অনলাইন
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি বশিরুলের পদত্যাগ দাবি
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, ৮:১১ অপরাহ্ন
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. বশিরুল আলমের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, অন্যায়, অত্যাচার আর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ডিজির পদত্যাগ দাবি করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শেখ হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর গত ৬ ও ৭ই আগস্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার ব্যাপক অনিয়মের বিরুদ্ধে আগারগাঁও ও বায়তুল মোকাররমে মিছিলসহ তার কার্যালয় ঘেরাও করে।
২৩ সালের ২৫শে জানুয়ারি সরকার বশিরুল আলমকে ডিজি পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ইসলামের প্রচার-প্রসারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা হলেও এই ডিজি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মূল কাজ থেকে দূরে সরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গত বছর প্রায় ৫০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। আওয়ামী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব পদে একই রকম প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। তাছাড়া শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য গত বছর চাকরি চলে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সারা দেশের শিক্ষক ও ইমামদেরকে জোরপূর্বক ঢাকার পূর্বাচলের ইমাম সম্মেলনে যোগ দিতে বাধ্য করে। আর এই সম্মেলনে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির গত ৩ বছরের অব্যয়িত অর্থ প্রায় ৬ কোটি টাকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্যয় করে। অথচ এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করার কথা ছিল। এই ডিজি মূল পরিচালকগণকে প্রধান কার্যালয় থেকে ঢাকার বাহিরে বদলী করে দেয়। অন্যান্য পরিচালক পদে তার আশীর্বাদপুষ্ট উপ-পরিচালকগণকে ২/৩টা করে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়। যাতে তার অনিয়ম করতে সুবিধা হয়।
এই ডিজি কথায় কথায় কর্মকর্তাদেরকে শোকজ ও মামলা দায়ের করে, যাতে ভয়ে কেউ কোনো কথা না বলে। কিছুদিন পূর্বে বিলম্বে অগ্রিমের বিল দাখিল করার কারণে ইফা কর্মকর্তা মাওলানা মো. নূর উদ্দীনের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিধি বহির্ভূতভাবে বিভাগীয় মামলা দায়েরপূর্বক তাকে গুরুদণ্ড দিয়ে তার বেতন স্কেল নামিয়ে দেয়। এ রকম নজির কোথাও নেই। অথচ এই অফিসে অনেক কর্মকর্তার নামে লাখ লাখ টাকা অগ্রিম রয়েছে, যা এখনো সমন্বয় হয়নি। স্বয়ং তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাসুদের নামে ৬ লাখ টাকা অগ্রিম রয়েছে, যা তিনি এখনো সমন্বয় করেননি। এ বিষয় নিয়ে খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। অন্যায়ভাবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বাতিল করেছে। এরকম আরও শত অভিযোগ ডিজির বিরুদ্ধে রয়েছে। তার এসব অনিয়মের অন্যতম সহযোগী হচ্ছে তার আজ্ঞাবহ উপসচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ-মার্কেটের পরিচালক আবু সাঈদ। তার বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এর একটি অংশ সে ডিজিকে দিয়ে থাকে। যার কারণে ডিজি তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ব্যবসায়ীগণ তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা বলেন, যে কোনো মুহূর্তে ব্যবসায়ীগণ এই চাঁদাবাজকে গণধোলাই দিবে। কারণ দেশে যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে, তার হাওয়া বায়তুল মোকাররমসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনেও লেগেছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড.বশিরুল আলম ও তার কুকর্মের সহযোগীদের পদত্যাগ চাই।
কফিল উদ্দিন মাউলানা হয়ে গেল কবে। ঠিক বাটপার মাসুদের মত। মাসুদ হটাত করেই আল্লামা হয়ে ঈদের নামাজের ইমাম হয়ে গেছিল।
প্রকৃত আলেম নিয়োগ দেয়া হোক। অনিয়মের বিচার চাই।
ইসলামি ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান জান্নাতের টিকেট বিক্রয়কারী (পদবী সঠিক কি-না বুঝতে পারছি না) কফিল উদ্দিন সরকারের কোনো খবর পাচ্ছি না। কোনো খবর থাকলে জানাবেন।