প্রথম পাতা
মানবজমিন-এর রিপোর্ট শতভাগ সত্য প্রমাণ হলো
স্টাফ রিপোর্টার
৫ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারবিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন। সাভারে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে তাকে দাফন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্যসহ রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল মানবজমিন। ২০২২ সালে ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল সর্বত্র। অনেকে রিপোর্টের তথ্য নিয়ে সংশয়ও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সেই রিপোর্টের তথ্যই সত্য প্রমাণ হয়েছে। হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিয়েছে পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ। এতে বলা হয়েছে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে যে ব্যক্তিকে সাভারে দাফন করা হয় তিনিই হারিছ চৌধুরী। এসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইছা মানবজমিনকে বলেন, ডিএনএ রিপোর্টে হারিছ চৌধুরীর লাশের সত্যতা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তার দেহাবশেষ মুক্তিযোদ্ধা মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। তিনি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে পান্থপথে বসবাস করে আসছিলেন। এই নামেই সাভারে তাকে দাফন করার তথ্য প্রকাশ করে মানবজমিন। মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর করা অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তখন সাড়া ফেলে দেশ-বিদেশে। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর অবশ্য গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। মানবজমিন এবং হারিছ চৌধুরীর পরিবারকে আইনি হুমকিও দেয়া হয়েছিল।
সিআইডি বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছিল। স্বৈরাচারী আমলে তদন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। সামিরা চৌধুরী আদালতে যান। এরপর ডিএনএ টেস্টের আবেদন করেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিএনএ টেস্ট আদালতে জমা দেয় পুলিশের ফরেনসিক বিভাগ।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী হারিছ চৌধুরীর লাশ দাফনের নির্দেশ দেন।
ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখা থেকে গত ৮ই অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে সাভার মডেল থানাধীন জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূরকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের কথাও বলা হয়। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৭৮৭/২৪-এ হারিছ চৌধুরীর মৃতদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালত আদেশ প্রদান করেন। রিট আবেদনে সামিরা চৌধুরী উল্লেখ করেছিলেন, তার পিতা হারিছ চৌধুরীকে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়। হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফলাফল, মৃত্যু সনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার আবেদন করা হয়েছিল রিটে।
এর আগে গত ৫ই সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ই জানুয়ারি মানবজমিনের খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। হারিছের বিলেত প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী এটা নিশ্চিত করেন। বলেন, তার বাবা হারিছ চৌধুরী ২০২১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন। যদিও তার চাচা আশিক চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, হারিছ ঢাকায় নয়, লন্ডনে মারা গেছেন। এই খবর প্রকাশের পর অনেকেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উড়িয়ে দেন তখন। গোয়েন্দারাও একাধিকবার মানবজমিন-এ ফোন করে সত্যটা জানতে চান। এরপর থেকে মানবজমিন অনুসন্ধান চালাতে থাকে। অনুসন্ধানে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। হারিছ নয়, মাহমুদুর রহমান মারা গেছেন শিরোনামে মানবজমিনে প্রকাশিত অনুসন্ধানী রিপোর্টটি দেশ-বিদেশে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী আসলে মারা যাননি। মারা গেছেন মাহমুদুর রহমান। হারিছ চৌধুরী দীর্ঘ ১৪ বছর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ভারত কিংবা লন্ডনেও যাননি। বাংলাদেশের ভেতরেই ছিলেন এবং ঢাকাতেই বেশির ভাগ সময় কাটান। ওয়ান ইলেভেনের পরপরই কিছুদিন সিলেটে অবস্থান করেন। ঢাকায় আসার পর তিনি নাম বদল করেন। নাম রাখেন মাহমুদুর রহমান। দীর্ঘ ১৪ বছর এই নামেই পরিচিত ছিলেন। পরিচয় দিতেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে। ঢাকার পান্থপথে প্রায় ১১ বছর কাটিয়ে দেন এই পরিচয়ে। এই সময় তিনি মাহমুদুর রহমান নামে একটি পাসপোর্টও নেন। পাসপোর্ট নম্বর ইড০৯৫২৯৮২। এতে ঠিকানা দেন শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। বাবার নাম আবদুল হাফিজ। ২০১৮ সনের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু হয়। শুধু পাসপোর্ট নয় জাতীয় পরিচয়পত্রও পেয়ে যান মাহমুদুর রহমান নামে। তার এনআইডি নম্বর হচ্ছে ১৯৫৮৩৩৯৫০৭। পাসপোর্ট ও এনআইডি’র সূত্র ধরে মানবজমিন অনুসন্ধান চালাতে থাকে। প্রায় দু’মাস অনুসন্ধানের পর মানবজমিন জানতে পারে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমানই আলোচিত রাজনৈতিক নেতা হারিছ চৌধুরী।
বাবা নির্দোষ কিন্তু দেখে যেতে পারলেন না: সামিরা
বুধবার তার ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়ার পর দেয়া প্রতিক্রিয়ায় হারিছ চৌধুরীর কন্যা ব্যারিস্টার সামিরা তানজীন চৌধুরী বলেন, আপনারা দেশমুক্তির আনন্দ উদ্যাপন করেছেন। আমরা করিনি। আমরা কেঁদেছি। গত পরশুদিন যখন রায় এলো (২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার কার্যক্রম অবৈধ) আমার দিন গেছে কেঁদে। আব্বু নেই দেখার জন্য। আজ তিন বছর পর তিনি নিষ্পাপ প্রমাণিত হলেন। আরও হবেন।
হারিছ চৌধুরীর নামে ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সামিরা তানজীন বলেন, গত ১৫ বছর আমার বাবাকে যে কষ্টের মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে, সেগুলো আমাকে প্রতিমুহূর্তে যন্ত্রণা দেয়। দেশটা মুক্ত হলো, স্বাধীন হলো। গত পরশুদিন ২১শে আগস্টের রায় হলো। গত ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে অপরাধী হিসেবে উপস্থাপন করেছিল। প্রমাণিত হয়েছে, তিনি নির্দোষ ছিলেন। তাকে বর্বরোচিত হামলায়, যেটাতে এতগুলো মানুষ মারা গেল সেটাতে অভিযুক্ত করে, নোংরাভাবে ষড়যন্ত্র করে মামলায় জড়িয়েছে। আরও মামলা পেন্ডিং আছে। সেখান থেকে তিনি ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন। কিন্তু তিনি নেই সেটা দেখার জন্য। তার থাকার কথা ছিল।’
সামিরা তানজীন মানবজমিন প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, মুসফিকুল ফজল আনসারী- আমার চাচার মতো। আমার বাবার ভাইয়ের চেয়েও বেশি। মতিউর রহমান চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুল মোমেন তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমার আব্বুর বন্ধু খোদাবক্স সাহেব, আমার আংকেল। ওনারা আমাকে সাহায্য না করলে আমি এটা অর্জন করতে পারতাম না। শুরু থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী চাচা, মুসফিক ফজল আনসারী যদি আমার সঙ্গে না থাকতেন আমি এটা অর্জন করতে পারতাম না।
সামিরা তানজীন চৌধুরী আরও বলেন, আব্বুর ব্যাপারে যে সত্যটা তিনটি স্টেজের মধ্যদিয়ে গেছে। অগ্নিপরীক্ষার মধ্যদিয়ে গেছে। আমি শুরু থেকেই বলেছি, আমি দাফন করেছি নিজের হাতে। আমার বুকে আমার বাবা মারা গেছেন। সেই সত্যটা বেরিয়ে আসলো। দুঃখজনক যে আমাকে এটার মধ্যদিয়ে যেতে হলো। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্ধকার সময় আমরা পার করেছি। এবং এখনো সেই অন্ধকার সময়ের কিছুটা রয়ে গেছে। আমরা সেই সময়ের মধ্যদিয়ে যাচ্ছি। এই ধরনের রায় মহামান্য আদালতের কাছ থেকে পেলাম।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নতুন সরকার আমাকে যে সুবিধাটা করে দিলো সেটা হচ্ছে- আলোর রশ্মি আসছে, অন্ধকার দূর হচ্ছে সেটার প্রমাণ। আমি কৃতজ্ঞ এই সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে সাহায্য করা হয়েছে। সাভার থানা আমাকে সাহায্য করেছে। তারা দিনরাত কষ্ট করেছেন। এখন পর্যন্ত কষ্ট করছেন। কাজ এখনো বাকি আছে। আমার আব্বুর দেহাবশেষ সংরক্ষিত ঢাকা মেডিকেলে। সেখান থেকে আব্বুকে দাফন করতে নিয়ে যাওয়া হবে সিলেটে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হবে। প্রশাসনে অনেক জটিলতা আছে। এখনো আমাদের প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ফ্যাসিজমমুক্ত নয়। এবং যারা এখানে যুদ্ধ করছেন তারা প্রশাসনে থেকে যুদ্ধ করছেন। এবং তারা খুব ভালো করছেন।
সেই সিআইডি অফিসাররা এখন কোথায়?
হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন, তাকে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়েছে এই তথ্য প্রকাশের পর সিআইডি কর্মকর্তারা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি আইনি হুমকিও দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, ভুয়া খবর প্রচারের জন্য মানবজমিনকে আদালতের কাঠগড়ায় নেয়া হতে পারে। সিআইডি কর্মকর্তারা কেন এমনটা করেছিলেন? অনুসন্ধানে তখনই জানা গিয়েছিল তারা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে চাইছিলেন না। তখনকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিআইডি’র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এই খবরের সত্যতা কতোটুকু। তখন সিআইডি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, এর সত্যতা নেই। মানবজমিনে প্রতিবাদ ছাপার জন্যও তারা চাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু মানবজমিন প্রতিবাদ ছাপতে রাজি হয়নি। তখনকার ওই তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত সিআইডি কর্মকর্তাদের অনেকে অবশ্য আর আগের দায়িত্বে নেই।
এই জন্যেই এই newspaper আমার পছন্দের এবং সবার উপরে।
সত্য উদ্ঘাটন করে প্রকাশ করাই মানবজমিন পত্রিকার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাইতো আমি মানবজমিন পত্রিকার একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে গর্ববোধ করি। শুভ হোক মানবজমিন পত্রিকার ভবিষ্যৎ পথচলা।
দৈনিক মানবজমিন ও সংশ্লিষ্টদের সবাইকে ধন্যবাদ গঠনমূলক ও যুগোপযোগী প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য।
@পরিতোষ দাস, নইলে লাশ হবে গুম, সামিরা চৌধুরীও গুম !!
আমি প্রতি দিন এই মানবজমিন পত্রিকা পড়ি। সত্য প্রকাশ করা একমাত্র পত্রিকা। ধন্যবাদ
এভাবে হাজারো মানুষের বোবা কান্না। কেউ শোনে নাই।অত্যাচারি শাসক কখনোই চিরস্থায়ী হয় না।
মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেব বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীকে নিয়ে প্রথম রিপোর্ট করেছিলেন। সেটি পড়ে ছিলাম। মূলত তার রিপোর্টের কারণেই তার আসল পরিচয় বের হলো। আমি মানবজমিনের একজন নিয়মিত পাঠক।
এই জন্যেই এই পেপার পড়ি।
মরহুম হারিছ চৌধুরী সাহেবের সাথে আমি ৫ বছর কাজ করেছি। উনি ছিলেন বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ দেশীয় চা কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং আমি ছিলাম এই কোম্পানির এমডি। এই সময়ে উনাকে কাছে থেকে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। উনার মত ভালো মানুষ আমি আমার জীবনে দেখিনি। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে জাননাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।
সামিরা চৌধুরী, আপনিতো জানতেন আপনার বাবা মারা গেছেন। আপনি কেন প্রশাসনকে জানালেন না। এখন একজন সম্মানী ব্যক্তিকে কবর থেকে তুলে কেন হেনস্থা করলেন?