অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১৭ অপরাহ্ন
‘লুটপাটের সহযোগী রউফ’ আজ যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, প্রচলিত নীতিমালা শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদত্যাগ করা গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় লুটপাটের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। নীতিমালাগুলো এমনভাবে শিথিল করা হয়েছিল যাতে লুটপাটকারীরা বিশেষ সুযোগ পান। লুটপাটের কারণে দুর্বল হওয়া ব্যাংকগুলোয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ছাপিয়ে বেপরোয়াভাবে ঋণ দেওয়া হয়েছে। ডলার না পেয়েও জোগান দেওয়া হয়েছে ছাপানো টাকার। লাগামহীনভাবে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দেওয়ায় বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। নিজে উদ্যোগী হয়ে একটি ব্যাংককে দখলদারের হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
‘টাকা ছাপাতেই কত টাকা’ দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের টাঁকশালে মুদ্রা ছাপা হচ্ছে যেই যন্ত্রে তার বয়স ৪০ বছরেরও বেশি। এত পুরনো যন্ত্র দিয়ে ছাপানোয় মুদ্রার মান একদিকে যেমন খারাপ হচ্ছে, অন্যদিকে কমছে স্থায়িত্ব। আবার পুরনো যন্ত্র বারবার মেরামতের পেছনেও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এক কথায় বাংলাদেশে টাকা ছাপানোর খরচ অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের টাঁকশালের মেশিনগুলো সুইজারল্যান্ড ও জার্মানির তৈরি। আশির দশকের প্রথমদিকে এসব মেশিন স্থাপন করা হয়। এখন আর এসব মেশিন তৈরি করা হয় না। অনেক পুরনো মেশিন হওয়ায় এর পার্টস (যন্ত্রাংশ) পাওয়া যায় না। ফলে কোনও যন্ত্রাংশ সংযোজনের প্রয়োজন হলে তা অর্ডার দিয়ে তৈরি করতে হয়।
বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠালেন ৫০ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স’ । এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেপ্টেম্বরে পাঠিয়েছেন মোট ২৪০ কোটি বা দুই দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে কোনো একক মাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল রেমিট্যান্স প্রবাহের এ তথ্য জানানো হয়। সাধারণত ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো উৎসবকে ঘিরে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। কিন্তু এবারই প্রথম বড় কোনও উৎসব ছাড়া এত বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।
‘খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা, বাঙালি-পাহাড়ি সংঘর্ষ’ এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের জেরে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। নিহতের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা। তিনি খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা। ওসির বরাতে খবরে বলা হচ্ছে, বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে ‘পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে’ মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে আসছিল।
‘গচ্ছিত ৭,৩৯৮ ভরি সোনা বেচে দেন আ.লীগ নেতা’ প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, সমবায় ব্যাংকে সোনা জমা বা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের সেই সম্পদ ভুয়া মালিক সাজিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ। নথিপত্র বলছে, সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় ২০২০ সালে মহিউদ্দিন আহমেদ মোট সাত হাজার ৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করে দেন, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাংকটির দুই হাজার ৩১৬ জন গ্রাহক। মহিউদ্দিন আহমেদ একসময় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এখন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোনা বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত শুরু করেছিলো পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, যাদের অধীনে সমবায় ব্যাংক পরিচালিত হয়। সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই তদন্ত থামিয়ে দেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
