বাংলারজমিন
আমতলীতে মশা-মাছিতে অতিষ্ঠ ৩০ গ্রামের মানুষ
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
৭ অক্টোবর ২০২৪, সোমবারবরগুনার আমতলী পৌর শহরের কোলঘেঁষা চাওড়া নদী কচুরিপানায় ছেয়ে আছে বছরের পর বছর। পচে গেছে পানি। পরিণত হয়েছে মশা-মাছির কারখানায়। মশা আর মাছির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নদী তীরবর্তী চাওড়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও সদর ইউনিয়ন ৩০টি গ্রামের হাজার হাজার পরিবার। এ কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নদীর তীরে বসবাসরতরা।
স্থানীয়রা জানান, মশা আর মাছির কারণে নদীপাড়ে যারা বাস করেন তাদের প্রত্যেক পরিবারেই পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চন্দ্রা গ্রামের সজীব মিয়া জানান, কচুরিপানার কারণে খালের পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আবার মশার জ্বালা, ঘরে থাকতে পারছি না। কুকুয়া ইউনিয়নের মনির বলেন, ‘আমাগো দিগে কেউ চায় না। একদিকে পচা ওডা, অপরদিকে মশার অত্যাচার।’ ঘুঘুমারীর মোকলেছ মিয়া বলেন, ‘এ্যাহন আর ট্রলারে নৌকায় আমতলীতে যাইতে পারি না কচুরিপনার কারণে।’ চালিতাবুনিয়া গ্রামের হাফিজ মিয়া জানান, ‘মোরা বাঁধ কাটা বা না কাটা বুঝি না। চাই পানি ও কচুরিপানা সরানোর স্থায়ী ব্যবস্থা।’ মউডাঙ্গা গ্রামের মো. ইব্রাহিম জানান, কচুরিপানায় আমরা শেষ। পানি ব্যবহার করতে পারি না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা. চিন্ময় কুমার বলেন, মশা আর মাছিতে ডেঙ্গু, কলেরা আমাশয়সহ পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। জরুরিভাবে কচুরিপানা পরিষ্কার করা প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, কচুরিপানা স্থায়ীভাবে অপসারণের জন্য এই খালের তীরবর্তী হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর, কুকুয়ার শাখা খালগুলোতে খনন, কালভার্ট স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। কাজগুলো শেষ হলেই কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।