অনলাইন
অবশেষ দুর্নীতির দায়ে নার্সিং কাউন্সিলের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার রাশিদা বরখাস্ত
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৪:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:১৪ অপরাহ্ন
ব্যাপক দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম এবং চরম অসদাচরণের অভিযোগে অবশেষে বরখাস্ত হলেন বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহ নুসরাত জাহান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, প্রচলিত নিয়মে রাশিদা আক্তার সাময়িক বরখাস্তকালীন খোরপোষ ভাতা পাবেন। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশিদার বিরুদ্ধে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য পেয়েছে দুদক
দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের (বিএনএমসি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছিলো। কিন্তু স্বৈরশাসনের ধ্বজাধারী হওয়ার তার টিকি ছুতে পারছিলো না মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে গত ক'বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী বা সচিব বদলেও রাশিদা ছিলেন বহাল তবিয়তে। যদিও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাথমিক অনুসন্ধানেই নার্সিং কলেজ থেকে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য মিলে। ভুয়া সিল বানিয়ে কাউন্সিলের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলার অভিযোগ উঠে। রাশিদা নামসর্বস্ব বেসরকারি নার্সিং কলেজের লাইসেন্স অনুমোদনের নামে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতনসহ চারটি মামলার তথ্য গোপন করে তাকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ রয়েছে।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে নার্সিং কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদার অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অনুসন্ধান কর্মকর্তা চলতি বছরের ৯ই মে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ভূমি অফিস, সিটি করপোরেশন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে রাশিদা এবং তার স্বামী সহিদুল ইসলামের বিষয়ে তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠান।
ওই নোটিসে বলা হয়, রাশিদার নামে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ চারটি মামলা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে তিনি নার্সিং কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে রাশিদা ও তার স্বামী সহিদুলের নামে থাকা বাড়ি, গাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাটসহ এ-সংক্রান্ত তথ্য দরকার। তাদের নামে এ-সংক্রান্ত তথ্য থাকলে তা ৩০ মের মধ্যে দুদকে পাঠাতে অনুরোধ জানানো হলো।
জানা গেছে, দুদকের নোটিশ পাওয়ার পর কিছু তথ্য দুদকে পাঠানো হয়েছে। পুরো তথ্য পাওয়ার পরই তা পর্যালোচনা করে কমিশনে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
দুদকের কাছে থাকা অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালে রাশিদাকে নার্সিং কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ চারটি মামলা ছিল। এসব মামলার তথ্য গোপন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি।
দুর্নীতির সংগে জড়িত ব্যক্তিদের শুদু বরখাস্ত নয় আইনের আওতায় বিচার উচিত।
Is there a department the "churi" did not occur? probably not.