খেলা
‘মেধার ভিত্তিতেই দলে সাকিব’
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৩ আগস্ট ২০২৪, মঙ্গলবারক্রিকেট খেলার পাশাপাশি রাজনীতিতে জড়ান সাকিব আল হাসান। সরকারি দলের হয়ে নির্বাচন করে বনে যান এমপি। অশোভন আচরণ, জুয়ার কারণে নিষিদ্ধ হওয়াসহ মাঠে ও বাইরের বিতর্ক দেশের সেরা এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার জুড়েই। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের নিহত হওয়ার ঘটনায় নীরব থাকার কারণে। শেষপর্যন্ত পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের সেইসঙ্গে শেষ হয় সাকিবের সংসদ সদস্য পদও। দাবি ওঠে তাকে যেন আর দেশের ক্রিকেটে ফেরানোর না হয়। বলা হচ্ছিল ছুটির ঘণ্টা বাজছে বিশ্বের অন্যতম সেরাদের তালিকায় থাকা এই ক্রিকেটারের। তাকে শাস্তির আওতায় আনাও ছিল সময়ের দাবি। তবে শেষ পর্যন্ত রাজনীতি নয়, তাকে রক্ষা করেছে ক্রিকেটই। মাঠে তার পারফরম্যান্স, দেশের হয়ে ক্রিকেটে তার অবদান, মেধার বিবেচনাতে টিকে গেছে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। পাকিস্তান সফরে দলে তাকে রেখেই ঘোষণা করা হয় ১৬ সদস্যের প্রাথমিক দল। এ নিয়ে গতকাল প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের একজন টপ প্লেয়ার। সিলেকশনের ক্ষেত্রে আমরা ভেবেছি, যেহেতু তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মূলত তার মেধার বিবেচনায় তাকে দলে নেয়া হয়েছে।’
১৭ই আগস্ট যাওয়ার কথা থাকলেও গতকালই দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে সাকিব যেহেতু দেশে নেই তাই কবে তিনি পাকিস্তানে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক লিপু বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলার সময় তার প্ল্যান জানতে চেয়েছিলাম ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমাদের আটটা টেস্ট ম্যাচ রয়েছে সেখানে তার থাকা নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাদের আশ্বস্ত করেছিল। এরপর তার সঙ্গে প্রোপার ই-মেইলে কথা হয়েছে থাকবে কি না- একটা জানার বিষয় ছিল। একটা প্রসেস ছিল তো সেই আলোকে ১৪ অথবা ১৫ তারিখ সে দলের সঙ্গে পাকিস্তানে যোগ দেবে- যেটা লজিস্টিক দেখছে।’ শুধু তাই নয়, দেশের বাইরে থাকলেও সাকিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে, যোগাযোগ ছিল। গত মাসেও ছিল এ মাসেও হয়েছে। প্রসেস হলো যে, দেশের বাইরে কোনো খেলোয়াড় যদি থাকে তার সম্বন্ধে খোঁজ-খবরটা নেয়া। এ ছাড়া শরিফুলের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
ক্রিকেট রাজনীতি এক না করার ভাবনা
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা এরপর একই পথে হাঁটেন সাকিব আল হাসানও। ক্রিকেটারদের রাজনীতি করা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি বলেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, তা এগিয়ে যাবে। কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কি পারবেন না- সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো যে সংস্কার নিয়ে কথা বলছে, সেখানে একটি রাজনৈতিক দলেরও কি উচিত কোনো রানিং খেলোয়াড়কে তাদের দলে নেয়া। রাজনৈতিক দলগুলো দেশের জন্যই তো কাজ করে। আমার মনে হয় খেলা চালানোর সময়টাতে রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। ভবিষ্যতের জন্য আমি আমার মতাতম দিয়ে রাখলাম।’
শুধু তাই নয়, ক্রিকেটারদের এ নিয়ে একটি গাইডলাইন প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘এখানে এলে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইনে আসা উচিত। সে গাইডলাইনে থাকবে যদি খেলা থাকে, আবার রাজনীতির কর্মকাণ্ডও থাকে, তাহলে ক্রিকেটাররা কোনটাতে গুরুত্ব দেবেন? সেই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডের যদি সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা থাকে, সেটি হলে খেলোয়াড়রা চিন্তা করতে পারবেন, রাজনীতিতে যাওয়ার আগে তাদের কী করতে হবে।’ এছাড়াও ক্রিকেট খেলা অবস্থাতে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া বন্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন লিপু। তিনি বলেন, ‘এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ, তাদের পেছনে বিনিয়োগ থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। খেলোয়াড় হিসেবে আপনার দেশকে সার্ভিস দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু রাজনীতিতে ঢোকার মাধ্যমে দেশ বঞ্চিত হয়। যারা আগে থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের কথা ভিন্ন। রাজনীতিবিদরাও দেশের জন্যই করেন। কিন্তু ক্রিকেটারদের নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের নতুন করে বিষয়টি ভাবা উচিত। একজন খেলোয়াড়কে তার প্রায়োরিটি সেট করা উচিত।’
দেশ ও জনগণের দুশমন মেধাবী হলেও পরিত্যাজ্য
একজন জাতীয় বেইমান ও লোভীকে নিয়ে ম্যাচ জেতার চাইতে , একজন দেশপ্রমিকে নিয়ে ম্যাচ হারাও অনেক সম্মানের ।
Another conspiracy to destroy our cricket? This greedy player cum politician should not be included. Remove the person who suggested his name.