শেষের পাতা
ভেদাভেদ ভুলে এক হলো গণঅধিকার পরিষদ
স্টাফ রিপোর্টার
১ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবারনেতৃত্ব নিয়ে ২০২৩ সালে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের মধ্যে মতবিরোধে ভেঙে যায় গণঅধিকার পরিষদ। এবার নতুন বাংলাদেশ গঠনে অতীতের সেই সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার রাজধানীর আল রাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এক হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের এক অংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বৃহত্তর স্বার্থে সকল ব্যবধান ভুলে গণঅধিকার পরিষদকে এক করা হয়েছে। দু’একজন এর বাইরে থাকতে পারে। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরা সবাই যুক্ত হবেন।
৭২-এর সংবিধান বাতিলের কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় সংবিধান ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। এটা বাতিলের প্রয়োজন নেই। বরং সবার সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন করা যায়। এই জাতি একবারই স্বাধীন হয়। ’৭১-এর সঙ্গে ’২৪-এর তুলনা চলে না। কোটা আন্দোলন ও জুলাই আন্দোলনে আহত সবাইকে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।
নুর বলেন, আমরা ইতিমধ্যে সরকারের নানা দুর্বলতা লক্ষ্য করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি। আওয়ামী হাইকমান্ডের লোকজন পালিয়ে যাচ্ছে, সচিবালয়ে আগুন আমাদের হতাশ করছে। শিক্ষার্থীরা একটি ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা সেটিকে সর্বজনীন করার উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে একটি বিভাজন থেকে রক্ষা করেছেন। আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। এই পরিস্থিতিতে যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশকে পেছনে নিয়ে যাবে। দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিতেই দেশ চালাতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের আরেক অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, গণঅধিকার পরিষদ তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। মাঝখানে কিছু মতপার্থক্যের কারণে গণঅধিকার পরিষদ আলাদাভাবে পথ চলতে শুরু করে। কিন্তু ২০২৪ সালের বিপ্লবে গণঅধিকার পরিষদের উভয়ে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই দেশ ও জাতির প্রয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের উভয় নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ অনুভব করার জায়গা থেকে আজকে গণঅধিকার পরিষদ একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণঅধিকার পরিষদ আজ থেকে একটিই যার ভিত্তি কোটা আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া নুরের নেতৃত্বাধীন অংশের উচ্চতর পরিষদ ও নির্বাহী কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠে রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ। নুরুল হক ও তার সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালের অক্টোবরে গণঅধিকার পরিষদ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দলটির আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া।
গৃহপালিত বিরোধীদল হওয়ার খায়েশ! নূরের কোন আদর্শ নেই! আগাগোড়া পুরোটাই সুবিধাবাদী।
নুরুল হক নুরুর কথাবার্তা ও তার গতিবিধি সন্দেহ জনক। তার কথা শুনে সঠিক কোন দিক নির্দেশনা স্পষ্ট বুঝা যায় না কেন যেন মনে হয় এই নুরু সুবিধাবাদি প্রোয়জনে বিক্রি হয়ে যেতে পারে
ছবিটা শুধু একজনের দিলেন কেন ? এই লোক পুরাটাই ভুয়া । অন্যের টাকায় রাজনীতির নামে হারাম খায় । ভিক্ষা করে চলে ।
আমি এই দলের একজন আদশের সৈনিক হতে চাই।এক হওয়া গভবোদ করছি।
বিভক্তির প্রধান কারণ ছিল হিসাবের অস্বচ্ছতা এবং নুরুর তথ্য লুকানোর। ডঃ রেজা কিবরিয়া নৈতিকতার দিক দিয়ে সঠিক পথেই ছিলেন।
গণ অধিকার পরিষদের দুটি অংশ এক হওয়ায় অভিনন্দন জানাচ্ছি। সামনে বড় প্রশ্ন - আমরা কি শ্রীলঙ্কা হবো নাকি তিউনিসিয়া? হটকারী সিদ্ধান্ত থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে!