অনলাইন
বিডিআর বিদ্রোহ এবং প্রাসাদ ষড়যন্ত্র
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ সপ্তাহ আগে) ৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১২:১৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
মানুষ এমনও আছে/কলিজা ভুনা কইরা দিলে/কইব লবণ কম হইছে/বিশ্বাস কইরা যারে তুমি/ বুকে দিলা ঠাঁই/ নিজে না খাইয়া তুমি/তারে খাওয়াইলায়/দেখবা তুমি বুকে জড়াইয়া/পিছে ছুরি বসাইছে/ মানুষ এমনও আছে...।
প্রিয়, হাসু আপা
আপনার পলাতক জীবনের তিন মাস হতে চললো। এখন আর আপনার আজগুবি কথা প্রতিদিন শুনতে হয় না। দেশের মানুষ আজগুবি কথা, নিজে দোষ করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার বাণী আর শুনতে হচ্ছে না। এতে মানুষের কান রিলিফ পেয়েছে। কানের যন্ত্রণাও নাকি অনেকের কমেছে। আর বিশেষ করে আপনার দলের নেতাকর্মীরা এখন আপনাকে নিয়ে কলিজা ভুনার গান গাইছে। ওই চরিত্রের সঙ্গে আপনাকে মিলাতে চাইছে। আরে চাইছে কি বলছি? আসলে ওরা মিলিয়ে ফেলেছে। আর বলছে কার জন্য এতদিন কাজ করলাম। কোন দল করলাম। যারা আমাদের মতো নেতাকর্মীদের গলায় ছুরি বসিয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।
আপাগো, আজকে এসব কথা বলতে বসিনি। আজ বলতে চাইছি আপনার প্রধান যে গুণ, নিজের দোষ অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়া সেটা নিয়ে কিছু বলতে। তবে সব তো একসঙ্গে বলা যাবে না। কারণ একে তো আপনি পলাতক। অন্যদিকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলছেন। আবার এসব টেলিকথা ফাঁস করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এটা করে কি বুঝাতে চাইছেন মানুষ তা জানতে চায়। তবে প্রত্যেকেই এটার ভাবার্থ বুঝে। বুঝে বলেই এসবকে কেউ পাত্তা-টাত্তা দেয় না। বরং কেউ কেউ বলছে, আপনি ক্ষমতা হারিয়ে পাগল হয়ে গেছেন। যাকগে সেসব কথা- আপনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ পেয়ে সরকার গঠন করেন। কিছু দিনের মধ্যেই ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি প্রথম চালটি দিয়ে দিলেন বিডিআর বিদ্রোহের নামে। ৫৭ জন চৌকস আর্মি অফিসারকে খতম করে দিলেন।
বিস্তারিত পড়ুন ‘জনতার চোখ’-এ
শাপলা চত্ত্বর হত্যাকান্ড দয়া করে ভুলে যাবেন না.......
আল্লাহ ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না।
বিগত সরকারের আমলে দেশে আইনের শাসন ছিল না। গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিলো। বি ডি আর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন দেশ প্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। বিরোধীদলীয় অসংখ্য নেতা-কর্মীকে খুন গুম করা হয়েছিলো। লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অসংখ্য নেতাকর্মীকে রাজবন্দী করেছিল। প্রায় বিশ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছিল। শান্তির ধর্ম ইসলামকে ও মুসলিমদের কলঙ্কিত করা হয়েছিল।সকল অন্যায় মূলক কাজ বিগত সরকার ক্ষমতায় থেকে করেছিল। দেশকে ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। অবশেষে মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ কৃপায় ছাত্র জনতার বিপ্লবের উসিলায় বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশ থেকে পালিয়ে গেলো। আল্লাহ ছাড়া দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। আমাদের সকলের উচিত বিগত সরকারের অধঃপতন থেকে শিক্ষা নেওয়া। না হয় আমাদেরকেও এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাই আসুন আমরা দেশকে ভালবাসি। দেশের জন্য মঙ্গলজনক কাজ করি। আমাদের মনে রাখতে হবে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। পরিশেষে মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে হেফাজত করুন।আমীন
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
প্রবাদ রয়েছে- ‘ছাগল নাচে খুঁটির জোরে’। শেখ হাসিনা কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলছেন।তার নেপথ্যে রয়েছে ওই খুঁটি। পাচার করা টাকা। গত কয়েক বছরে তিনি বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ আত্মীয়-স্বজন ও অনুগত ধনকুবেরদের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সেই টাকার জোরেই তিনি এখন দিল্লিতে বসে দেশের রাজনীতিতে হুঙ্কার দিচ্ছেন।
Excellent.Give a chance to Sk Hasina the killer of July 2024 genocide to stay her Mirror House..