ভারত
কলকাতায় গিয়ে ডিএনএ নমুনা দিলেন আনার কন্যা
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা
(১ মাস আগে) ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৬ অপরাহ্ন
আট মাস আগে কলকাতার নিউটাউনের একটি অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে খুন হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য(সাবেক) আনোয়ারুল আজিম। চাঞ্চল্যকর সেই খুনের ঘটনায় পরিচয় নিশ্চিত করতে তার দেহাংশের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচিংয়ের জন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিআইডি। নানা কারণে আসতে পারেননি কেউ। ফলে তদন্তের কাজ আটকে ছিল। অবশেষে তার কন্যা ফিরদৌস মুমতারিন ডোরিন কলকাতায় এসে ডিএনএ নমুনা দিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া দেহাংশ যে সংসদ সদস্যেরই তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা জরুরি ছিল। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সাংসদকন্যার ডিএনএ নমুনা সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ নমুনা এবং দেহাংশ মিলে গেলে অপরাধের জোরালো প্রমাণ হাতে আসবে।
গত ১২ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসেছিলেন ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজিম। ১৩ মে চিকিৎসার নাম করে বরাহনগরের আবাসস্থল থেকে বেরেনোর পর নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের মামলাও রুজু হয়েছিল। তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ এবং বরাহনগর থানা জানতে পারে, নিউ টাউনের একটি আবাসনে নিয়ে গিয়ে তাকে খুন করেছে কয়েক জন বাংলাদেশি। সেই মামলায় সিআইডি জিহাদ হাওলাদার এবং মুহম্মদ সিয়ামকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশ পুলিশ গ্রেফতার করে শিমূল ভুঁইয়া, শেলাস্তি রহমান, ফয়জল এবং মস্তাফিজুর নামে চার অভিযুক্তকে। তবে ওই ঘটনার মূল চক্রান্তকারী নিহতের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন ফেরার।
কলকাতায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংসদ সদস্যের দেহাংশ আবাসনের সেপটিক ট্যাংক ও হাড়গোড় কাছাকাছি একটি খাল থেকে উদ্ধার করেছিল। জানা যায় নৃশংসভাবে খুন করার কাহিনী। সিআইডি ইতিমধ্যেই জিহাদ এবং সিয়ামের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে । তবে তিন মাস আগে বারাসত আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হলেও এখনও চার্জ গঠন হয়নি। সিআইডির সূত্রে বলা হয়েছে, শিগগিরই চার্জ গঠন করে বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।