শেষের পাতা
মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবারসামপ্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সূফী দরগাহ ও মাজারে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে সরকার।
শনিবার এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং হামলায় জড়িত অশুভ চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সামপ্রতিক সময়ে কিছু দুর্বৃত্ত দেশের সূফী দরগাহ এবং মাজারে হামলা চালিয়েছে, যা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনা ও সূফী দরগাহের হামলার কঠোর নিন্দা জানায়।
বাংলাদেশ হাজার হাজার বছর ধরে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি এবং সকল ধর্ম-বিশ্বাসী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
সমপ্রীতি বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, আমরা বাংলাদেশকে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সমপ্রীতির দেশ হিসেবে রাখবো এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সমপ্রীতি বিঘ্নিত করার যেকোনো চেষ্টা সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।
সমস্যার মূলকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক হতে হবে। আইএসআইএস-ধরণের ধর্মীয় আখ্যানকে ধর্ম এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা উচিত, কারণ তারা ইতিমধ্যেই যেসব দেশে দখল করেছে সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। আমরা আশা করি এই সরকার শুধু কথা না বলে কাজ করবে।
সাথে সাথেই অ্যাকশন নেওয়া উচিত ছিল। এরা ভন্ড, দেশের শত্রু, জাতির শত্রু, এরা দেশদ্রোহী। এদের শাস্তি হওয়া উচিত সোজা মৃত্যুদণ্ড।
আরো আগেই অ্যাকশন নেওয়া উচিত ছিল। তবে এখনো সময় আছে অ্যাকশন নেওয়ার। যারা এগুলা করছে তারা নিঃসন্দেহে তৌহিদবাদী নয়। ওরা দেশদ্রোহী। যদি সত্যিই তারা তৌহিদবাদী হতো তাহলে এতো বছর তারা কোথায় ছিল? এতো বছর মাজারগুলো ভাঙলো না কেন? মাজারগুলো তো আজকে নতুন হয় নাই। তাই এদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সুন্দর পদক্ষেপ, তবে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। একং সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য দ্রুত কাজ করতে হবে। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রন না করতে পারলে সরকার প্রশ্নরবদ্ধ হবে।
নেবে, এখনো নিচ্ছে না,কার্যতো কোন পদক্ষেপ ও দৃশ্যমান হচ্ছে না। প্রধান উপদেষ্টা সামাজিক ব্যবসা গণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা-কর্মের বৈশ্বিক ফিগার। কিন্তু তার চারপাশে থাকা ব্যক্তিবর্গগণ সেই স্থানে নেই, কিছু শৈথিল্য উদাসীনতা - মামুনুল হকের জসিম উদ্দিন রহমানি জামাত শিবিরের পূর্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছে। বহু ধর্ম মত পথ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র রক্ষা না করলে আমরাও বৈশ্বিক সমাজে সমাদৃত হব না, একই ধরনের নির্যাতনে ভয়েস রেস করতে পারবো না। অতএব সাধু সাবধান।