বাংলারজমিন
পূর্বধলায় নদীগর্ভে বিলীনের পথে ১০ পরিবারের বসতভিটা
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার
পূর্বধলা সদর ইউনিয়নে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধলায় নদীগর্ভে পঁচিশটি বসতঘরের মধ্যে দুটি ঘর সম্পূর্ণ ধলাই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরও চারটি ঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাকি বসতঘরগুলোও যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে জানালেন বসবাসরত লোকজন ও স্থানীয় সচেতন মহল। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের অগ্রণী ব্যাংকের পশ্চিম পাশে আদরী রাজবর, স্বামী মৃত রবি রাজবর গংদের ধলায় নদীর ভয়াল গ্রাসে অনেক দিন পূর্বে ২৫টি বসতঘর, বাঁশ ও কাঠের তৈরি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আবার দুইটি বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আরও চারটি বসতঘর অর্ধেক নদীগর্ভে চলে যাওয়ার পথে। বিধ্বস্ত বাড়ির সদস্য রবি রাজবরসহ অনেকের বাড়িঘর হারিয়ে নির্বাক হয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তাদের নীরব কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। এখন বাড়িঘর হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। তারা জানান, প্রবল বর্ষণে নদীর স্রোতে চোখের সামনেই বসতঘরগুলো নিয়ে গেল।
সরজমিন আরও দেখা যায়, আশপাশের বাড়িঘরও বিলীন হওয়ার পথে। যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাশেদুল ইসলাম রাজন মীর। এসব বসতঘরগুলো রক্ষার দাবিতে সংস্কারের হস্তক্ষেপ চায় এলাকাবাসী ।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. সেলিম মিয়া জানান, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাকি পরিবারগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো এখন অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি আরও বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে বাকি বসতঘরগুলো বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত কয়েক দিন টানা বর্ষণে এই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই অসহায় মানুষের। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে শুকনো খাবার দিয়েছেন। যাদের বসতঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে তাদের নামের তালিকা করে জমা দেয়া হয়েছে।