ভারত
কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের মমতা
এত অসম্মান কেন করছো?
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:৪১ অপরাহ্ন
শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসায় বৈঠক করতে গিয়েও শেষমেশ ফিরে এলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উঠোনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে তারা দাবি করেন, বৈঠকের ভিডিও রেকর্ডিং সরকার যেমন করছে, তেমনই তারাও করবে। জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেরাই চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে। তাদের মেইল পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ডেকে নেওয়া হয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসাতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ফের বেঁকে বসেন চিকিৎসকরা। লাইভ স্ট্রিমিং না হলে বৈঠক হবে না। এই দাবিতে অনড় রয়ে গেলেন আন্দোলনকারীরা। ফলে বৈঠক শুরু করা যায়নি নির্ধারিত সময়ের দুঘণ্টার পরও। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা।
এদিকে ভিতরে অপেক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী। এই দাবি নিয়ে গোঁ ধরে যখন প্রায় দু’ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছেন ডাক্তাররা, দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী উঠোনে নেমে আসেন। তার পর হাতজোড় করে তাদের বলেন, ‘লক্ষ্ণী ভাইবোনরা তোমরা বাইরে দাঁড়িয়ে ভিজো না। ভিতরে এসো। তোমরা তো মিটিংয়ে আসার আগে বলোনি যে লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে বা ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। তোমাদের চিঠিতে তো লেখা ছিল না। আমরা যে চিঠি দিয়েছিলাম তাতেও লেখা ছিল না। এর আগেও তোমাদের জন্য তিন দিন অপেক্ষা করেছি। আজও দু’ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করালে আমাকে। আমাকে এত অসম্মান কেন করছো ?’
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ছিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তারা প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ডাক্তারদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা বলতে থাকেন, তাদের সতীর্থরা ধর্নাস্থলে রয়েছেন। তারা দেখতে চান, বৈঠকে কী হল।
মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, বিষয়টি বিচারাধীন। সরকার ভিডিও রেকর্ডিং করবে। তার পর সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে তবেই রিলিজ করবে সেই ভিডিও। তা ছাড়া সরকার এটা করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বৈঠকে স্বচ্ছতা থাকবে। কার্যবিবরণী লেখা হবে। সেই কার্যবিবরণীতে আমি সই করে দেব। আপনারাও সই করবেন। কিন্তু দেখা যায়, এর পরেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তর্ক করতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে কিছুটা হতাশ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তোমরা যখন আলোচনা করবে না তখন এলে কেন?' শেষমেষ নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে বৈঠক না করেই বেরিয়ে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা।