অনলাইন
সহযোগীদের খবর
সড়কে দুর্নীতি, নেপথ্যে কাদেরসহ প্রভাবশালীরা
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
প্রথম আলো
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সড়কে দুর্নীতি, নেপথ্যে কাদেরসহ প্রভাবশালীরা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সড়কের ঠিকাদারি কাজে এক বিস্ময়ের নাম ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই)। ২০১৭ সালের শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটি সড়কে কাজ শুরু করে। মাত্র ছয় বছরে তারা সড়কে একক ও যৌথভাবে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি পেয়েছে, যা মোট কাজের ১০ শতাংশ।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের সাতজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এনডিই ঠিকাদারি কাজ পেতে আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করত। ওবায়দুল কাদের কর্মকর্তাদের বলে দিয়েছিলেন যে প্রতিষ্ঠানটির পেছনে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত এক যুগে সওজের ঠিকাদারি কাজের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ সময়ে এনডিইর মতো ১৫টি প্রতিষ্ঠান ব্যয়ের দিক দিয়ে মোট কাজের ৯০ শতাংশ পেয়েছে। এক যুগে সড়ক ও সেতু নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে ৮৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করেছে সরকার। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাজ একক ও যৌথভাবে পেয়েছে ওই ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ঠিকাদারি কাজ পাওয়া, নিম্ন মানের কাজ করে টাকা তুলে নেওয়া এবং বেশি কাজ করা দেখিয়ে বাড়তি বিল আদায়—এগুলোর জন্য ঠিকাদারেরা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও নেতাদের হাতে রাখতেন। এটা বিগত সরকারের আমলে ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে পড়েছিল। এটা ছিল দুর্নীতির মহামারি।
সওজের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ১ হাজার ১০০টি; কিন্তু মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে ৯০ শতাংশ কাজ পেয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সওজের প্রকৌশলীরা বলছেন, এসব ঠিকাদার সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের ‘আশীর্বাদে’ ছিলেন। যদিও ঠিকাদারদের কেউ কেউ বলছেন, নেতাদের আশীর্বাদের সঙ্গে মন্ত্রণালয় ও সওজের কর্মকর্তাদের ‘কমিশন’ দিতে হতো। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নিলেই তাঁদের অবৈধ আয় বেরিয়ে আসবে।
সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়া ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হলো হাসান টেকনো বিল্ডার্স, রানা বিল্ডার্স, এনডিই, মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, মো. মঈনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, তাহের ব্রাদার্স, মোহাম্মদ আমিনুল হক লিমিটেড, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ার্স, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স, এম/এস সালেহ আহমেদ, এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স, রিলায়েবল বিল্ডার্স, তমা কনস্ট্রাকশন, মাহফুজ খান লিমিটেড ও আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন।
কাজ পেতে জালিয়াতি ও অনিয়ম প্রকাশ পাওয়ায় এ বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৫ প্রতিষ্ঠানকে ছয় মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত কালোতালিকাভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে শীর্ষ ১৩টি ঠিকাদারি (স্পেক্ট্রা ও এম এম বিল্ডার্স ছাড়া) প্রতিষ্ঠান ছিল।
যুগান্তর
‘প্রাধান্য পাবে সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় আজ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর আড়াইটায় দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিকে দিয়ে সংলাপ শুরু হবে। সংলাপে রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত নেতারা বলেন, প্রথমত তারা প্রধান উপদেষ্টার কথা শুনবেন। পরে তারা রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চাইবেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সংলাপে সংস্কারসহ নানা বিষয়ে এ সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানাবেন। তবে নির্বাচনব্যবস্থা, প্রশাসন ও বিচার বিভাগ-এ তিনটি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে তারা নির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব দিতে পারেন। এরপরই দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তি দিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরার কথা রয়েছে। পাশাপাশি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা ও সাজা প্রত্যাহার, আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলবেন দলটির নেতারা।