শরীর ও মন
রোগের নাম রেক্টাল ক্যান্সার
ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
৬ জুলাই ২০২৫, রবিবাররেক্টাল ক্যান্সার একটি অত্যন্ত কমন ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বয়সবৃদ্ধি। এছাড়া জীবনযাপন ও অল্প কিছু ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও এই রোগ হয়। সাধারণত রেক্টাল পলিপ হতেই এ রোগের সূচনা হয়। সময়মতো পলিপ কেটে ফেললে পলিপ হতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এটা ছাড়া আলসারেটিভ কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিজের পরিণতি হিসেবেও এই ক্যান্সার হতে পারে। স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে কার্যকরভাবে এই ক্যান্সারের মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব। আর সেজন্য ৪০/৪৫ বছর বয়স থেকে ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়মিতভাবে স্ক্রিনিং চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়।
লক্ষণসমূহ:
১. মলদ্বার দিয়ে রক্ত যাওয়া: পাইলস ছাড়াও কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, এনাল ফিসার, রেক্টাল পলিপ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ডাইভারটিকুলাইটিস রোগে রক্ত যেতে পারে। লাল/তাজা রক্ত গেলে ন্যূনতম পরীক্ষা হচ্ছে Sigmoidoscopy, Altered blood (কালো রক্ত গেলে) Full colonoscopy পরীক্ষা করাতে হবে। রক্ত যাওয়া কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের প্রধান দুইটি লক্ষণের একটি।
২. মল ক্লিয়ার না হওয়া, মল অল্প অল্প করে ঘন ঘন যাওয়া, মলের সঙ্গে রক্ত বা মিউকাস বের হওয়া।
৩. পায়খানার অভ্যাস পরিবর্তন: আগের অভ্যাস থেকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পায়খানার অভ্যাসে যেকোনো পরিবর্তন
৪. মল আটকিয়ে যাওয়া, পেট ফুলে যাওয়া ও ব্যথা হওয়া।
এই ধরনের উপসর্গ হলে দেরী না করে একজন অভিজ্ঞ সার্জন বা কোলোরেক্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন।
পরীক্ষাসমূহ: মলদ্বার ও মলাশয় পরীক্ষা করে দেখবেন। প্রক্টোস্কপি বা কোলোনস্কপি করে বায়োপসি নিতে হতে পারে।
ক্যান্সার পাওয়া গেলে এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষা করে রোগের পর্যায় নির্ধারণ করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসা: প্রাথমিক পর্যায়ে সরাসরি অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। রোগের পর্যায় এডভান্স হলে আগে কেমো ও রেডিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করে তারপর অপারেশন শুরু করতে হয়।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (কোলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ)
কোলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
চেম্বার: ১৯ গ্রীন রোড, এ.কে.কমপ্লেক্স, লিফট-৪, ঢাকা।
ফোন-০১৭১২৯৬৫০০৯