ঢাকা, ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

অবশেষে সচিব হলেন তিনি

কূটনৈতিক রিপোর্টার

(৬ মাস আগে) ১০ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ৯:৫৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৫:৩২ অপরাহ্ন

mzamin

অবশেষে সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রাজনৈতিক কারণে পদোন্নতি বঞ্চিত অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (১০তম ব্যাচের কর্মকর্তা) সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার। রোববার (১০ই নভেম্বর) প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. নাজমুল হক এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন। মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সংস্থাপন-১ বাশারাত নাজিয়ার সার্কুলেট করা ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্যাডারের কর্মকর্তা মাসুদ মাহমুদ খোন্দকারকে সচিব/ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর/গ্রেড-এ, রাষ্ট্রদূত (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ১৭ই অক্টোবর থেকে তার পদোন্নতির আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পিআরএলে যাওয়া মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ থেকে আগেই নিঃশর্ত অব্যাহতি পান। পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সেই আদেশে বলা হয়- যেহেতু সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ গুরুতর নয় এবং অনেকাংশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হলে প্রতীয়মান, তাছাড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পরও দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। যেহেতু রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলাটি নিষ্পন্ন হওয়ায় তিনি পেশাগত, মানসিক, সামজিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেহেতু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ওই বিভাগীয় মামলায় তার দীর্ঘ ভোগান্তি বিবেচনায় রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তাকে অভিযোগের সব দায় থেকে অব্যাহতি প্রদার করা হলো।

উল্লেখ্য, মিস্টার খোন্দকার ১৯৯১ সালে ফরেন সর্ভিসে যোগদান করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি সহকারী সচিব হিসেবে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০২ পর্যন্ত লন্ডন ও ম্যানিলার বাংলাদেশ মিশনে প্রথম ও দ্বিতীয় সচিব এবং কনস্যুলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার অনুবিভাগের ডেপুটি চিফ অব প্রটোকল এবং পররাষ্ট্র সচিবের দপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি উপ-হাইকমিশনার হিসেবে অটোয়া এবং ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ওই মিশনে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে তিনি দায়িত্ব পান ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে। ২০১১ সালের এপ্রিলে তাকে সার্ক ও বিমসটেক অনুবিভাগের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠানো হয়। কিন্তু কাতার শ্রমিক লীগের এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে দ্বন্দ্বে নির্ধারিত মেয়াদ পূর্তির আগেই তাকে স্ট্র্যান্ড রিলিজ করে ঢাকায় ফেরত আনা হয়। সেই থেকে ঠুনকো অভিযোগ এনে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিলো।

 

 

পাঠকের মতামত

শ্রমিক লীগের নেতার কত ক্ষমতা। একজন রাষ্ট্রদূতের চাকরি খেয়ে দিয়েছে

আলী
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১২:০৪ অপরাহ্ন

লীগ সর্বনাশের মূল। বিজ্ঞ পারদর্শী ব্যক্তিকে ও হেনস্থা করে । কিন্ত সরকার নিরপেক্ষ সিদ্ধান্ত কখনও নেয় নি। বরং অঙ্গ সংগঠন লীগের পক্ষ পাতিত্ব করেছে। এখানে এটাই প্রমাণ হল ।

Kazi
১১ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status