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এটি হবে তৃতীয় দফা সংলাপ। এর আগে দুদফা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এদিন তৃতীয় দফা সংলাপে বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বাম গণতান্ত্রিক জোট, হেফাজতে ইসলাম ও এবি পার্টি আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের যুগান্তরকে বলেন, তাদের এখনো এ বিষয়ে জানানো হয়নি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমেদ সন্ধ্যায় জানান, তার দলকে এখনো আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘এই সরকার কোয়ালিটি নয় কোয়ানটিটি দেখে ডাকে।’ এদিকে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটের কেউ এ সংলাপে আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা গেছে।
সমকাল
দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘সংস্কার কমিশনে নাখোশ বিএনপিসহ কয়েক দল’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলোর কয়েক সদস্যের অতীত ভূমিকা নিয়ে আপত্তি বিএনপির। আলোচনা ছাড়াই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশনের প্রধান ও পরে সদস্য ঠিক করায় নাখোশ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে সংলাপে বসছেন ড. ইউনূস।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, সংস্কারে গঠিত কমিশনের বিষয় ছাড়াও আলোচনা হবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। দলগুলো আধাঘণ্টা করে সময় পাবে আলোচনা করার। এ নিয়ে অখুশি দলগুলো।
বেলা আড়াইটায় বিএনপি, ৩টায় জামায়াত, সাড়ে ৩টায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিকেল ৪টায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, সাড়ে ৪টায় হেফাজতে ইসলাম, ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সাড়ে ৫টায় এবি পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায়। বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংলাপে কতগুলো দলকে ডাকা হয়েছে, তা গতকাল রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ডাক পায়নি আওয়ামী লীগ আমলে সরকারের সুরে কথা বলে গৃহপালিত বিরোধী দলের তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি (জাপা)। আবার হেফাজত রাজনৈতিক দল না হলেও আমন্ত্রণ পেয়েছে। তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধিত খেলাফত মজলিসের দুই অংশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং অনিবন্ধিত দলগুলোকে পৃথকভাবে ডাকা হয়নি।
ইত্তেফাক
‘১৮ হাজার কর্মী নেওয়ার বিষয় বিবেচনা করবে মালয়েশিয়া’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, সব প্রক্রিয়া সমপন্ন করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে না পারা প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুর দ্রুত সমাধান ও অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান)-এর সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আমন্ত্রণে এক সংক্ষিপ্ত সরকারি সফরে গতকাল ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। দুপুর ২ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তাকে স্বাগত জানান এবং সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বিমানবন্দরেই আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, ঢাকায় পুরনো বন্ধুকে স্বাগত জানাতে পেরে খুবই খুশি। বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব, ছাত্র ও জনগণের আত্মত্যাগ এবং বিগত সরকারের সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর নেতাদের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন। পরে দুই নেতা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে একই গাড়িতে চড়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের ভেন্যুতে আসেন।
বণিক বার্তা
দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ‘রাশিয়া কি আওয়ামী লীগের বৃত্ত থেকে বের হতে পারবে’। খবরে বলা হচ্ছে, ১৯৮৩ সালের নভেম্বর। সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ১৮ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে বাংলাদেশ। তবে কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা সেবারই প্রথম নয়। তার আগে জিয়াউর রহমানের সময়ও চার সোভিয়েত কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠে। তবে সম্পর্কের এ অবনত অবস্থার বরফ গলতে থাকে মূলত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর।
