বাংলারজমিন
‘নদীর ব্যাপারে ভারত অবিশ্বস্ত বন্ধু’
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১২ জানুয়ারি ২০২৫, রবিবারজাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নদীর ব্যাপারে ভারত অবিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতকে নদীর ব্যাপারে বিশ্বাস করা যায় না। তাই বাংলাদেশকে পানির বিষয়ে ভারতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভরশীল হতে হবে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পঞ্চাশটিরও বেশি আঃন্তসীমান্ত নদী রয়েছে। তবে এসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে দুই দেশের চুক্তির ব্যাপারে ভারতের আগ্রহ খুবই কম। যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই ভারতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বর্ষাকালে পানি ধরে রাখতে ডেল্টা প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা বিষয়ক সংগঠন ‘তরী’ আয়োজিত নদী সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহর লাগোয়া তিতাস নদীর পূর্বপাড় কাশিনগর এলাকায় নদীরক্ষায় একসঙ্গে সেøাগানে এই সম্মিলনের আয়োজন করা হয়। এতে ‘ভূ-রাজনীতি ও বাংলাদেশের নদ-নদী’, ‘নদী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব ও ভূমিকা’, ‘নদী সুরক্ষায় সামাজিক আন্দোলনের কর্মকৌশল’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়।
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী তার বক্তৃতায় আরও বলেন, ব্রহ্মপুত্রের পানি ভারত তার পশ্চিমাঞ্চলে ট্রান্সফার করতে চায়, যেটি বাংলাদেশের জন্য সমূহবিপদ। ভারত থেকে যেসব নদীর শাখা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তাদের মধ্যে ব্যাপক পরিমাণ পানি বঙ্গোপসাগরে জমে। বর্ষাকালে ১ লক্ষ ৪০ হাজার কিউবিট মিটার পানি এসব নদী দিয়ে বহমান হয়। তবে সেসব নদী থেকে গ্রীষ্মকালে ৫% পানি বাংলাদেশে আসে। আর এগুলো নিয়ে ভারত ভৌগোলিক পলিটিক্সের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এ সময় তিনি বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দেশব্যাপী নদীর দখল দূষণ বন্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দাবি জানান। নদী সম্মিলনে তরীর আহ্বায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক ও লেখক আমিন আল রশীদ, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট একিউএম সোহেল রানা প্রমুখ। ‘নদী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব ও ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাংবাদিক আবদুন নূর, পীযুষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত প্রমুখ।