অনলাইন
সহযোগীদের খবর
খুলনায় ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল ‘শেখ বাড়ি’
অনলাইন ডেস্ক
(৪ সপ্তাহ আগে) ৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবার, ৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৩৭ অপরাহ্ন
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর খুলনায় ক্ষমতার কেন্দ্র ছিল ‘শেখ বাড়ি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, লাল প্রাচীরঘেরা খুলনা নগরের শেরেবাংলা রোডের দোতলা বাড়িটির আনুষ্ঠানিক কোনো নাম নেই, নেই কোনো নামফলক। কিন্তু সবাই একে ‘শেখ বাড়ি’ নামেই চেনেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো পাঁচ ভাইয়ের বাড়ি এটি। শেখ ভাইয়েরা সবাই ঢাকায় থাকলেও খুলনায় এসে থাকতেন এই পৈতৃক বাড়িতে। এই বাড়িকে ঘিরে যেসব কার্যকলাপ হতো, তা কেবল মাফিয়া গডফাদারদের নিয়ে নির্মিত সিনেমাতেই দেখা যায়।
তবে এই শেখ বাড়ি এখন পোড়া একটি বাড়ি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মুখে আগে ও পরে গত ৪ ও ৫ আগস্ট কয়েক দফা হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর বাড়িটির অবকাঠামো ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। অথচ গত ১৬ বছরে এই বাড়ি হয়ে উঠেছিল খুলনা অঞ্চলের ‘সব ক্ষমতার’ কেন্দ্রবিন্দু।
এই বাড়ির নির্দেশনায় চলত খুলনা অঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠন থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। রাজনৈতিক নেতারা তো বটেই, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সংগঠনের নেতারা নিয়মিত হাজিরা দিতেন এই বাড়িতে। বাড়িটি মধ্যরাত পর্যন্ত সরগরম থাকত। বাড়ির সামনে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে থাকত দামি গাড়ি। রাস্তায় থাকত পুলিশের সরব উপস্থিতি।
গত দেড় দশকে খুলনার যেকোনো সরকারি জনবল নিয়োগে ‘শেখ বাড়ি কোটা’ বলে একটা কথা চালু ছিল। খুলনা অঞ্চলের সব ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ, মনোনয়ন–বাণিজ্য, চাকরির নিয়োগ-বদলি, ব্যবসা-বাণিজ্য—সবকিছু চলত এই বাড়ি ঘিরে। শেখ বাড়ি নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই চাপা অসন্তোষ ছিল; কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। এই বাড়িতেই ছিলেন তিনজন সংসদ সদস্য।
শেখ বাড়ির পাঁচ ভাই হলেন শেখ হেলাল, শেখ জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল ও শেখ বেলাল। তাঁদের মধ্যে শেখ হেলাল ও শেখ জুয়েল সংসদ সদস্য ছিলেন। আরেকজন সংসদ সদস্য ছিলেন শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময়। শেখ হেলাল ও শেখ তন্ময় সম্প্রতি দেশ ছেড়েছেন। তবে শেখ জুয়েল এখনো দেশ ছাড়ার সুযোগ পাননি বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। আর শেখ সোহেল ও শেখ রুবেল জুলাই থেকেই দেশের বাইরে আছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
যুগান্তর
ভোটারের তথ্যভান্ডার নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘নিয়ন্ত্রণ ঠিকাদারের হাতে’। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের নাগরিকদের ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ ২০০৭ সালে শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম আছে সোয়া ১২ কোটি নাগরিকের। ভোটারদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার বা ডেটা সেন্টার গড়ে তুলেছে ইসি। ডেটা সেন্টারের সার্ভারের প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ নেই নির্বাচন কমিশনের। বেসরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটির হাতে মূলত নিয়ন্ত্রণ।
ডেটা সেন্টারের ক্রেডেনসিয়াল, সোর্স কোড, নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম, সিস্টেম আর্কিটেকচারসহ সবকিছুই ওই প্রতিষ্ঠান এবং এর সহযোগী আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার নামের প্রতিষ্ঠানের কাছে। নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত ডেটাবেজের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে চিন্তায় আছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার। মূলত এরপরই টাইগার আইটির কাছ থেকে ডেটা সেন্টারের নিয়ন্ত্রণ নিতে দৃশ্যমান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ইসি সচিবালয়। প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে টাইগার আইটি ও আইবিসিএস প্রাইমেক্স সফটওয়্যার লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের কর্মকর্তারা।
সমকাল
‘বিপুল জায়গা হাতছাড়া, মহাপরিকল্পনা আটকা’-এটি দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকটের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে এক সিটে ঘুমান দুই শিক্ষার্থী। পড়ার টেবিলও দু’জনের একটি। এটাই প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক আবাসিক শিক্ষার্থীর যুগ যুগের নিয়তি। ছাত্রছাত্রীরা এমন ক্লেশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পার করলেও কারও যেন দৃষ্টিপাত নেই।
তবে নতুন আবাসিক হলসহ অবকাঠামোর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ মহাপরিকল্পনা নিলেও বাস্তবায়ন বহুদূর। ঢাবি প্রশাসনের মহাপরিকল্পনায় বড় বাধা ভবন নির্মাণে জায়গার স্বল্পতা। এর মধ্যে আবার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১২ একরের বেশি জমি হাতছাড়া হয়ে আছে। ঢাবির এস্টেট অফিসের অবহেলার কারণে এসব জমি নিয়ন্ত্রণেও নেওয়া যাচ্ছে না বলে আছে অভিযোগ। ফলে ১৯২১ সালে ৬৫০ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিশ্ববিদ্যালয়টির মানচিত্র এখন ২৭৪ একরে এসে ঠেকেছে।
