওপর বা নিচ যে কোনো পথেই হতে পারে। তবে এর মূল দর্শন হলো-বাধাহীন দ্রুতবেগে লম্বা দূরুত্বে চলাচল করা। এক্সপ্রেসওয়ে কখনো দুটো শহরকে সংযুক্ত করে। আবার কখনো এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের সংযোগ হয় আরেক এক্সপ্রেসওয়ে বা হাইওয়ে সড়কের সঙ্গে। নগর সড়কের সঙ্গে এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ কোনো বিবেচনায় যৌক্তিক নয়। এজন্য সরকার এখন নির্মাণাধীন শহরে নামার র্যাম্প অপরিহার্য গুটিকয়েক রেখে বাকিগুলো বাদ দিয়ে দিতে পারে। পার্ক, জলাধার ধ্বংস এবং শহরের জন্য যানজট বাড়াবে এমন র্যাম্প করার কোনো মানে হয় না। সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার। আর ঢাকার নগর সড়কের গতিবেগ ৫ কিলোমিটার; যা বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতিবেগের সড়ক। দ্রুতগতির গাড়িগুলো র্যাম্পে এসে আটকে যাচ্ছে।
যার প্রভাব পড়ছে ওপরের সড়কে। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গতিবেগও কমে যাচ্ছে। ১৯.৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০টি র্যাম্প হতে পারত। কিন্তু তারা এক্সপ্রেসওয়ের দর্শন থেকে সরে গিয়ে টোল আদায় বা বাণিজ্যকে প্রাধান্য দেওয়ায় নকশায় ৩১টি র্যাম্প করা হয়েছে; যার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ২৭ কিলোমিটার। যেটা মূল সড়কের দৈর্ঘ্যরে চেয়েও বেশি। চালু হওয়া কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের ওঠানামার পথে প্রায় তীব্র যানজট থাকছে। সবগুলো র্যাম্প চালু হলে নগরে আরও নতুন নতুন যানজট স্পট তৈরি করবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহণ ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বুধবার যুগান্তরকে বলেন, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে পলাশী সংযোগ সড়ক বাতিলের দাবিতে আন্দোলনও চলছে। আমরা প্রকল্পের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে একটি কমিটি গঠন করার চিন্তা করছি।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা শহরের যানজটের ভোগান্তি কমাতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছ থেকে কাওলা হয়ে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর দিয়ে যাত্রাবাড়ীর অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে হাইওয়েতে মিলবে এ সড়ক। গত জুনের মধ্যে প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অর্থায়ন জটিলতায় প্রকল্পের কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। চলতি মাস থেকে মন্থর গতিতে নতুন করে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘বই সংকটে লেখাপড়া ব্যাহত’। খবরে বলা হয়, নতুন বছর শুরুর আগেই এক বছরের শিক্ষাপঞ্জি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে এক বছরে কত দিন ক্লাস হবে, পরীক্ষা নেওয়া হবে কবে—এসবের উল্লেখ থাকে। যেসব স্কুল শিক্ষাপঞ্জির বাইরে আরো কিছু পরীক্ষা নেয়, তারাও বছরের শুরুতে সেটা ঠিক করে দেয়। কিন্তু ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও এবার এখনো বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাঠ্যবই হাতে পায়নি।
বই নিয়ে চলছে রীতিমতো হাহাকার। এরই মধ্যে নতুন বছরের ১৮ দিন পার হলেও বই না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখাও অনেকটা বন্ধ। শুরুতেই শিক্ষার্থীরা পাঠে এমন হোঁচট খাওয়ায় অভিভাবকরাও চিন্তিত। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশা করছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে সব বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
যদিও প্রেস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এপ্রিলের আগে সব বইয়ের কাজ শেষ হওয়ার সুযোগ কম। আগেও বছরের প্রথম দিন বই উৎসব করা হলেও সব বইয়ের কাজ শেষ করতে ফেব্রুয়ারি মাস লেগে যেত। তবে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ বইয়ের কাজ শেষ হয়ে যেত। এতে কোনো কোনো স্কুলে সামান্য বই দেওয়া বাদ থাকলেও তা নিয়ে তেমন কথা উঠত না।
কিন্তু এ বছরের ঘটনা উল্টো। এ পর্যন্ত প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বই পেলেও চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির মাত্র তিনটি পর্যন্ত বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। কিছু ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী সেটাও পায়নি।
সম্প্রতি শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শিক্ষার্থীরা সব পাঠ্যবই হাতে পাবে। আমরা (বই ছাপা) কার্যক্রম শুরু করেছি দেরিতে।
আমাদের বই পরিমার্জন করতে হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস, কারিকুলাম নতুন করে করতে হয়েছে। বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতে তো দেরি হবেই। আগের সরকারের আমলে মার্চের আগে পুরোপুরি বই দেওয়া হয়নি।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘প্রথম দিকে আমরা আর্ট পেপার পাচ্ছিলাম না। কাগজের সংকটও ছিল। পরবর্তী সময়ে ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যদের সহায়তায় আর্ট পেপারের সমস্যা সমাধান হয়েছে। (আর্ট পেপার নিয়ে) বিদেশ থেকে জাহাজ রওনা হয়ে গেছে। আশা করছি, জানুয়ারির শেষ দিকে জাহাজ এসে পৌঁছাবে।’
