শেষের পাতা
ছদ্মবেশে মিছিলে ঢুকে অনেককে গুলি করে জঙ্গিরা
স্টাফ রিপোর্টার
২ আগস্ট ২০২৪, শুক্রবার
কোটা সংস্কার আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছদ্মবেশে ঢুকে জঙ্গিরা গুলি করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলনে হতাহত অনেকেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মিছিলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে খুব কাছ থেকে তাদের গুলি করে। জঙ্গিরা ছদ্মবেশে আন্দোলনে ঢুকে কাছ থেকে গুলি করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রাণ শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। কোনো প্রাণহানি আমাদের কাম্য নয়। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। চলমান সহিংস কর্মকাণ্ড এখানেই শেষ, তা এই মুহূর্তে বলা যায় না- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে সহিংস কর্মকাণ্ড চলেছে এখানেই যে তার শেষ তা এই মুহূর্তে বলা যায় না। সহিংসতা এই মুহূর্তে দৃশ্যত স্বাভাবিক মনে হলেও এই জঙ্গিগোষ্ঠীর এখন যে নীরবতা, সেই নীরবতা তাদের পুনঃআক্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি হতে পারে। সহিংসতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ সতর্ক রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখনো আমাদের যারা জনপ্রতিনিধি, তারা সতর্ক আছে। সারা বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে সতর্ক থাকতে বলেছি। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশনা, এ বিষয়ে ভুল বার্তা দেয়া হচ্ছে। কোনো আন্দোলনকারীর ওপর গুলি করার নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কখনো দেয়া হয়নি। সেনাবাহিনী কোথাও একটা গুলি ছুড়েছে, এ ধরনের তথ্য আমাদের জানা নেই। তারপরও তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সব বের হয়ে আসবে। তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে চিহ্নিত করা হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাবো, নিরপরাধ কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়। নিজের সামপ্রতিক এক বক্তব্যকে কিছু গণমাধ্যম ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কোনো বক্তব্য, মন্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের স্পেস সংকট থাকলে আমাদের কিছু বলার নাই। কিন্তু আমি বললাম, সেদিন ঢাকা জেলার একটি ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে। যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের আরেকটা লক্ষ্য ছিল গণভবন। আমি কখনো বলিনি, গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এটা আমার ওপর অন্যায়। তিনি বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গণভবন রক্ষার জন্য নয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন। এ ধরনের বিবৃতি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতা পর্যায়ে পড়ে। এটা আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন। তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে একটা মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দেশে আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই কার্যক্রম বেআইনি। তার এ আহ্বান বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছোট করেছে। দেশকে তিনি খাটো করেছেন। তিনি একজন নোবেল জয়ী। তার পক্ষে কি এটা শোভা পায়? ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন মামলা চলমান আছে, তখন তিনি এ ধরনের কার্যক্রম করছেন। যা ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ থেকেই বোঝা যায়, চলমান বিচার থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তিনি এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত
এত গণহত্যা হতো না যদি না সরকার প্রধান এই আদেশ না দিতেন সব প্রাণে বেঁচে যেত এই সাধারণ মানুষ গুলি এগুলোর জন্য সরকারকে দায়ভার নিতে হবে
Is this guy idiot!!!!!!
The Lier
কেউ বেইমানি শিখতে হলে উনার কাছে যান ।
এই দলে যে যত বেশি মিথ্যা বলতে পারে, সে তত বড় পদ পায়।
Hashokor jukti onar. Edhoroner chele manusher kotha ekjon responsible party leader er kache keo asha kore na. Er mane sobai mitha kotha bolchen uni r onar dol chara...
আপনাদের নগ্ন ও উলঙ্গ চেহারা জনগণের কাছে পরিষ্কার। আর কোন অভিনয় ও মিথ্যাচারে কাজ হবেনা।
পৃথিবীর সব ঘৃনাও কম হবে তোমার জন্য
কি ভাবছেন? এভাবেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে? এই বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কিভাবে আটকে রাখবেন? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন প্রতিনিয়ত সেগুলো কিভাবে নিবৃত করবেন ?
উনি কি মিছিলে ছিলেন?
আওয়ামীলীগ ই তাহলে জঙ্গি!
এখন আবার অন্য খাওয়া নিয়ে আসছেন। মানুষের পেট ভরে গেছে আর খাবে না এসব।।
ঝুট বোলে কাউয়া কাটে।
আপনাদের তদন্ত কেউ কি বিশ্বাস করবে?
আওয়ামীলীগের মতো পচে যাওয়া দলের সাধারণ সম্পাদক এর থেকে এর থেকে বেশি কি আশা করা যায়.
ছদ্দবেশে যদি বিরোদী দল ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে গুলি করে তার ভিডিও ফুটেজ আছে। তা জাতির কাছে স্পষ্ট করে দেখান। তখন দেখা যাবে বিরোদী দল না তার সোনার ছেলেরা, ভবিষ্যত অন্ধকারের প্রদীপ ছেলেরা। প্রতিটি ছবি সাংবদিকের আছে অনুমতি দিন তা হলেই তারা প্রকাশ করবে।
ওগুলো আওয়ামী জঙ্গি
অভ্যাসগত মিথ্যাবাদী।