শেষের পাতা
‘চ্যালেঞ্জ করে বলছি- আমি জামায়াতের আমীর নই’
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
৩০ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার‘চ্যালেঞ্জ করে বলছি- আমি জামায়াতের নায়েবে আমীর নই’, নাশকতা মামলায় আমার নাম আসলো কি করে আমি ভাবতেই পারছি না। দীর্ঘদিন ধরে আমি অসুস্থ। পায়ের হাড় এবং নার্ভ
সমস্যাজনিত কারণে ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারি না। ধীরপায়ে কোনোরকম চলাফেরা করি। দিনের বেশির ভাগ সময় আমার ওষুধের দোকানে কাটাই। রাজনীতির সঙ্গে আমার ন্যূনতম যোগাযোগ নেই। মামলায় আমাকে দেখানো হয়েছে বগুড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতের নায়েবে আমীর। পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এই তথ্য কোথায় পেলো? জামায়াতের সঙ্গে আমার ন্যূনতম সম্পর্কের প্রমাণ দিতে পারবে পুলিশ? বগুড়া শহরের খান্দার এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান এভাবেই কথা বলছিলেন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে।
কোটা বিরোধী আন্দোলনে বগুড়ায় দায়ের করা ১৩ মামলার একটিতে তার নাম এসেছে ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে। ওই মামলায় উল্লেখ আছে দলবদ্ধভাবে সরকারি কাজে বাধা প্রদান, সরকারি কর্মচারীকে মারধর, বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে মৃত্যু ঘটানো এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে আসামিরা। আরিফুর রহমানকে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি বগুড়া পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতের নায়েবে আমীর। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তিনি জামায়াত-বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। নিজের ওষুধের দোকানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সময় দেন তিনি। শারীরিকভাবেও সুস্থ নন। দুই পায়ের সমস্যা দীর্ঘদিনের। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। ২০১৮ সালের আগে থেকে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের নিউরো মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. ফিরোজ আহম্মেদ কোরাইশীর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়ার ঊর্ধ্বতন একাধিক নেতার কাছে আরিফুর রহমান সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, ওই নামের কেউ আমাদের দলের নায়েবে আমীর নেই। উল্লিখিত ওয়ার্ডে ওই নামে কোনো কর্মীও নেই। তাকে কেন কী কারণে ওয়ার্ড জামায়াতের নায়েবে আমীর উল্লেখ করা হয়েছে সেই ব্যাখ্যা পুলিশ দিতে পারবে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরিফুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, কেউ শত্রুতা করে আমার নাম পুলিশের কাছে দিয়েছে। আর পুলিশ যাচাই-বাছাই না করেই মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। পুলিশের এমন গাফিলতির কারণে আমি এখন হয়রানির শিকার হচ্ছি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আমি এখন বাড়িছাড়া। স্ত্রী-সন্তানরাও চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
বগুড়ায় ইতিমধ্যেই ১৩ মামলায় আসামি করা হয়েছে ২৯৩ জনকে। অজ্ঞাত রয়েছে অনেক। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত (২৫শে জুলাই) গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১১ জনকে।
এক মাত্র আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য কামনা করুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহান বিচার পতি, সাহায্য কারী। এতো জুলুম নির্যাতন অবিচার অত্যাচার আহারে!!
Natok Korse Akhon.
এইটা কোন ব্যাপার ই না, কারন এই দেশে বিভিন্ন নাশকতার সময় অনেক মৃত ব্যাক্তি ও কবর থেকে উঠে এসে অরাজকতা করে মামলা খেয়ে যায়,আর আপনি তো জীবিত।
Natok
এতো জুলুম-নির্যাতন আল্লাহ তায়ালা সহ্য করবেন না। মজলুমের দোয়া আল্লাহ তায়ালা দ্রুত কবুল করেন।
গ্রেফতার বাণিজ্য
পুলিশ হাজার হাজার নাগরিক বিনা কারণে আটক করছে। শত শত মামলা দিচ্ছে। এর পিছনে সরকারের কী ষড়যন্ত্র আছে অনুমান করতে পারছি না।