অনলাইন
সহযোগীদের খবর
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবার, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১২ অপরাহ্ন
দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম- ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বতী সরকার। খবরে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ১৫ সদস্যের একটি দল গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় বঙ্গভবনে যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দীর্ঘ বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের বাকি সদস্য কারা হবেন, সে বিষয়ে ১৫ জনের নামের একটি তালিকা তারা দিয়েছেন। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত হবে। তারা আশা করছেন, ২৪ ঘণ্টা বা দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার চূড়ান্ত হবে।
দেশ রূপান্তর পত্রিকা খবর করেছে- সরকারবিহীন দিনে মাঠে শিক্ষার্থীরা। খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার পর কার্যত সরকার পরিচালনায় ‘আইনশৃঙ্খলা’ (ল অ্যান্ড অর্ডার) বলতে কিছুই ছিল না। তবে সরকারবিহীন দিনে মাঠে সক্রিয় ছিলেন শিক্ষার্থীরা। রাজপথে নেমে করেছেন ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পাহারা দিয়েছেন থানা-মন্দির-মসজিদ। জাতীয় সংসদ ভবন পরিচ্ছন্নতার কাজেও দেখা গেছে তাদের। সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদ ভবনের নিরাপত্তাকর্মীদের খোয়া যাওয়া ৪০টি অস্ত্র ফেরত দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম- ১৫ বছরে আওয়ামী সরকার ঋণ করেছে সাড়ে ১৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। খবরে বলা হয়েছে, দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরকারি ঋণ রেখে দেশ থেকে পালিয়েছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন সরকারের ঋণ স্থিতি ছিল মাত্র ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলেই সরকারের ঋণ স্থিতি ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে, যা সরকারের মোট ঋণের প্রায় ৮৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দেড় দশক ধরে ঘোষিত বাজেটে সরকারের পরিচালন ব্যয় মেটানো ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলে দেশি-বিদেশি উৎস থেকে এ ঋণ নেয়া হয়েছে। যদিও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির বেশুমার অভিযোগ রয়েছে। এ সময়ে অবাধ লুণ্ঠনের শিকার হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। জনগণের লুণ্ঠিত এসব অর্থ পাচার হয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে।
2200 people mostly from BNP, Jamaat get bail — নিউ এজ পত্রিকার শিরোনাম এটি। খবরে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে নাশকতার একাধিক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ বিএনপি-জামায়াতের দুই হাজার ২০০ নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এদের জামিন আবেদন করা হয়। ব্লক রেইডসহ নানা অভিযানের মাধ্যমে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ১৫ই জুলাই থেকে অগাস্টের প্রাথমিক কিছুদিন পর্যন্ত সারাদেশে ১১ হাজার জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বেশিরভাগই ছিল বিএনপি-জামায়াত পন্থী।
শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেছে তারা সেটেল্ড। তাদের কোন চিন্তা নেই। একথার অর্থ কি এটা নয় যে, শেখ পরিবারের সদস্যরা লক্ষ কোটি হাজার টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে। এখন তাদের চিন্তা নেই। আজীবন বসে বসে খেয়ে যেতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের ছাত্র জনতা কি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার কোন উদ্যোগ কি নেবে না?