শেষের পাতা
২৩ বিচারপতির শপথ, নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন বার সভাপতির
স্টাফ রিপোর্টার
১০ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন অতিরিক্ত বিচারক শপথ নিয়েছেন। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। তবে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার আগে হাইকোর্টে ২৩ বিচারক নিয়োগ দেয়া উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিচারক নিয়োগের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যে ২৩ জন বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন, এদের অনেককেই চিনি। যারা সুপ্রিম কোর্টে ভালো প্র্যাকটিস করেন। আবার অনেককে চিনি না। এর মধ্যে দুই-একজন এমনও আছেন যারা ৩ বছরে মাত্র একটি মামলা করেছেন।
শপথ নেয়া বিচারকরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী। সকাল ১১টায় বিচারকদের শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আমি শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ২৩জন বিচারকের মধ্যে অনেককেই আমি চিনি, যারা সুপ্রিম কোর্টে ভালোভাবে প্র্যাকটিস করেন। তবে নিয়োগ পাওয়া অনেককেই চিনি না। আরও দক্ষ বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার দরকার ছিল। তিন বছরে একটি মামলা করেছে এমন লোককেও বিচারপতি করা হয়েছে। আমরা আশা করছিলাম মানুষের চাহিদা অনুযায়ী, সব আইনজীবীর চাহিদা অনুযায়ী আগে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা বা আইন হবে। অর্ডিনেন্স বা নীতিমালা ছাড়া বিচারপতি নিয়োগ দেয়া তো আগের মতোই হয়ে গেল। আগেও এভাবে চলেছে, যার যাকে পছন্দ তাকে নিয়োগ দিয়েছে।
হাইকোর্টে নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতির পরিচয়
নতুন নিয়োগ পাওয়া ২৩জনের মধ্যে ৬জন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ছিলেন। এরা হলেন- বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন। একজন সিনিয়র জেলা জজ মো. আবদুল মান্নান। ৭জন ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তারা হলেন- বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, শেখ তাহসিন আলী ও ফয়েজ আহমেদ। আর বাকি ৯জন ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তারা হলেন- বিচারপতি মুবিনা আসাফ, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী। এর আগে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
পাঠকের মতামত
বুঝলাম না এই আন্দোলনের সরকার সব কিছুতেই তাড়াহুড়া করে জগাখিচুড়ি করছেন প্রত্যেকটা জায়গায়ে !!!!!!!!!!!! এরা কি একবারও ভাল ভাবে চিন্তাভাবনা করেন না ডিশিসান নেওয়ার আগে ???? প্রতেকবার ভুল করে যাবে আর বলবে সরি !!!!!!!!!!!! এটা কি বাচ্চাদের পুতুল খেলা ????
This is turbulent time. The interim government is under tremendous pressure. The appointment of High court judges in a short time was a call of the day.
তো আগের মতোই selection.
সবই ড.আসিফ নজরুলের কারিশমা। যার ঘাড়ে এখনও সেক (দাঙ্গাবাজ) মুজিবের ছবি ঝুলছে। ওনার জীবন, মৌবন, ঘর, সংসার, সমাজ, কৃষ্টি, কালচার সবই আওয়ামী চেতনায় সমৃদ্ধ।