সমকাল
‘বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে কোটি কোটি টাকা লুট আওয়ামী ঘনিষ্ঠদের’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বেসরকারি অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় দখলের পর ফোকলা করার অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের ক্ষমতা বলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে সেখানে বসানো হয় তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের। পেশিশক্তি দিয়ে আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডে ঢুকে কয়েকশ কোটি টাকা লুটেছেন তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে লাপাত্তা দখলদাররা। এ সুযোগে কর্তৃত্ব বুঝে নিচ্ছেন পুরোনো মালিকরা। তবে বিপুল বেহাত অর্থ ফেরত নিয়ে সন্দিহান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের দায়িত্বে থাকা সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট কায়দায় বিশ্ববিদ্যালয় দখল হয়েছিল। আমরা চাই, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইন মেনে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতাদের মাধ্যমে চলুক। ইতোমধ্যে কয়েকটির কর্তৃত্ব বুঝে পেয়েছেন মালিকরা।’ তহবিল তছরুপ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটি দুদকের তপশিলভুক্ত অপরাধ। আমাদের নজরে কিছু এলে তদন্তে তাদের কাছে পাঠাচ্ছি।’
জঙ্গিবাদের অভিযোগে দখল নর্থ সাউথ ও মানারাত
আচার্যের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডে পরিবর্তন আনা হয়। পুরোনো ট্রাস্টিদের বিরুদ্ধে ‘জঙ্গিবাদ বিস্তারে ভূমিকা’ ও ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ তুলে সরকারিভাবে দখলে নেতৃত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাদ পড়েন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আজিম উদ্দিন আহমেদ, রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাজাহান ও বেনজীর আহমেদ। বিপরীতে যুক্ত হন টিকে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি এম এ কালাম, কনকর্ড ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি এস এম কামাল উদ্দিন, আবুল খায়ের গ্রুপের এমডি আবুল কাশেম, মিনহাজ গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক ইয়াসমিন কামাল, বেক্সিমকো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আহমেদ সোহেল ফসিউর রহমান, ইউনাইটেড ফসফরাস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফৌজিয়া নাজ, ইউনিভার্সিটির তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ, ইনকনট্রেড লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর হারুন, উদ্যোক্তা জাভেদ মুনির আহমেদ, ফাইজা জামিল ও শীমা আহমেদ। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে উচ্চ আদালতের আদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের ট্রাস্টি বোর্ড বাতিল করে আজিম উদ্দিনসহ পুরোনোদের পুনর্বহাল করা হয়েছে।
আওয়ামী নিয়ন্ত্রিত ট্রাস্টি বোর্ড দুই বছরে বিপুল অর্থ তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তদন্ত না হওয়ায় সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি। যোগাযোগ করে বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে পুরোনো ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্বহাল হয়েছে। এর বেশি কিছু জানি না।’
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর ‘দুষ্প্রাপ্য’ বিনা মূল্যের বই সহজলভ্য দোকানে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির নতুন বছরের পাঠ্যবইয়ের সংকট রয়েছে। কবে নাগাদ এ সংকট কাটবে, সে বিষয়ে কোনো সুখবর দিতে পারছে না জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দুষ্পাপ্য হলেও অনেকটা সহজলভ্য দোকানে। নীলক্ষেত, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বই বিক্রির দোকানে মিলছে প্রথম থেকে দশম শ্রেণির সব পাঠ্যবই। প্রাথমিকের প্রতি শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যবইয়ের প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। আর মাধ্যমিকের প্রতি শ্রেণির পাঠ্যবই প্যাকেজ সাড়ে ৪ হাজার টাকায় ক্রয় করা যাচ্ছে। সন্তান লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাবে, এ দুশ্চিন্তা থেকে অনেক অভিভাবক এসব বই দোকান থেকে কিনছেন বেশি টাকা দিয়ে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কালোবাজারিতে পাঠ্যবই বিক্রিতে জড়িত কিছু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তারা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে বরাদ্দের বেশি বই গ্রহণ করেছেন। এরপর বাড়তি বইগুলো অধিক মূল্যে