প্রথম পাতা
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারসংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত। তার গবেষণার বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণতন্ত্র, সহিংস উগ্রবাদ, ধর্ম ও রাজনীতি, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের রাজনীতি।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত ১১ই সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন এবং কমিশনের প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। এই কমিশনের প্রধান হিসেবে তার পরিবর্তে আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সারাদিন মালিক গণঅভ্যুত্থানের কোন অংশীজন ছিলেন না, সুতরাং তার সিলেকশন কিছুটা বিতর্কিত ছিল। এক্ষেত্রে অধ্যাপক আলী রিয়াজ অনেক বেটার চয়েজ।
শাহদীন মালিক আলী রিয়াজের চেয়েও জ্ঞানী।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রীয়াজও বাংলাদেশের আর এক রত্ন। আশাকরি তার হাত ধরে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কার্যক্রম সফল, জনবান্ধব ও সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য হবে।
একজন জ্ঞানী ব্যক্তির হাতে গেল খুশি হলাম। আশাকরি ভালো কিছু পাবে এই জাতী
ভাল উদ্যোগ। একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেক্সিমকোর সালমান একাই লোপাট করেছে। আরও তথ্য সামনের দিনে উঠে আসবে। এস আলমসহ আরও অন্যান্যরা মিলে ব্যাংক লুট করে নেয়া মন্ত্রী, নেতা, চামচার হিসাব করুন। দেশের মানুষের করের টাকা আর সঞ্চয়ের টাকা লুট করে শত শত বেনজির তৈরি করা হয়েছে। পুলিশকে দলের পেটোয়া বাহিনী হিসেব তৈরি করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে দলের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে, সিভিল সার্ভিসে দলীয় অনুগতদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে দলীয় অনুগতদের বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৫ বছর ধরে গড়ে তোলা এই দলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংষ্কার করা কি ২/৪ মাসে সম্ভব? এমন যাদুকর কি কেউ আছে এই দেশে? এসব প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে তৈরি করতে কম পক্ষে ২/৩ বছর সময় প্রয়োজন। নতুন লোকবল নিয়োগ দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের কাজের জন্য প্রস্তুত করতেও তো সময় প্রয়োজন। তাই, আমরা যারা এই অন্তর্বতীকালীণ সরকারের কাছে রাতারাতি অনেক কিছু আশা করছি, তারা বাস্তব অবস্থা আমলে নিচ্ছি না। বাংলাদেশের সামনে যে সূযোগ তৈরি হয়েছে দেশ সংস্কারের জন্য, তা যেন আমাদের অসহিষ্ণু মনোভাব আর আচরণের কারণে ব্যর্থ হয়ে না যায়।
নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রীয়াজও বাংলাদেশের আর এক রত্ন। আশাকরি তার হাত ধরে বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার কার্যক্রম সফল, জনবান্ধব ও সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য হবে।
অধ্যাপক আলি রিয়াজ হচ্ছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, উনি সংবিধান বিশেষজ্ঞ নয়, আর সংবিধান বিশেষজ্ঞ হচ্ছে ডক্টর শহিদীন মালিক। শাহিদিন মালিককে বাদ দিয়ে ডক্টর আলী রিয়াজ কে নেওয়া হয়েছে, এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।
ডক্টর শাহদীন মালিক'কে বাদ দেওয়া সঠিক হয়নি।
Best choce!