ভারত
তোলাবাজির অভিযোগ, ভারতের অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ
মানবজমিন ডিজিটাল
(১ মাস আগে) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৯ অপরাহ্ন
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর এক আদালত। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। কর্নাটকের ‘জনাধিকার সংঘর্ষ সংগঠন’-এর তরফে আদর্শ আইয়ার নামে এক ব্যক্তি ওই অভিযোগ করেছেন। শনিবার সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এমন নির্দেশ দিল আদালত।কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে নির্মলার ইস্তফা দাবি করেছেন। জানা গিয়েছে, অভিযোগ কেবল নির্মলার বিরুদ্ধে নয়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কর্নাটকের বিজেপি নেতা নলীনকুমার কাতিল ও বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আদর্শ। তাঁর অভিযোগ, কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে কোটি কোটি টাকার ইলেক্টোরাল বন্ড কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল ইডি দিয়ে তল্লাশি চালানোর চাপ দিয়ে, বিজেপির জাতীয় ও রাজ্য স্তরের নেতারা এতে জড়িত বলে। আর সেই সঙ্গেই তিনি অভিযুক্ত করেছেন নির্মলা-সহ বিজেপি শিবিরের নেতানেত্রীদের।
নির্বাচনী বন্ড বিজেপি চালু করেছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু এই বন্ড চালু হওয়ার পরপরই এনিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে বন্ড কেনাবেচা সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘কুইড প্রো কুয়ো’ বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ, কোনও কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হিসাবে দেখানো হয়েছিল বিষয়টিকে। আবেদনকারীর দাবি, সেই ‘সুবিধা’ আসলে ‘তোলাবাজি’। তাই নির্মলা-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে বিশেষ জনপ্রতিনিধি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদর্শ আইয়ার নামের ওই ব্যক্তি । অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনী বন্ড চালু করা হয়েছিল কালোটাকা জড়ো করার জন্য। আর ওই কাজ করেছেন নির্মলা সীতারমন ও তার পরিচিত নেতারা। জানা গিয়েছে, বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে বিজেপি ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা পড়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে। এদিকে, ওই অভিযোগ ওঠার পর ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, এই অভিযোগগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচনী বন্ড একটি নীতিগত বিষয়, অপরাধমূলক নয়।
সূত্র : ডেকান হেরাল্ড