‘এনায়েতের পেটে ১১ হাজার কোটি’ কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, খন্দকার এনায়েত উল্লাহ চাঁদাবাজি করে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা তুলেছেন। এই টাকায় কর্ণফুলী টানেলের মতো আরেকটি টানেল বানানো যেত। গত ১৬ বছরে তিনি চাঁদাবাজিতে ‘ক্যাশিয়ারের’ ভূমিকায় থাকলেও তাঁর হাত ধরেই ভাগ পেয়েছেন মন্ত্রী, আমলা, পুলিশ, মালিক-শ্রমিক নেতারাও। পরিবহন মালিক সমিতি ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নথিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। চাঁদাবাজির মাত্রা পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ একাই মাসে চাঁদা পেতেন ১০ লাখ টাকা। শুধু একটি মহাসড়কই নয়, সারা দেশে এ রকম চাঁদাবাজির ফাঁকফোঁকড় রেখেছিলেন তিনি।
‘বাজার গরম, তদারকি নরম’ সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুতে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছুর দাম তিন ভাগের এক ভাগে চলে এলেও এখন তা ফের বেড়ে গেছে। ভোক্তা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের দুর্বলতার সুযোগে ‘সিন্ডিকেট’ ফের চালু হয়েছে। বাজার তদারকির সঙ্গে যুক্ত সরকারি অনেক সংস্থা মাঠে অকার্যকর। সংস্থাগুলো তাদের কাজের গতি না বাড়ালে বাজার পরিস্থিতি অনুকূলে আসার সম্ভাবনা কম। যদিও সরকার-সংশ্লিষ্টদের দাবি, তাদের তদারকি অব্যাহত আছে।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি’ যায় যায় দিন পত্রিকার খবর এটি। খবরে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ বা আগামী নির্বাচন কবে হবে এ ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলোচনা হলেও উপদেষ্টা পরিষদ এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্ন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ব্যাপারে উপদেষ্টা পরিষদে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, 'আমরা আলোচনা করেছি কিন্তু সিদ্ধান্ত নেইনি।' শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভয়েস অব আমেরিকা বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আনিস আহমেদ।
‘ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের’ শিরোনামে প্রথম পাতায় খবর করেছে নয়া দিগন্ত। খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরাইলজুড়ে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বার্তায় দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে। লেবাননে ইসরাইলের বোমা হামলায় ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর পর ইসরাইলের আইডিএফ মুখপাত্র ডেনিয়েল হেগারি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সচল আছে। আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম’। ইসরাইলি জনগণকে রক্ষায় যা যা করা দরকার তা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে (জনগণকে) জীবন রক্ষাকারী নির্দেশনা মানতে হবে। আপনাদের নিরাপত্তা জারি করা প্রতিটি নির্দেশের যথাযথ অনুসরণ করতে হবে।
‘শর্তের বেড়াজালে বাতিল হচ্ছে না আদানির চুক্তি’ শিরোনামে খবর করেছে শেয়ার বিজ। খবরে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চুক্তি সই করেছিল। এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার ওই চুক্তি সইয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা অনুসরণ করা হয়। চুক্তির খসড়া বিদ্যুৎ বিভাগে এলেও তা পিডিবিতে পাঠানো হয়নি। ফলে পিডিবির কর্মকর্তারা চুক্তির বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানতেন না। ২০২২ সালের শেষ দিকে আলোচনায় আসে আদানির চুক্তির বিষয়টি। যদিও ডলার সংকটে আদানির বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ। এতে বিল পরিশোধে গত মাসে চিঠি দিয়েছে আদানি। ফলে নতুন করে আলোচনায় আসে আদানির চুক্তিটি। তবে দেশের স্বার্থবিরোধী নানা শর্ত থাকলেও এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারছে না বাংলাদেশ। কারণ চুক্তিতে নানা ধরনের শর্ত রয়েছে, যার বেড়াজালে আটকে আছে পিডিবি। চুক্তি বাতিল করলে উল্টো বিপদে পড়তে হবে বাংলাদেশকেই।
এদিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতার ইকো পার্কে দেখা মিলেছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আরও কয়েকজনকে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলকাতার ইকো পার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ইকো পার্কে রাতে সাধারণত কলকাতার স্থানীয়রা আড্ডা দেয়ার সুযোগ পান। সাথে থাকে ডিনারেরও ব্যবস্থা। সেখানে বসেই আড্ডা দিচ্ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাথে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের ছেলেসহ আরও কয়েকজন।