পরবর্তী সময়ে ক্ষমতার পালাবদলে আবারো অবনতি ঘটে দুই দেশের সম্পর্কের। যদিও গত দেড় দশকে শেখ হাসিনা সরকার রাশিয়ার সঙ্গে তিক্ত সে সম্পর্ক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের সেই বৃত্ত থেকে এখন রাশিয়া বের হয়ে আসতে পারবে কিনা সে প্রশ্নই উঠেছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্ক সবসময় নির্ভর করেছে রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতা গ্রহণের ওপর। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে রাশিয়ার বিনিয়োগ বরাবরই বেশি এসেছে। বিগত কয়েক বছরের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিশ্লেষণ করলে এমনটি বোঝা যায়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বাংলাদেশে রাশিয়ার বিনিয়োগের অনন্য নিদর্শন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে দেশটির যে পরিমাণ বিনিয়োগ এসেছে, তার বৃহৎ অংশই এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের সময়।
আজকের পত্রিকা
দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘বাবা-ছেলের দখল-বাণিজ্য দলীয় নেতারাও আক্রান্ত’। খবরে বলা হচ্ছে, ক্ষমতায় থাকার সময় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ (বেড়া-সাঁথিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামসুল হক টুকু এবং তাঁর ছেলে বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন দখলদারত্বের রাজত্ব চালিয়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নৌবন্দর দখল, হুরাসাগর নদ ও আশপাশে শতাধিক বিঘা জমি দখল, নদ থেকে কয়েক কোটি টাকার বালু-বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন বাবা-ছেলে। এমনকি মামলা দিয়ে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন বলে এখন মুখ খুলছেন আওয়ামী লীগের একসময়ের নেতারাই।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শামসুল হক টুকু গ্রেপ্তার হন। আর তাঁর ছেলে রঞ্জন আত্মগোপনে আছেন। টুকুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
দলীয় নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেড়া পৌর সদরের বৃশালিখা মহল্লায় ১০ বছর আগেও আধা পাকা বাড়ি ছিল টুকুর। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। এর কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ি করেন টুকু। তবে ৫ আগস্টের পর পোড়া বাড়িতে পরিণত হয়েছে সেই অট্টালিকা।
নয়া দিগন্ত
দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘মিরসরাইয়ে তৈরি হবে ড্রোন বিনিয়োগ ৫৫০ কোটি টাকা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দুই একর জায়গায় কারখানা স্থাপন করবে স্কাই বিজ লিমিটেড নামে বাংলাদেশী কোম্পানি। সেই কারখানায় তৈরি হবে ড্রোন। এ জন্য তারা বিনিয়োগ করছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। ‘ড্রোন’ শব্দটি সাধারণ ভাষায় পাইলটবিহীন বিমানকে (ইউএভি) বোঝায়।
সামরিক কাজ থেকে শুরু করে প্যাকেজ বিতরণসহ, আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থায় ড্রোনের ব্যবহার দিন দিন বিস্তার লাভ করছে। চলছে উদ্ভাবনী গবেষণা। একইসাথে বাড়ছে এ শিল্পের বাজারদর। মূলত সামরিক ও মহাকাশ শিল্পের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু হলেও পরে মানুষ, রক্ত ও পণ্য পরিবহন, কৃষিকাজ, পাহাড়ধসের আগাম সতর্কতা প্রাপ্তি, সেতু ও ভবনের ফাটল শনাক্তকরণ এবং মেরামত, যানবাহন শনাক্তকরণ ও গণনা, সিসিটিভি ক্যামেরার উচ্চতা নির্ধারণ, জমি পরিমাপ, চিত্রধারণ, যন্ত্রপাতিতে তাপবিষয়ক ত্রুটি ও নদীতে পানির গুণগতমান নির্ধারণ করা ইত্যাদি কাজে ড্রোনের ব্যবহার বিস্তার লাভ করেছে।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট রোবটিক্স অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের সদস্যদের তৈরি করা ড্রোন আকাশে ওড়ে। এরপর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অ্যাকাডেমিক কাজের অংশ হিসেবে ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নেন। এ কাজে তারা কিছুটা সফলও হন। সম্প্রতি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (সিইউবি) সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একদল শিক্ষার্থী তৈরি করেন ‘ওয়াটার ড্রোন’, যেটি দুই কিলোমিটার পরিসীমা পর্যন্ত ৭ কেজি ভার বহন করে জরুরি ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করতে সক্ষম। তবে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক প্রচেষ্টাই সফলতার মুখ দেখছে না।
