প্রথম পাতা
দুই বাসের পাল্লা
আইরিনের মর্মান্তিক মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার
১০ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
তাসনিম জাহান আইরিন (২৪)। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ সম্পন্ন করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। গতকাল সকালে বাড্ডার প্রগতি সরণি এলাকায় আকাশ পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতার বলি হয়েছেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। একই ঘটনায় তার বোন নুসরাত জাহান জেরিন গুরুতর আহত হন। আইরিনের গ্রামের বাড়ি বরগুনা পাথরঘাটা। পরিবারের সঙ্গে মিরপুরের পল্লবীতে থাকতেন।
আইরিনের বাবা সাইফুল আলম ছগির বলেন, আমার দুই মেয়ে আইরিন ও ইসরাত নেক্সট ভেনচার নামে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পদে চাকরি করতো। সকালে বাসা থেকে বের হয়। পরে জানতে পারি আকাশ পরিবহনের দুই বাসে চাপা পড়ে আইরিন ঘটনাস্থলে মারা যায় ও নুসরাত আহত হয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানা মানিকখালী গ্রামে। বর্তমানে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিজ বাসায় থাকি। আমার তিন মেয়ে এক ছেলে।
আইরিনের সহকর্মীরা বলেন, তাসনিম জাহান আইরিন শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করে এক বছর ধরে কাজ করছে। তারা দুই বোন আমাদের এখানে চাকরি করেন। বুধবার সকালে অফিসে আসার পথে উত্তর বাড্ডা সুবাস্তু মার্কেটের সামনে দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় আকাশ পরিবহনের দুটি বাসের চাপায় নিহত হন।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা সিদ্দিকা সোমা বলেন, আমরা খবর পেয়ে বাড্ডার প্রগতি সরণির সুবাস্তু টাওয়ারের বিপরীতে রাস্তা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ওই নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় লোকের মুখে জানতে পেরেছি আকাশ পরিবহনের দুটি বাস পাল্লা দিয়ে যাওয়ার পথে দুই গাড়ির মাঝে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত
মর্মান্তিক। দ্রুত সংশ্লিষ্ট সবাইকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। জাগো ছাত্র সমাজ।
বাস কোম্পানী দুটি থেকে ১০ কোটি টাকা আদায় করে ভিক্টিমের পরিবারকে দেয়া হোক। পুরানো দাগী বাস মালিকদের ভিখারী বানানো ছাড়া বাস চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরানোর কোন উপায় নাই।
জাগো ছাত্র-জনতা, এবার এই অশিক্ষিত বর্বর মটর শ্রমিকদের সাইজ করতে হবে
মর্মান্তিক। একটি সুন্দর সম্ভাবনাময় মেয়ের করুণ মৃত্যু। এ ধরনের হঠাৎ মৃত্যু মেনে নেয়া পরিবারের জন্য খুবই কষ্টের। কারণ পরিবারের অনেক যত্ন, অর্থখরচ ও পরিশ্রমের ফসল ছিলো মেয়েটি। ড্রাইভারদের বিবেকহীনতা, দায়িত্বহীন গাড়ী চালানো ও অনর্থক গাড়ি নিয়ে লোক চলাচলের রাস্তায় প্রতিযোগিতার কারণে মেয়েটিকে করুণ মৃত্যুবরণ করতে হলো। রাস্তায় এধরনের যান চলাচলের বিরুদ্ধে ও খুনী ড্রাইভারের সমুচিত শাস্তি ও জরিমানা হওয়া উচিত।