অনলাইন
ঢাকা আসছেন ডোনাল্ড লু, সফরসূচি জানালো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
কূটনৈতিক রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:০৯ অপরাহ্ন
ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় ওয়াশিংটনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে। যার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হচ্ছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, লু ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন। দু'দেশ সফরের সময় তিনি ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার বিকাশে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন। ডোনাল্ড লু ভারত সফরের সময় দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ব্যবসা পরিষদ আয়োজিত ইন্ডিয়া আইডিয়াস সামিটে উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও নারীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিকাশে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সহযোগিতার কথা তুলে ধরবেন। তিনি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তাবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেডিদিয়া রয়েল এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠেয় অষ্টম যুক্তরাষ্ট্র-ভারত টু প্লাস টু আন্তঅধিবেশন সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন। সংলাপটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দ্বিপক্ষীয় অংশীদারত্ব বাড়ানোর সুযোগ চিহ্নিত করবে এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও তার বাইরেও দুই দেশের সহযোগিতা সম্প্রসারিত করবে।
বিজ্ঞপ্তি মতে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আন্তসংস্থা প্রতিনিধিদলে যোগ দেবেন ডোনাল্ড লু। প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের প্রতিনিধিরা থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের প্রয়োজনে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
স্মরণ করা যায়, আজই এক ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের উপ-মূখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এটা পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোতভাবে প্রস্তুত। ওয়াশিংটন এতে আগ্রহীও বটে।
ডোনাল্ড লু, ভদ্রলোক সুন্দর সুন্দর কথা তথা বাণী নিয়ে আসেন। তিনি সব সময় ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসেন। গত কদর্য অগ্রহনযোগ্য কথিত নির্বাচনে গনতন্ত্রের পক্ষে তার ও তার দেশের সব রকম ভুমিকা দেখলাম। ফাইনালে কাংখিত ফলাফল হল শূন্য তথা মাইনাস। তিনি কি আমেরিকা নাকি ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে আসেন?
স্বাগতম সু-স্বাগতম।
গুরত্বর্পূণ খবর।
"র" আর মোদির খেলা নির্বাচনেই শেষ। এবার আমেরিকা আর চীনের খেলা চলবে। এর বেশী মন্তব্যের প্রয়োজন মনে করি না।
আমার ধারণা আপাতত ভারত যাতে বাংলাদেশে পা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করতে লু আসছেন! পরে ভারত নিজেই তার অবস্থান তৈরি করে নেবে। দক্ষিণ এশিয়ার তালুকদারী আমেরিকা ভারতকে দিয়ে রেখেছে, বাংলাদেশ ছাড়া তা কেউ মানতো না। তাই ভারতের পক্ষ হয়ে আমেরিকা চেষ্টা করতে লু এর আগমন। ইন্দু-প্যাসিফিক ইস্যুতে আমেরিকার বড় পার্টনার ভারত!!
আসলেই তাই যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝতে হবে ১৯৭১ সালে আমরা পাকিস্তানের থেকে স্বাধীন হয়েছি। ২০২৪ সালে আমরা ভারত থেকে ২য় স্বাধীনতা লাভ করলাম। বাংলাদেশের ছাত্র, জনতা ও সকল দলের নেতাকর্মীর ত্যাগ তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে এদেশ ২য় স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রকে বুজাতে হবে ভারত থেকে আমারা স্বাধীন হয়েছি! সুতরাং বাংলাদেশের কোন বিষয়ে ভারত যাতে নাখ না গলায়! ভারত নিকৃষ্ট একটি দেশ তা তুলে ধরতে হবে! তাদের কাছে আমাদের ছাওয়া বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ এখানে শ্রম বাজার সহজ তাই যেকোনো উৎপাদন মূল্যক পণ্যের কারখানা করলে পণ্যের উৎপাদন খরচ কম পড়বে এবং বাংলাদেশ নদী, সাগর, বন্দর সবকিছু আছে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশে পণ্য সরবরাহ ও পৃথিবীর সব দেশে সহজে করা যাবে! আমরা চাই আমাদের জনশক্তিকে তারা কাজে লাগাক সরকারি ভাবে যে সাহায্য প্রয়োজন তা করা হবে!