শরীর ও মন
তারুণ্যে চুল পেকে গেলে
অধ্যাপক ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
৫ জুলাই ২০২৫, শনিবারসাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সের আগে চুল পাকলে অকালে চুল পাকা বলে ধরা হয়। চুল পাকে মূলত মেলানিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে। এই মেলানিন একধরনের প্রাকৃতিক রঞ্জক, যা আমাদের ত্বক, চুল ও চোখের রং নির্ধারণ করে। বৃটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫-৬৫ বছর বয়সে ৭৪ শতাংশ মানুষেরই চুলে পাক ধরে। আর এ সময়ের মধ্যে পেকে যায় মাথার ২৭ ভাগ চুল। তবে ব্যক্তিভেদে তারতম্য তো হয়ই। প্রশ্ন হলো অকালে কেন চুল পাকে?
লুকিয়ে থাকা কারণগুলো
১. বংশগত কারণ: অকালে চুল পাকার একটি বড় কারণ জিনগত প্রভাব। ডার্মাটোলজির ক্লিনিক্যাল এসোসিয়েট প্রফেসর ও ‘ফরগেট দ্য ফেসলিফট’ বইয়ের লেখক ডরিস ডে বলেন, ‘আপনার মা-বাবার চুল অল্প বয়সে পেকে গেলে আপনার ক্ষেত্রেও তেমনটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।’ এ ছাড়া ২০১৬ সালে নেচার কমিউনিকেশন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি নির্দিষ্ট জিনের কারণে অকালে চুল পেকে যায়।
২. অটোইমিউন রোগের প্রভাব: কিছু নির্দিষ্ট রোগ অকালে চুল পাকার কারণ হতে পারে। অ্যালোপেসিয়া অ্যারিয়াটা নামের এক অটোইমিউন রোগের কারণে চুলের নির্দিষ্ট অংশ পড়ে যেতে পারে। আবার সেখানে নতুন চুল গজালে, তা সাদা বা ধূসর হয়ে গজাতে পারে। ন্যাশনাল অ্যালোপেসিয়া অ্যারিয়াটা ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাথার নির্দিষ্ট অংশে গোলাকার এবং মসৃণ চুলহীন অংশ তৈরি হয়। অনেক সময় পুরো মাথার বা শরীরের সব চুলও ঝরে যেতে পারে। এই রোগ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চুলের ফলিকলগুলোর ওপর আক্রমণ করে। ফলে চুল পড়ে যায়। নতুন চুল গজালে তা সাদা হয়ে যায়।’ হঠাৎ চুল পড়া বা টাক পড়ার সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই কোনো চর্মবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চেম্বার: ডা. কামাল হেয়ার অ্যান্ড স্কিন সেন্টার।
১৪৪ নং ভবন, বিটিআই সেন্ট্রা গ্রান্ড, ২য় তলা
গ্রীন রোড, ঢাকা।