ডেইলি স্টার
দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Malaysia may consider entry of 18,000 workers’ অর্থাৎ, ‘মালয়েশিয়া ১৮০০০ কর্মী নেয়ার কথা বিবেচনা করতে পারে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মে মাসে তার দেশে যেতে না পারা ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিকের প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ঢাকা সফরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার পর ইব্রাহিম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
প্রফেসর ইউনূস তাকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানে উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেন, যার একটি সদস্য দেশ মিয়ানমার।
দুই দেশের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি, শিক্ষা, সেমিকন্ডাক্টর শিল্প, সমুদ্র অর্থনীতি, উদ্ভাবন, প্রতিরক্ষা এবং যুব উন্নয়ন বিষয়ে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
দেশ রূপান্তর
‘যা চাইবে রাজনৈতিক দলগুলো’-দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের তৃতীয় দফার সংলাপ হতে যাচ্ছে আজ শনিবার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার আলোচনার মুখ্য বিষয় হবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে গঠিত ছয় কমিশনের কাজের অগ্রগতি।
এ ছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং এ বিষয়ে দলগুলোর পরামর্শ নেওয়া হবে। এর আগের দুই দফার সংলাপে নির্দিষ্ট কয়েকটি দল অংশ নিলেও এবার রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বেড়েছে। বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও তৃতীয় ধাপের সংলাপে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
এসব রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে অনেক খাতের সংস্কারকাজে হাত দিয়েছে। এরই মধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এসব সংস্কারের কাজ কীভাবে হচ্ছে বা সংস্কারের ধরন কেমন হবে, তা স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ (পথনকশা) প্রকাশের দাবি জানানো হলেও তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
কালের কণ্ঠ
দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম ‘রাষ্ট্র সংস্কারের চ্যালেঞ্জেও সম্ভাবনার যাত্রা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানের আজ দুই মাস পূর্ণ হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়েন। শুরু হয় বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের যাত্রারও নতুন এক অধ্যায়। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকেই একের পর এক বিভিন্ন সংগঠনের দাবি-আন্দোলন প্রশমন, পুলিশ প্রশাসনকে কাজে ফেরানোসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এ সরকারকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা অনুসারে সম্ভাবনাময় যাত্রার মধ্যেও রাষ্ট্র সংস্কারই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ।
সৎ লোকের বসার জায়গা করে দিন,পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল রাস্তা বাংলাদেশে! সরকারি অফিসের সামনে ফায়ারিং স্ক্যাউডের মূর্তি রাখুন এই কাজের জন্য।ভালো এবং সৎ লোকের জন্য রাখুন পুরস্কারের মূর্তি।দেখুন তারপরেও পরিবর্তন হবে না!বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৮ কোটি,মোট সরকারি কর্মচারী সংখ্যা ২ মিলিয়ন,শতাংশে ১.১% রাষ্ট্রযন্ত্র এদের সাথে পারে না কেন?রাষ্ট্র কি অন্যায়ের পক্ষে!!উন্নত দেশে এই সমস্ত অপরাধের জন্য খুন মামলার পরে অবস্থান নিয়ে থাকে।বাংলাদেশ এদের সহায়তা করে থাকে!!
সড়কে দুর্নীতি,নেপথ্যে কাদেরসহ প্রভাবশালীরা বাংলাদেশের রাস্তা সুইজারল্যান্ডের চেয়েও ব্যয়বহুল হওয়ার কারণ! মোট বরাদ্দের ১০ ভাগ কাজ হয় না!রাস্তা দেখলে মনে হয় সত্যিকারের দরিদ্র দেশ!ঘন কালো এবং হলুদ রঙের মার্ক করা থাকবে বাংলাদেশে নাই কেন?আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কার পার্কিং কেমন?বিদেশে খিচুড়ি রান্না শিখতে পাঠান।
কোথায় দুর্নীতি ছিল না । যে দিকে চোখ ফেরাই দুর্নীতি মুক্ত জগত ও পরিস্থিতির আশা নিয়ে হতাশ হই সেদিকে আরো বড় দুর্নীতির পাহাড়ে চোখ আটকে পড়ে । আল্লাহ ছাড়া এ জাতিকে সংশোধন করার কেউ নাই
কাদেরেরা শেষ। এখন চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম বন্ধ হোক। পরিবহন মালিক সমিতির নামে সকল প্রকার রাস্তায় চাঁদাবাজী বন্ধ হোক।
No comment