শরীর ও মন
কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের যেসব লক্ষণে সতর্কতা প্রয়োজন
ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
৩০ জুন ২০২৫, সোমবারশুরুতে নীরব ঘাতক হতে পারে, অনেক সময় উপসর্গহীন থাকতে পারে। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই গুরুত্ব দেয়া দরকার।
- নিয়মিত মলত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন।
- মলে রক্ত আসা বা মল কালো রঙের হওয়া।
- পেটের নিচের অংশে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, গ্যাস বা ফুলে থাকা।
- হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া।
- ক্ষুধামন্দা বা ক্লান্তিভাব।
এসব লক্ষণ অন্যান্য সাধারণ রোগের সঙ্গেও মিলে যেতে পারে। তবে অবহেলা করলে বিপদ বাড়বে।
স্ক্রিনিং: বেশির ভাগ কোলোরেক্টাল ক্যান্সার শুরু হয় ছোট পলিপ (মাশরুমের মতো ছোট টিস্যু) দিয়ে, যা প্রাথমিক অবস্থায় কোনো লক্ষণ প্রদর্শন করে না। নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এই পলিপ আগেভাগে শনাক্ত ও অপসারণ করা গেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। ৫০ বছর বয়সের পর প্রত্যেকের নিয়মিত স্ক্রিনিং করা উচিত।
তবে, যদি পরিবারের কারও আগে কোলোরেক্টাল ক্যান্সার থাকে, তাহলে ৪০ বছর বা তারও আগে স্ক্রিনিং শুরু করা দরকার। স্ক্রিনিংয়ের পদ্ধতি হিসেবে রয়েছে মলে রক্ত পরীক্ষা, ফ্লেক্সিবল সিগমায়েডোস্কোপি ও কোলনোস্কোপি।
চিকিৎসা: ধাপ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি:
১. সার্জারি: ক্যান্সার অপসারণ।
২. কেমোথেরাপি: ওষুধ দিয়ে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস।
৩. রেডিওথেরাপি: রেডিয়েশন দিয়ে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ।
৪. টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপি।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে একসঙ্গে একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়। যেমন সার্জারির পর কেমোথেরাপি বা টার্গেটেড থেরাপি দিতে হয়।
প্রতিরোধ: সুষম ও আঁশযুক্ত খাবার, পর্যাপ্ত পানি খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার- এসব কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, ফাস্টফুড বা বাইরের খাবার কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর। সচেতনতা, আগাম পরীক্ষা ও সময়মতো চিকিৎসা- এসবই কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হিসেবে কাজ করে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ এবং কোলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, (পিজি হাসপাতাল) ঢাকা। চেম্বার-১৯, গ্রীন রোড, এ. কে. কমপ্লে-, অগ্রণী ব্যাংক ভবন (লিফট-৪), ঢাকা। প্রয়োজনে: ০১৭১২-৯৬৫০০৯