শরীর ও মন
যেসব রোগসমূহের জন্য ত্বকে ব্রণ হতে পারে
ডা. দিদারুল আহসান
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবারবিভিন্ন কারণে মুখে ব্রণ হয়ে থাকে তবে ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে মুখে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। ত্বকের তৈলাক্তগ্রন্থি এবং চুলের ফলিকগুলোর কারণে অনেক ক্ষেত্রে ব্রণ হয়ে থাকে।
ত্বকের গ্রন্থিগুলো অতিরিক্ত সিবাম তৈরি করে, সেক্ষেত্রেও ব্রণ বা ফুসকুড়ি হতে পারে। এ ছাড়াও বায়ুদূষণ, কেমিক্যালজাতীয় প্রসাধনীর ব্যবহারসহ যেকোনো কারণে মুখে ব্রণ হতে পারে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মুখ, পিঠ, বুক এবং কাঁধে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারও কারও ক্ষেত্রে এত বেশি ব্রণ মুখে হয়, যার ফলে মুখে দাগ ও গর্ত হয়ে যায়।
শরীরের বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবে মুখের বিভিন্ন স্থানে ব্রণ হতে পারে।
চিবুক: যদি আপনার চিবুকের চারপাশে ব্রণ হয়ে থাকে; তাহলে বুঝতে হবে তা শরীরের হরমোন পরিবর্তনের কারণে হচ্ছে।
অনেক নারীদের ক্ষেত্রে মাসিক হওয়ার কয়েকদিন আগে মুখের চিবুকের অংশে ব্রণ হতে পারে। এসময় এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা দেহে হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে।
গাল: গালে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো বায়ুদূষণ। বায়ুদূষণের ফলে ত্বক যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তখন গালের চারপাশে ব্রণ উঠতে পারে। গালের ত্বক খুবই সংবেদনশীল, এ কারণে সহজেই তা বায়ুদূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এজন্য মুখে যাতে ধুলা-বালি না লাগে তাই মাস্ক বা স্কার্ফ দিয়ে মুখে ঢেকে চলাফেরা করা উচিত। এ ছাড়াও গালে ফুসকুড়ি বা ব্রণ হওয়ার আরও কারণ হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা ইত্যাদি।
কপাল: অনেকেরই কপালে ফুসকুড়ি ও ব্রণ হয়ে থাকে। যদি আপনার হজম ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ না করে; তবে কপালে ব্রণ হতে পারে।
এমনকি লিভারের সমস্যা, অনিদ্রা এবং দুশ্চিন্তার কারণেও হতে পারে। বেশি বেশি পানি পান করলে এ ধরনের ব্রণ কমে যেতে পারে।
নাক: নিয়মিত যদি আপনার নাকে ব্রণ হয়ে থাকে; তবে অবশ্যই আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের অসুখের কারণে নাকে ব্রণ হতে পারে।
নিয়মিত পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মাধ্যমে নাকের ব্রণ কমতে পারে।
লেখক: চর্ম, যৌন ও এলার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ ও কনসালট্যান্ট
গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৩২, গ্রীন রোড, ধানমণ্ডি, ঢাকা। রুম নাম্বার ৪৩২, সাক্ষাতের সময় বিকাল ৪-৬টা পিএম। সেল-০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