ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

শরীর ও মন

চুলের সুরক্ষায় পিআরপি থেরাপি কেন প্রয়োজন

ডা. জেসমীন আক্তার লীনা
২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার

যুগ যুগ ধরে মানুষের সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে চুলের ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। নারী-পুরুষ উভয়েই সৌন্দর্য রক্ষায় চুলের যত্নে প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন। কিন্তু এখন মানুষ বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় যন্ত্রনির্ভর হয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। ফলে নারী-পুরুষ সবারই ত্বক ও চুলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বংশগত কারণ ছাড়াও অনেকে এখন অকালেই চুল হারিয়ে ফেলছেন। তাই চুল ঠিক রাখতে নিয়মিত সঠিক যত্ন দরকার।
বর্তমানে চুলের যত্নে অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলিত আছে। তবে গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশে চুল পড়া বন্ধ করা, চুলের বৃদ্ধি ঘটানো বা চুল পড়ে যাওয়া বা টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য এবং চুল ঘন করতে পিআরপি বা প্লেটিলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা থেরাপি বেশ কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পদ্ধতিতে তিনটি মৌলিক ধাপ রয়েছে।
প্রথম ধাপে শরীর থেকে সামান্য কিছু রক্ত নেয়া হয়। দ্বিতীয় ধাপে মেশিনের সাহায্যে রক্তের প্লেটিলেট রিচ প্লাজমা আলাদা করা হয়। তৃতীয় বা শেষ ধাপে প্লাজমা মাথার চামড়ায় সূক্ষ্ম সিরিঞ্জের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।
সহজ কথায় পিআরপি
* অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পিআরপি চুল পড়া, চুল পাতলা হওয়া এবং বয়সজনিত টাক পড়া আটকানোর জন্য সফল নন-সার্জিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে একটি।
*  প্রথম সেশন থেকেই ভুক্তভোগী চুল পড়া কমেছে বলে বুঝতে পারেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে এবং সাধারণত তৃতীয় সেশনের পর নতুন চুল গজানোর লক্ষণ দেখতে পারেন।
*  চুল পড়ার মাত্রা এবং চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার পরিমাণের ওপর নির্ভর করে রোগীর কতোগুলো সেশন পিআরপি প্রয়োজন। পিআরপি থেরাপি দেয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
পিআরপি থেরাপির পরের পরিবর্তন
*   চুল পড়া বন্ধ করে।
*   নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
*   চুল ঘন হতে সাহায্য করে।
*  বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
*  অস্ত্রোপচার পদ্ধতি সহজ। 
* তবে মনে রাখতে হবে, পিআরপি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। পুরো প্রক্রিয়াটি চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ম মেনে শেষ না করলে ফলাফল পাওয়া কঠিন।
পিআরপি থেরাপি কারা দিতে পারবেন
* চিকিৎসকের পরামর্শে নারী ও পুরুষ উভয়েই পিআরপি থেরাপি নিতে পারবেন। 
*   যাদের চুলের ঘনত্ব কমে গেছে।
*   যাদের মাথার ত্বক দেখা যায়। 
যাদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো চর্মরোগ নেই। পিআরপি থেরাপি একটি নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ পদ্ধতি। ফলাফলের হার ভালো বলে এটি এখন জনপ্রিয় পদ্ধতিও বটে। পিআরপি থেরাপি নেয়ার পর হয়তো ত্বকে ব্যথা বা লাল গুটির মতো অল্প পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে গুরুতর কিছু নয়।

লেখক: ডাক্তার
চেম্বার: অরোরা স্কিন অ্যান্ড এয়েসথেটিকস, পান্থপথ, ঢাকা
প্রয়োজনে: ০১৭২০-১২১৯৮২।

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status