শেষের পাতা
টিসিবি’র ৩৭ লাখ কার্ডধারী ভুয়া
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবার
সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শনিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিআইসিসির কার্নিভাল হলে ‘শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪’ আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের প্রথম সেশনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ও সিটিজেনস প্ল্যাটফরম ফর এসডিজিএস, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এক কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে টিসিবি’র পণ্য সরবরাহ করা হয়। এটাকে যখন ডিজিটালাইজড করেছি তখন দেখেছি ৩৭ লাখ কার্ডধারীই ভুয়া। তিনি বলেন, টিসিবি’র পণ্যের দাম বাড়িয়ে এর আওতা বাড়ানো সম্ভব। তবে এখন দাম বাড়ানো হলে ব্যাপক সমালোচনা হবে। এই চিন্তাগুলো সাহসের সঙ্গে করতে হবে।
দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি’র পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়নি জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে। আমরা রাজনীতিবিদ না। আমরা কি দীর্ঘমেয়াদে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায় তেল কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করবো? নাকি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা করে এক কোটির জায়গায় দেড় কোটি বা দুই কোটি টাকায় প্রসারিত করবো? এই চিন্তাগুলো আমাদের সাহসের সঙ্গে করতে হবে। যদি তা না করি তাহলে আমরাও একই বৃত্তে থেকে যাবো।
টিসিবি’র সেবাগ্রহীতা কমানোর কথা বলে তিনি বলেন, আমরা টিকিট সাইজ ছোট করার চেষ্টা করছি। ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে টিসিবি’র সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি। যাতে টিসিবি যে পণ্যটা কেনে, তার মানটা ভালো হয়।
পাঠকের মতামত
Those TCB Cards must be cancelled. Those cards were given to be benefited to BAL men as prize for further to be elected.
আমি উনার সাথে একমত কারণ তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় স্বজনদের মধ্যে এই কার্ড বিতরণ করে ।
দূর্নীতি নিপাত যাক
Out of 100m TCB family cards 37 % were fake. Is there any scope to solve the problems.
এই ৩৭ লাখ হাসিনার দোসর, যারা এই কার্ড পাওয়ার উপযুক্ত নয়, কিন্তু দলীয় বিবেচনায় হাসিনা তাদের এই কার্ড করার সুযোগ করে দিয়েছিল।