বিক্রি করেছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এক শ্রেণির প্রধান শিক্ষকরাও এই সিন্ডিকেটে জড়িত। সারা দেশ থেকে আসা সেসব বই রাজধানীর নীলক্ষেত ও বাংলাবাজারে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে বিক্রি হচ্ছে। সিন্ডিকেট করে পাঠ্যবই বিক্রয়ের সঙ্গে এক শ্রেণির অসাধু ছাপাখানার মালিকও জড়িত। বেশি মুনাফা পেতে তারা পাঠ্যবই বিক্রি করছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে প্রতিটি পাঠ্যবই ছাপাতে খরচ হয় ৩০ থেকে ৫০ টাকা। সেগুলো বিক্রি করা হয় ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। আর দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানিয়েছে, দেশের অনেক জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বেশি বইয়ের চাহিদা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই কালোবাজারে চলে যাচ্ছে বই। এছাড়া অনেক স্কুলও বেশি বইয়ের চাহিদা দিয়েছে। সেসব স্কুল এখন বাজারে বই বিক্রি করে দিচ্ছে। এছাড়া কিছু মুদ্রণপ্রতিষ্ঠান অধিক মুনাফার লোভে পাঠ্যবই বিক্রি করছে। বাংলাবাজার, সূত্রাপুর, আরামবাগ ও নয়াপল্টনের মুদ্রণ, ছাপা ও বাঁধাই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও বই কালোবাজারে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, সিন্ডিকেট করে খোলা বাজারে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে একাধিক সংস্থা মাঠে নেমেছে। এনসিটিবির মনিটরিং টিমও কাজ করছে। প্রিন্টারদের ডেকে এনে জবাব চাওয়া হয়েছে। দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এদিকে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে সরকার। গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বুধবার নীলক্ষেতের বেশ কিছু লাইব্রেরিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে পাঠ্যবই পেয়েছে। চায়না বুক হাউজ, মিজি বুক হাউজ, বইয়ের দেশ-২ এবং মামুন বুক হাউজসহ কয়েকটি লাইব্রেরি থেকে বিনা মূল্যের পাঠ্যবই উদ্ধার করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এসব দোকানের মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। তবে কালোবাজারে বই ছাড়ার সিন্ডিকেটের মূল হোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।
২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকে নবম-দশম শ্রেণির সব পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো সরবরাহ করতে পারেনি সরকার। এ বছরের প্রথম দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়েছে নামমাত্র কিছু বই। পরে আরো কিছু বই সরবরাহ করা হলেও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনো বই পায়নি। রাজধানীর পাঁচটি স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, মাধ্যমিকের একটি বইও পায়নি অনেকে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, যত্সামান্য বই পাওয়া গেছে, তা বিতরণ করা হয়েছে। বাকি বই হাতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হবে।
নয়া দিগন্ত
‘টিউলিপের মতো পরিণতি হতে পারে সায়মা ওয়াজেদের’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগ রয়েছে, শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পদ বাগিয়ে নেন সায়মা ওয়াজেদ। আর এসব কারণেই এবার পুতুলও চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলে ভারতের অনলাইন মিডিয়া প্রিন্টের এক নিবন্ধে বলেছেন কলকাতাভিত্তিক সাংবাদিক মনদ্বীপা ব্যানার্জি।
প্রতিবেদনে তিনি বাইবেলের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বাবার পাপের দায় ছেলের ওপর পড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার পাপের দায় পড়েছে তার বোনের মেয়ে টিউলিপের ওপর। যার কারণে টিউলিপ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এবার এ দায় পড়তে যাচ্ছে তারই মেয়ে পুতুলের ওপর। যিনি ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হয়েছিলেন।
টিউলিপের পদত্যাগের পর থেকেই এবার সবার নজর শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের ওপর যিনি ২০২৩ সালের ১ নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
সাংবাদিক মনদ্বীপা ব্যানার্জি স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটের ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ওই প্রতিবেদনে পুতুলের প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তারা অভিযোগ করেছিল, মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করা পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার যোগ্য না। অভিজ্ঞ ও যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে শুধু স্বজনপ্রীতির কারণে তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এমন স্বজনপ্রীতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করবে।
