শেষের পাতা
মৌচাক মার্কেটে ৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি, নেপথ্যে দোকান কর্মচারী হিমেল
স্টাফ রিপোর্টার
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবাররাজধানীর মৌচাক মার্কেটের একটি দোকানের ৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরির রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। এ ঘটনায় এক দোকান কর্মচারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- হিমেল মিয়া (২০)। তিনি মৌচাক মার্কেটের আসিফ জুয়েলার্স নামের ওই গহনার দোকানের কর্মচারী ছিলেন। বাকি তিনজন ফারজানা আক্তার ইতি (২৭), তার স্বামী মাশফিক আলম (২৮) এবং ইতির বাবা আব্দুল জব্বার (৭০)। গতকাল সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, গত চার বছর ধরে তার দোকানে কাজ করে আসছিলেন হিমেল। শুরুতে তিনি ছিলেন দোকানের ক্লিনার। আস্থাভাজন হয়ে ওঠায় বছরখানেক আগে তাকে সেলসম্যান করে নেয়া হয়। অন্যদিনের মতো গত ৩০শে অক্টোবর হিমেল কারখানায় যান স্বর্ণ আনতে। ৫৯ ভরি স্বর্ণের কয়েকটি বার নেয়ার পর আর দোকানে যাননি তিনি। পরে মোবাইল বন্ধ পেয়ে সন্দেহ হলে রমনা থানায় অভিযোগ করেন আলিম উদ্দিন। অভিযোগের বিষয়টি সিআইডিকেও জানান দোকান মালিক। পরে সিআইডি তদন্ত করতে গিয়ে হিমেলের পূর্ব পরিচিত ইতি নামের এক নারীর সন্ধান পায়। সেই নারীর স্বামী মাশফিকও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তথ্য মেলায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে কক্সবাজার থেকে মাশফিককে গ্রেপ্তার করে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর রামপুরা মৌলভীটেকের বাসা থেকে ইতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইতির বাবাকে। ইতির বাবার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হিমেলকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিআইজি নজরুল ইসলাম বলেন, হিমেল জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫৯ ভরি স্বর্ণ চুরি করার পর ৩৩ ভরি স্বর্ণ নিজের কাছে রেখে ইতি ও তার স্বামীকে বলেন, ২৫ ভরি তিনি চুরি করতে পেরেছেন। পরে ইতির বাবা জানান, হিমেলকে গৌরীপুর এলাকায় তার ভাতিজার বাসায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে। সিআইডি সেখান থেকে হিমেলকে গ্রেপ্তার করে। স্বর্ণ পাওয়ার পর তারা কিছু অংশ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আইফোন, জামাকাপড় কেনেন। নগদ টাকাও কাছে রাখেন। পরে ইতির বাসার ডিপ ফ্রিজ থেকে ১৯ ভরি স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রির ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার স্বামীর কাছ থেকে ২৭ হাজার টাকা ও প্রায় ৬৩ হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আর হিমেলের কাছ থেকে ৩৩ ভরির একটি স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণ বিক্রির টাকায় কেনা প্রায় সোয়া লাখ টাকা দামের আইফোন জব্দ করা হয়।