শেষের পাতা
তথ্য দেয় না টাকা দেয়
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবারতথ্য চাইলে টাকা দেয়। আজব অফিস। গেল আগস্ট মাসে তথ্য নিতে ৫ দিন অফিসে গেলে তার দেখাও মেলেনি। মুঠোফোনে কথা বললে একই উত্তর ‘বাইরে আছি’ ‘সাইটে আছি’। কোথায় আছেন জানতে চাইলে জায়গার নাম বলতে পারে না। এভাবেই অফিস ফাঁকি দিয়ে ব্যক্তিগত কাজে বাইরে কাটান ধুনট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আলিম। তার কাছে টিআর, কাবিখা, কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের তালিকা চাইলে দীর্ঘদিন ধরে তথ্য না দিয়ে গড়িমসি করেছেন। উপায় না পেয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে তিনি সেই আবেদনও গ্রহণ না করে ফেরত দিয়েছেন। তারপর এই প্রতিবেদকের বিকাশ নম্বরে ৩০৫০ টাকা ঘুষ হিসেবে প্রদান করে বলেন, ভাই আমি বিকাশে দিয়েছি, অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি এজন্য স্যরি। তথ্য চাইবেন না প্লিজ, আমি বিকাশে টাকা দিয়েছি।
অন্যায়ভাবে অনুমতি ছাড়া বিকাশে টাকা প্রদানের জন্য একটি অভিযোগসহ টাকা ধুনট থানার মাধ্যমে ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে। জানা যায়, ধুনটের ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ২০১৮ সালের ১৭ই অক্টোবর বর্তমান কর্মস্থলে যোগ দেন। এরপর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। টিআর, কাবিখা, কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের নানা ধরনের প্রকল্প আসলে কাজ না করেই ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে এসব টাকা পকেটস্থ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ লুটের জোরালো অভিযোগ উঠেছে। অফিস না করে তিনি টাকার পিছনে ছুটে বেড়ান সারাক্ষণ। তার অফিসে একাধিক দিন গেলেও তার এবং তার সহকারীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অফিস চলাকালীন তার পুরো অফিসে তালা ঝোলানো থাকে বেশিরভাগ দিন। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বরাবরেই বলেন বাইরে আছি। তাকে বলা হয় কোথায় আছেন সেখানে গিয়েই দেখা করে কথা বলবো, কিন্ত তিনি স্থানের নাম বলেন না। তিনি এই প্রতিবেদককে অপেক্ষা করতে বলেন বিকাল পর্যন্ত। একদিন বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তার দেখা মেলেনি। বিষয়টি নয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খানের সঙ্গে কথা বললে তিনি মানবজমিনকে বলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। অফিস খোলা থাকার কথা। তাকে অফিসের তালা ঝোলানো ছবি হোয়াটঅ্যাপে দিলে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। পরে টিআর, কাবিখা, কাবিটার বিশেষ বরাদ্দের তালিকা চেয়ে তার বরাবরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন দেয়া হয়। আর বিকাশে টাকা পাঠানোর বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়।
পিআইও পোস্টটি বাতিল করা উচিত
শুধু একজন কেন প্রতিটি অফিসের সকল দুর্নীতিবাজকে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। এদের চাকরি করার কোন অধিকার নেই। সাথে ঘুষের দালালগুলোর বিচার করতে হবে।
শুধু একজন কেন প্রতিটি অফিসের সকল দুর্নীতিবাজকে সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। এদের চাকরি করার কোন অধিকার নেই।
আর বাহিরে থাকা লাগবে না। এবার ১৪ শিকের ভেতরে থাকা লাগবে মনে হচ্ছে।