এ ছাড়া ২০২৩ সালে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসও তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। এতে বলা হয়, আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাথে আরেকজন প্রার্থী ছিলেন নেপালের শম্ভু আচার্য। তিনি ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, যিনি ৩০ বছর যাবৎ সেখানে কাজ করছেন। এ ছাড়া জনস্বাস্থ্যের ওপর তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে। অন্য দিকে, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কাজ করতেন। তার বেশিরভাগ কাজ ছিল অটিজম নিয়ে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সায়মা ওয়াজেদ স্কুল সাইকোলিজস্ট হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তিনি একটি দাতব্য ও গবেষণা সংস্থা দেখাশোনা করেন। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় বড় বাজেট নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তার নেই। আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার আগে পুতুল তার মা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিভিন্ন সফরে যেতেন। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে যে, পুতুল কিভাবে চাকরি পেলেন। তার নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে; নাকি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা হিসেবে তথা তার মায়ের হস্তক্ষেপে!
দ্য প্রিন্ট বলছে, সবার দৃষ্টি এখন পুতুলের দিকে। এখন দেখার বিষয়- পুতুলও তার খালাতো বোন টিউলিপের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে বাধ্য হন কি না। দুর্নীতি, তথ্যগোপন ও অর্থ আত্মসাতের মতো একের পর এক অভিযোগের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মন্ত্রী এবং শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এবার টিউলিপের মতো পরিণতি হতে পারে শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘অর্থের সংস্থান না থাকলেও বড় বাজেটের পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ শুরু করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগামী অর্থবছরের জন্য ৮ লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আকার কমানো হলেও আসন্ন বাজেটের ব্যাপ্তি ৮ লাখ কোটি টাকার নিচে নামবে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এর আগে চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য মোট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার।
বিগত সরকারের আমলে গোষ্ঠীতন্ত্রের স্বার্থরক্ষা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থেকে প্রতি বছরই আকার বাড়ানো হয়েছে বাজেটের। যদিও তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়নি কখনই। ফলে বাজেটের সঙ্গে ঘাটতি ও তা পূরণে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ঋণের আকারও বড় হয়েছে নিয়মিতভাবে। গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মঘাতী এ বাজেট প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসা হবে বলে প্রত্যাশা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু চলতি অর্থবছরের জন্য আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া বাজেটে কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন আনেনি অন্তর্বর্তী সরকার। বরং বিগত সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান ছাড়াই আরো বড় আকারের বাজেট ঘোষণার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) ঘোষিত বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়েছে ৬ লাখ ২ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। এর ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্যও ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজেট রেখে গেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। দেশী-বিদেশী উৎস থেকে নেয়া ঋণের মাধ্যমে এ ঘাটতি পূরণের কথা রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তবায়নের সক্ষমতা না থাকলেও অতীতে বরাবরই সরকারের পক্ষ থেকে বিশাল অংকের বাজেট দেয়া হয়েছে। যদিও অর্থবছর শেষে কখনই পুরো বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া বরাবরই বাজেটের বড় একটি অংশ বাস্তবায়ন হয়েছে অর্থবছরের শেষ মাসে। এতে অর্থ অপচয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাজেট বাস্তবায়নের গুণগতমান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বারবার।
চলতি অর্থবছরের বাজেট কার্যকর হয় গত ১ জুলাই। এর ৩৫ দিনের মাথায় পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপর গত ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর সময় পেরিয়েছে পাঁচ মাসের কিছু বেশি। যদিও এখনো বিগত সরকারের রেখে যাওয়া বাজেটে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর সংশোধিত বাজেটে ঘোষিতের তুলনায় যতটা কমিয়ে আনা হয়, এবার সংশোধনের মাধ্যমে তা ছোট করার মাত্রা হবে আরো কম।
আজকের পত্রিকা
‘নেতা-সন্ত্রাসীতে আঁতাত’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’
কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন। যুবকেরা চলে যাওয়ার পর ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘কয়েক দিন ধরে তারা মালিককে খুঁজছে। বলছে, মোল্লা মাসুদ তাদের পাঠাইছে। মাসে মাসে চাঁদা চায়। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদের কথা বলেছে।’
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল মোল্লা মাসুদের নাম। গত ৫ আগস্টের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তির পর তিনি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুরুতে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হলেও পরে সমঝোতা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, শুধু মোল্লা মাসুদই নন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্তত ২৭ জন সন্ত্রাসী জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের কিলার আব্বাস ওরফে আব্বাস আলী, শাহাদত হোসেন, মুক্তার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগের সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিজেদের হারানো ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’ আবার নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় হয়েছে।
সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আরও অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আগের ‘সেভেন স্টার’ ও ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের মতো জোটও করতে চাইছে।
অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকায় অপরাধ করে কোনো সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না। তাদের সঙ্গে অন্যদের জোটও গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘পুলিশে আসছে বড় শুদ্ধি অভিযান’। খবরে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পাঁচ মাসের বেশি হলো দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই পুলিশে আসে ব্যাপক রদবদল। আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণের অভিযোগে সে সময় আইজিপিসহ বাহিনীটির অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আবার কেউ দেশের ভেতরেই আছেন আত্মগোপনে। আবার শতাধিক কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক অবসরে। সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানান, জুলাই আন্দোলনে ভূমিকার কারণে পুলিশের শীর্ষ কর্তাসহ ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা আছে। বেশ কয়েকজন কর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এত কিছুর পরও পুলিশের বিরুদ্ধে নতুন করে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে, মামলাবাণিজ্যে জড়াচ্ছে পুলিশের কর্মকর্তাসহ সদস্যদের নাম। সব মিলিয়ে এখন জনগণের কাক্সিক্ষত পুলিশ বাহিনী করতে বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান চালানোর কথা বলছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, চলতি মাসের যেকোনো সময় বাহিনীতে বড় ধরনের রদবদল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে, আসামি বা যানবাহন ধরার নামে এখনো অর্থ কামাচ্ছেন কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনস্টেবল। আর এসবের কারণে পুলিশে আরও আসছে বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান। যেসব কর্মকর্তা বা সদস্য দুর্নীতিতে জড়িত আছেন, নতুন করে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। তা ছাড়া আইজিপি কমপ্লেইন সেলের অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে।
ডেইল স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘BNP once again vows national unity govt’ অর্থাৎ ‘আবারও জাতীয় সরকারের অঙ্গীকার বিএনপির’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল ও বিগত স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছিল তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে।’
‘শ্বেতপত্র ও পরবর্তী: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক কর্মসূচির সমাপনী অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মাধ্যমে একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি।’
বিএনপি জাতীয় ঐক্যের সরকারের কথা বলে আসছে। অতি সম্প্রতি, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছিলেন যে, তার দল এমন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন চায় যেখানে জাতীয় ঐক্যের শক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে একটি জাতীয় সরকার দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের সহযোগিতায় শ্বেতপত্র কমিটি-২০২৪ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পাঠকের মতামত
আমবাড়িয়া, মাছপাড়া, টাকিমারা গ্রামকেও প্রদেশ করা হোক।
ব্রাহ্মণ বাড়িয়া প্রদেশ চাই
we agree.
প্রদেশ করলেই ভালো হবে । সরকারী আমলা গুলোকে হাতের নাগালে পাওয়া যাবে । এরাই আসল নাটের গুরু ।