খেলা
বাফুফে নির্বাচন
সালাউদ্দিনের ১১ জন আছেন, দশজন নেই
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার
এবারের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে ৬২টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন ৪৯ জন। ওই নির্বাচনে জয়ী হওয়া ১০ জন এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। বাফুফের বর্তমান কমিটির ১১ জন পুনরায় নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। ২০০৮ সাল থেকে একটানা ১৬ বছর বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব সামলান কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এবার তিনি আর নির্বাচন করছেন না। ১৬ বছর সালাউদ্দিনের সঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ৫ই আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পদত্যাগ করেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সংসদ সদস্য । হত্যা মামলায় আসামী হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন সালাম মুশের্দী। নির্বাচনেও প্রার্থী হননি তিনি। সালাউদ্দিনের কমিটির চার সহ-সভাপতির মধ্যে কেবল ইমরুল হাসান নির্বাচনী মাঠে আছেন। তবে তিনি সহ-সভাপতি নয়, নির্বাচন করবেন সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে। এই পদে তার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন তরফদার রুহুল আমিন। সালাউদ্দিনের বর্তমান কমিটির বাকি তিন সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহী মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি। এদের মধ্যে নাবিল ও মহি হত্যা মামলার আসামী হয়ে পলাতক আছেন। আর এই মুহূর্তে দেশের বাইরে আছেন আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। নির্বাহী সদস্য ১৫ জন। এই ১৫ জনের মধ্যে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন গত বছর পদত্যাগ করেছেন। এবার তিনি নীলফামারী থেকে কাউন্সিলর হলেও মনোনয়ন পত্র নেননি। ২০১৬ সালে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হওয়া নুরুল ইসলাম নুরু ২০২০ সালে সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। গাজীপুরের টঙ্গীর সাবেক কাউন্সিলর নুরু এবার প্রার্থী হননি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই বাফুফের সঙ্গে জড়িত ছিলেন হারুনুর রশীদ। বাফুফের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিনের চার মেয়াদে সদস্য ছিলেন। ৭২ বছরের বেশি হওয়ায় তিনি এবার নির্বাচন করতে পারছে না। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ইলিয়াস হোসেন ২০১২ সাল থেকে বাফুফে নির্বাহী সদস্য। তিনবারই কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেলে ছিলেন। গোপালগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবার নির্বাচন করছে না। ২০২০ সালে বাফুফে নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সদস্য হয়েছেন নোয়াখালীর আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু। বাফুফে সদস্য পরবর্তীতে নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। পট পরিবর্তনের জন্য পলাতক পিন্টু প্রার্থী হননি। এদের বাইরে বাফুফের বর্তমান নির্বাহী কমিটির দশ জন প্রার্থী হয়েছেন। এদের মধ্যে সদস্য পদে মনোনয়ন কিনেছেন মাহফুজা আক্তার কিরণ, জাকির হোসেন চৌধুরী, টিপু সুলতান, বিজন বড়ুয়া, আমের খান, মহিদুর রহমান মিরাজ, সাইফুল ইসলাম ও মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম। সত্যজিত দাস রুপু সদস্যের পাশাপাশি সহ-সভাপতি পদেও মনোনয়ন নিয়েছেন।