ঢাবির জমিতে যেসব প্রতিষ্ঠান পোদ্দারি করে যাচ্ছে এর মধ্যে রয়েছে–পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, শিক্ষা প্রকল্প ও উন্নয়ন গবেষণা ফাউন্ডেশন (ফ্রেপড), নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয়, এশিয়াটিক সোসাইটি ও এর সংলগ্ন বঙ্গবাজারের কিছু অংশ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবস্টেশন, নীলক্ষেত ও বাবুপুরা পুলিশ ফাঁড়ি উল্লেখযোগ্য।
ইত্তেফাক
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম পাতার ‘অঞ্চলভেদে নির্ধারণ হবে স্কুলে ভর্তি ফি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, হাই স্কুলে ভর্তি ও টিউশন ফি নির্ধারণ হবে অঞ্চলভেদে। আর স্কাউট, মিলাদসহ ২৮টির মতো কমন ফি নির্ধারণ করে দেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে আদেশ জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গতকাল রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের জনগণের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে মাসিক বেতন বেশি হবে, আর তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানের বেতন কম হবে। জেলা পর্যায়ের স্কুলের বেতন নির্ধারণ করবেন জেলা প্রশাসন (ডিসি)। আর সিটি করপোরেশন এলাকার স্কুলের ফি নির্ধারিত হবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) আঞ্চলিক উপপরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি। আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বাধীন কমিটি।
নয়া দিগন্ত
‘অতি বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ৩ জেলা প্লাবিত’-এটি দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, গত কয়েক দিনের টানা ভারী বৃষ্টি ও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া সড়ক ও রেলপথ ডুবে যাওয়ায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও সড়ক পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে জাদুকাটা, রক্তি,পাটলাই নদী দিয়ে ভারতের পানি প্রবল বেগে ভাটির দিকে নামছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলায় সীমান্তের বিভিন্ন নদী ও ছড়া দিয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পানি প্রবল বেগে নিম্নাঞ্চলের দিকে ঢুকছে। এতে সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের কৈয়ারকান্দা ১০০ মিটার সড়ক ও আনোয়ারপুর বাজারের সামনের সড়ক দিয়ে পানি হাওরে ঢুকছে। নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি, সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়াও রোপা আমনের জমি পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাহিরপুরে আসতে গিয়ে পর্যটকগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের সিএনজি অটোরিকশাচালক মাসুক মিয়া জানান,পাহাড়ি ঢলের ১০০ মিটার সড়ক উপচে পানি হাওরে প্রবেশ করেছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি।
বালিজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণকুল গ্রামের কৃষক রফিক মিয়া জানান, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আমনের জমি তলিয়ে গেছে। বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া জানান,পাহাড়ি ঢলের পানিতে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের কয়েকটি স্থানে ডুবে গেছে। তবে যানবাহন চলাচল এখনো বন্ধ হয়নি। পানি আরো বাড়লে দুর্ভোগ বেড়ে যাবে। পানিতে আমনের জমি তলিয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে বন্যার আশঙ্কা নেই।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘এরশাদের ইনসেনটিভ মডেলেই সেনাবাহিনীকে বশে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা’। খবরে বলা হয়, সেনাবাহিনীর আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে হোটেল, গলফ ক্লাব, ফিলিং স্টেশন, ব্যাংক, শপিং কমপ্লেক্স ও পরিবহন ব্যবসা। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় এসে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের স্বার্থ ও কল্যাণে ১৯৯৮ সালে এ ট্রাস্ট গঠন করে। পাশাপাশি আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও মোংলায় সিমেন্ট কারখানা নির্মাণসহ ব্যবসার জন্য বেশকিছু সুযোগ করে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২০০৯ সালে যুক্ত হয় হোটেল ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। ২০২১ সালে যাত্রা করে আর্মি ফার্মা লিমিটেড ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। পরে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে অনুসরণ করেন পাকিস্তানের কৌশল, যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয় দেশটির সেনাবাহিনীকে।
এতে বেশ সফলও হন জেনারেল এরশাদ। শেখ হাসিনা সরকারও এরশাদের সে নীতি অনুসরণ করে, যা দীর্ঘ দেড় দশক শাসনক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা। তাদের মতে, সেনাবাহিনীকে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে জেনারেল এরশাদের চেয়েও কয়েক গুণ ছাড়িয়ে যান শেখ হাসিনা।
দেশ রূপান্তর
দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম ‘পূর্ত সচিব হয়েই বাগিয়ে নেন প্লট’। প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. নবীরুল ইসলাম। ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। চলতি বছর ৬ মার্চ পদোন্নতির পর সেখান থেকে ১১ মার্চ যোগ দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে। আর পূর্ত সচিবের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই সরকারি প্লটের ওপর নজর পড়ে নবীরুলের। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস হতে না হতেই তাকে সরকারি প্লট দিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন। গত ৭ মে পাঠানো হয় ওই চিঠি। আর চিঠিটি পাওয়ার পর অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে তার নামে রাজধানীর উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে পাঁচ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে রাজউক।
রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষের (ভূমি, প্লট, স্পেস ও ফ্ল্যাট বরাদ্দ) বিধিমালা-২০২৪ এর ৭ (৩) (ঘ) ধারায় নবীরুল ইসলামকে প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়। চলতি বছর ২৮ এপ্রিল এই বিধিমালার গেজেট জারি হয়। সচিবদের মধ্যে তিনিই প্রথম নতুন বিধিামলায় প্লট নিয়েছেন। এর আগে সরকারি কর্মকর্তাদের রাজধানী উন্নয়ন কর্র্তৃপক্ষ (অ্যালটমেন্ট অব রুলস ১৯৬৯) এর ১৩-এ ধারায় প্লট দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সাবেক গণপূর্ত সচিব মো. নবীরুল ইসলামকে সম্প্রতি বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে ছয় মাসেরও কম সময় দায়িত্ব পালন করেন। এ স্বল্প সময়েই কয়েক কোটি টাকা মূল্যের সরকারি প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন।
আজকের প্রত্রিকা
‘থানায় থানায় গ্রেপ্তার কোটা’-এটি দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রথমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও ধরা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া
এক বার্তার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের ধরতে এ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বার্তা যাওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থানাগুলোকে একধরনের ‘গ্রেপ্তার কোটা’ বেঁধে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কোটা অনুযায়ী, প্রতিদিন মামলার ডজনখানেক আসামিকে ধরতে বলা হয়েছে।
তবে আসামি গ্রেপ্তারে এমন কোটা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পুলিশের মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে এবারও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে সরকার বদলের পর তাঁদের আবার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
নিউ এইজ
নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম ‘Thousands in shelters as flash flood worsens’ অর্থাৎ ‘আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে আসা পানির কারণে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। পানির প্রবাহে নদীগুলো উত্তাল হয়ে ওঠে এবং এর প্রভাবে শেরপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানের বন্যারক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়েছে।
রোববার ময়মনসিংহ বিভাগে এই আকস্মিক বন্যা হয়। এতে বন্যাকবলিত হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গিয়েছে। অসংখ্য বাড়িঘর ও রাস্তার বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মাছের খামারও ভেসে গেছে।
বন্যার কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্টসহ পানিতে ডুবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছয় জনে দাঁড়িয়েছে।
কালের কণ্ঠ
‘হুন্ডির হোতা সাবেক এমপি আফজাল’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা’, ‘বিনা ভোট’ ও ‘ডামি ভোটে’ কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে টানা চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আফজাল হোসেন। ক্ষমতার পরশ পাথর হাতে পেয়ে শুরু করেন সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট। অবৈধ সম্পদ অর্জনে তিনি বেছে নেন হুন্ডির কারবারসহ চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, জমি দখল ইত্যাদি। দেশের বাইরে বিদেশেও বিপুল অর্থপাচার করেছেন তিনি।
সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়ায় আছে ফ্ল্যাট, বাড়ি ও গাড়ি। আফজালের সম্পদের পাহাড়ে চাপা পড়েছে দেশের খেটে খাওয়া কোটি মানুষের ঘাম।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একের পর এক রাঘববোয়াল ধরা পড়লেও এখনো অধরা আফজাল। এবার তাঁকে নিয়ে একযোগে অনুসন্ধানে নামছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যাঁরা সুবিধাভোগী ও দুর্নীতিবাজ ছিলেন, তাঁদের অনেকে এখনো আড়ালে। সেই তালিকাও বেশ দীর্ঘ। তবে ধীরে ধীরে তাঁদের সবার বিরুদ্ধে করা হবে অনুসন্ধান।
আফজালের নামে-বেনামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ফ্ল্যাট, শেয়ার, একাধিক গাড়ি ও ব্যাংক আমানতের তথ্য পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে বাস্তবতা এবং অনিয়ম পাওয়া গেলে ধরন অনুযায়ী এখতিয়ারভুক্ত সংস্থা পদক্ষেপ নেবে।
পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা এখন ও শিক্ষা নেন নি । জনগণের পুলিশ হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ্যে বললেও তাদের অতীত অভ্যাস পরিবর্তন হয় নি । কোটা ধরে গ্রেফতার করার আদেশ গ্রেফতার বাণিজ্য করার ইঙ্গিত বহন করে ।