আইপিএল ছাড়া অন্য লীগ খেলায় বাধা, আইনি পদক্ষেপের হুমকি ইংলিশ ক্রিকেটারদের

ইংলিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ঘরোয়া মৌসুম চলার সময়ে দেশের বাইরের লীগগুলোয় খেলায় বিধিনিষেধ দিতে পারে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) ছাড়া অন্য কোনো লীগে খেলার সুযোগ কমে যাবে ইংলিশ ক্রিকেটারদের। যদিও এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা ইসিবি’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। 
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ঠিক রাখতেই এমন নীতি বাস্তবায়ন করতে চলেছে ইসিবি। যদিও এখনো কোনো কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ইসিবি, তবে আগামী সপ্তাহে নতুন নীতিমালার অনুমোদন দিতে পারে ইসিবি।
গত মৌসুমে টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের একটি পর্ব না খেলে মেজর লীগ ক্রিকেটে খেলেন জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস খেলেছেন লঙ্কা প্রিমিয়ার লীগে। নতুন নিয়ম চালু হলে এ সুযোগ পাবেন না ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসবে পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল)। ইংল্যান্ডের অনেক ক্রিকেটারই এই টুর্নামেন্টে খেলেন। বর্তমানে পিএসএলের দলগুলোর সঙ্গে ১৬ জন ইংলিশ ক্রিকেটার চুক্তিবদ্ধ আছেন। একই সময়ে হয় কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ। এছাড়া মেজর লীগেও প্রভাব পড়বে এর। কারণ ওই টুর্নামেন্টের কাছাকাছি সময়ে হয় ইংল্যান্ডের দ্য হানড্রেড টুর্নামেন্ট। 
তবে আইপিএলে ক্রিকেটারদের জন্য এমন নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। আড়াই মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্ট অবশ্য আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিরও অংশ। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও কাউন্টি দলের সঙ্গে সাদা বলের চুক্তিতে আছেন, এমন অনেক ক্রিকেটারই ইসিবির ‘অনাপত্তি সনদবিষয়ক’ নীতিমালা নিয়ে শঙ্কিত। 
ক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে জানায়, এই বিষয়টি নিয়ে তারা ইংল্যান্ডের প্রফেশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (পিসিএ) ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। কিছু ক্রিকেটার মনে করছেন, হানড্রেডকে বাচাতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসিবি।
ইংল্যান্ডের প্রফেশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ড্যারিল মিচেল ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘পিসিএর আইনি দল বর্তমান নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের বিষয়টি গভীরভাবে দেখছে। এই নতুন নীতি চালু হলে খেলোয়াড় ও তাদের প্রতিনিধিদের ওপর কী ধরনের সম্ভাব্য প্রভাব পড়তে পারে, সেটা বুঝতে মতামত নেয়া হচ্ছে।’ এই নিয়মে খেলোয়াড়েরা যে অসন্তুষ্ট সেটা তুলে ধরে তিনি জানান, নীতিমালা নিয়ে কোনো পরামর্শ, আলোচনা বা বিতর্কের সুযোগ না রাখায় ক্রিকেটাররা হতাশ। পাশাপাশি নীতিমালায় ‘যেসব অসংগতি থাকতে পারে, তা নিয়ে খেলোয়াড়েরা উদ্বিগ্ন।’