অনলাইন
সাউথপোর্ট ট্রাজেডি
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে ইডিএল ও চরম ডানপন্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
আরিফ মাহফুজ, লন্ডন থেকে
(৭ মাস আগে) ১ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:০৪ অপরাহ্ন

মারসিসাইড শহরে একটি টেলর সুইফ্ট নাচের ক্লাসে ছুরিকাঘাতে তিন তরুণীকে হত্যার ঘটনা কেন্দ্র করে আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে বৃটেনের ইমিগ্রান্ট বিরোধী সংগঠন ইডিল (ইংলিশ ডিফেন্স লীগ)। তিন তরুণীকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শহরে প্রতিদিন বিক্ষোভ করছে তারা। লন্ডন, সাউথপোর্ট, ম্যানচেস্টারসহ বিভিন্ন শহরে ইডিএলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং ডজন খানেক ইডিএল সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইডিএলের সাথে বৃটেনের ইমিগ্র্যান্ট বিদ্বেষী অন্যান্য চরম ডানপন্থী সংগঠনও যুক্ত রয়েছে।
৩১শে সে জুলাই সন্ধ্যায় হঠাৎ করে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০ ডাউনিং স্ট্রীটের সামনে ইডিএল ও চরম ডানপন্থী সমর্থকরা বিক্ষোভে জড়ো হয়, তাঁরা অফিসের গেটের ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করে তাতে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের শুরু হয়। এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন চরম ডানপন্থি নেতা টমি রবিনসন এবং অভিনেতা লরেন্স ফক্স। তারা সবাই ইমিগ্র্যান্ট বিরোধী ও বর্ণবাদী নেতা। টমি রবিনসন এবং অভিনেতা লরেন্স ফক্স-এর ''এনাফ ইজ এনাফ'' স্লোগানে বিক্ষোভ সমাবেশগুলোর ডাক দেয়া হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহের লিভারপুলের সাউথপোর্টে টেলর সুইফ্ট নাচের ক্লাসে আকস্মিক ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে এতে নয়জন আহত হন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ শিশু মারা যায়, ঘটনার দায়ে ১৭ বছরের কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে বিক্ষোভ করেন। তদন্তের স্বার্থে আটককৃত কিশোরের এথনিসিটি বা কোন দেশের অরিজিন ও কোন ধর্মের নাগরিক তা প্রকাশ করেনি পুলিশ, এরপর ইংলিশ ডিফেন্স লীগ ও চরম ডানপন্থীরা কিশোরের পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ না করার সমালোচনা শুরু করে, ইডিএলের ধারণা ছুরিকাঘাতের দায়ে আটকৃত কিশোর একজন ইমিগ্র্যান্ট। তাই পুলিশ তাঁর পরিচয় প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বর্ণবাদ ও ইসলাম বিরোধী প্রচারণা শুরু করে ইডিএল ও চরম ডানপন্থীরা এবং শহরে শহরে বিক্ষোভ- দাঙ্গা শুরু করে। মঙ্গলবার রাতে সাউথপোর্টের একটি মসজিদে হামলা করে ইডিএল। সহিংসতার দৃশ্যগুলির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, বিক্ষোভকারীরা জনতা পুলিশের দিকে অগ্নিশিখা এবং বোতল ছুঁড়েছে।
পুলিশ বলছে, প্রত্যেকেরই প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে এবং আমরা ভয় বা গুরুতর বাধা ছাড়াই প্রত্যেকের জীবন চলার অধিকারের সাথে আইনানুগ প্রতিবাদের অধিকারের ভারসাম্য বজায় রাখছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দাঙ্গা পুলিশ এবং কুকুর ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে।